Tuesday 30 May 2023

রবীন্দ্র পরম্পরা // ই-কোরাস ২১




 রবীন্দ্র পরম্পরা

পর্ব - ২১

জগতে আনন্দ যজ্ঞে


মহাশ্বেতা দাস




"নয়ন আমার রূপের পুরে

   সাধ মিটায়ে বেড়ায় ঘুরে

শ্রবণ আমার গভীর সুরে

        হয়েছে মগন।" 


প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হওয়া, প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে যাওয়া রবির চিরকালের স্বভাব। সেই কোন ছোটবেলায় বাবার সাথে হিমালয় ভ্রমণে বেরিয়ে শান্তিনিকেতনে কয়েক দিনের জন্য থেকে যাওয়া.... কোপাইয়ের তীরে সময় কাটানো, খোয়াই থেকে নুড়ি তুলে আনা.... সেই থেকেই প্রকৃতি আর নিজেকে আলাদা করতে পারেননি রবি। প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখে আশ মেটে নি। তাই যত দিন গেছে আরও নিবিড় ভাবে যেন মিশে যেতে চেয়েছেন, গ্রহণ করতে চেয়েছেন প্রকৃতির রূপ রস গন্ধ.... আর সেইগুলিই প্রকাশিত হয়েছে কাব্যে। তবু যেন কোথাও কিছু একটা কম পড়ে যাচ্ছিল এতদিন। 


    বিশ্ব-আলোক যখন হৃদয় অরণ্যের গহন কোণে এসে পৌঁছে যায় তখনই বোধহয় মনের মধ্যে জমে থাকা বিষাদ ঘন আচ্ছাদন দূরে সরে যায়.... নিজের কাছে নিজের মুক্তি ঘটে। আর তখনই সমস্ত বাধাব্যবধানের বেড়াজাল টপকে অন্তরালোক বিচ্ছুরিত হয় নির্ঝরের মতো। 

     

     ভারতীয় প্রদর্শশালার পাশে দক্ষিণ - পূর্বমুখী রাস্তাটির আদি নাম ছিল স্পিক স্ট্রিট পরবর্তী ক্ষেত্রে যার নাম হয় সদর স্ট্রিট। চন্দন নগর থেকে ফিরে এসে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ও কাদম্বরী দেবী এই সদর স্ট্রিটের ১০ নম্বর বাড়িতে উঠেন কিছুদিন বসবাসের জন্য। যদিও এই বাড়িটি ঠাকুর পরিবারের নিজস্ব বাড়ি ছিল না, ভাড়া বাড়ি ছিল। তবুও এই বাড়িতে তাঁদের সঙ্গী হলেন রবীন্দ্রনাথ ও ইন্দিরা দেবী। সাদা মাটির বিলাতি পুতুল, চীনা মাটির স্ট্যান্ড এবং বড়ো বড়ো আয়না দিয়ে সাজানো বাড়িটায় ক্রমে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ "ছোট বাবু" এবং রবীন্দ্রনাথ "রবিবাবু" বলে পরিচিতি লাভ করেন।


   একদিন সকালে এই বাড়িরই জানালার ধারে বসে বাইরের প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে আছেন.... গাছের পাতার আড়াল থেকে উদিত রবির কিরণ এসে পড়লো ধরাতলে অপেক্ষারত রবির চোখে মুখে। মুহুর্তের মধ্যে যেন মনলোকের পর্দা গেল সরে। সেদিন যেন কবি দূর থেকে শুনতে পেলেন মহাসাগরের গান। প্রাণের মাঝে বিশ্বপ্রকৃতির আমন্ত্রণের ডাক শুনতে পেলেন। জগতের আনন্দযজ্ঞে তাই প্রাণের সাধ মেটাতে চাইলেন কবি। "সন্ধ্যা সঙ্গীত" এর অন্ধকারালোক থেকে প্রভাত রবির জ্যোতির্লোকের মধ্যে "নিষ্ক্রমণ" ঘটলো তাঁর। "আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে" দাঁড়ালেন কবি। রচিত হল  "প্রভাত সঙ্গীত" কাব্যগ্রন্থের বিখ্যাত কবিতা "নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ" যাকে কবি নিজেই " সমস্ত কাব্যের ভূমিকা" বলে উল্লেখ করেছেন।

                     …………………….. 



সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

ঠিকানা -সুরতপুর,  দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১

কথা - 9434453614



Sunday 28 May 2023

প্রবীর চক্রবর্তী এর কবিতা // ই-কোরাস ১৩০

 




প্রবীর চক্রবর্তী এর কবিতা 

আমরা পথ খুঁজছি



সকালে যে পাখিটি উড়ে যায় নির্দিষ্ট পথে

বিকেলে ফিরে আসে বিপরীত পথ ধরে।

এই যাওয়া আসার মধ্যেই রয়েছে

সৃষ্টির রহস্য।

এই পথ খুঁজেছেন নিউটন থেকে নেরুদা

প্লেটো থেকে পিকাসো।

এই পথে আবর্তিত হয়েছেন

যে যার মতো সংজ্ঞায়িত করেছেন

আবার হারিয়েও গেছেন কত শত জন।

আমরা পথ খুঁজছি

যে যার মতো

এগিয়ে চলেছি

গন্তব্যের দিকে

পথ খুঁজে ফিরে আসতে পারব তো!

             ………………… 



মায়া প্রপঞ্চময়


পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জিনিস হলো আঠা

প্রেম-ভালোবাসা-স্নেহ কিম্বা শ্রদ্ধা

এই আঠা নিবিড়ভাবে বেঁধে রাখে পরস্পরকে।

সমস্ত আকর্ষণ বিকর্ষণের মূল আধার এই আঠা।

হৃদয়ে আঠার ক্ষরণ হলে ঝরে পড়ে

দৃষ্টিতে,কথায় ও কাজে।

মরিচিকা হোক বা মরুঝড়

বন্যা কিম্বা মহামারী

মানুষ যতটা অসহায় হয়

এই আঠার কাছে তার থেকেও বেশি।


শিশু অবস্থা থেকে এই আঠার উপদ্রব সহ্য করতে হয় আমৃত্যু।

এই আঠা মেখে সবাই বাদুড়ের মতো ঝুলছি

তবু কষ্ট বুঝতে পারছি না!

           ……………… 



প্রকৃত ভালোবাসা


প্রকৃত ভালোবাসা বৃষ্টিহীন মেঘের মতো

আশা জাগিয়ে ভাসতে থাকে অসীমে।


নিশীথ রাতে যে শব্দ ভেসে আসে

তানপুরার সুরের মতো ধরা দেয় তন্ত্রীতে

সেখানেই প্রকৃত ভালোবাসার স্থাপন।


ফুল ফুটলে যে সুগন্ধ ছড়ায়।সেই পবিত্রতা

দিয়েই হয় প্রকৃত ভালোবাসার বোধন

উন্মোচিত হয় সত্যের পাপড়িগুলি।


মেষপালকের মতো অগণিত মেষগুলিকে

একদিকে চালিত করার মন্ত্র দিয়েই

হয় প্রকৃত ভালোবাসার উদযাপন

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি থাকে খোলামাঠে।


প্রকৃত ভালোবাসা ঈশ্বরের মতো

বিশ্বাস ভেঙে গেলে অস্তিত্ব হারিয়ে যায়।

              ………………… 



শ্যামের বাঁশি


শ্যামের বাঁশি আজও বেজে ছলেছে নিধুবনে


বেজে চলেছে খোলা হাওয়ায়,অস্তরাগের ইচ্ছায়।

দৃষ্টির অতীত জাদু ছড়ায় সেই সুর

তরঙ্গ নাচে নদীর বুকে, সমুদ্রে।

ফুল ফোটে, সুগন্ধ ছড়ায়, মুগ্ধতা সৃষ্টি করে।


মায়ের কান্নায়, সন্তানের চপলতায়,বিরহে বা প্রিয়জনের অন্তিম যাত্রায়

সেই সুরের মূর্ছনা আবিষ্ট করে

মানুষ দুঃখ ভুলে যায়।


আবার হাসে, আনন্দ করে,ভালোবাসে।

শ্যামের বাঁশি আজও বেজে চলেছে একান্তে

হৃদয়ের নিবিড় এক কোনে

যেখানে প্রেম ছাড়া অন্য কিছু প্রবেশ করতে পারে না।

             …………………… 



আলো


খোলা মাঠের মাঝে ছোট ছোট গ্রাম

সবুজের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপ

সায়াহ্নের সময় অন্ধকার ঢেকে দেয় চারিদিক

ঠিক তখনই সেই কালো অন্ধকারে

শেয়াল ডেকে ওঠে সমস্বরে

ঢুকে পড়ে গৃহস্থের দাওয়ায়

তবে যেখানে আলো থাকে সেদিকে নয়

আলোকে ভয় করে সমস্ত হিংস্র প্রাণী- অন্ধকারের জীব- নিশাচর।

একথা সবাই জানি

তবুও আমরা প্রত্যেক হৃদয়ে

আলো জ্বালাতে পারছি কই!

.........................



সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

ঠিকানা -সুরতপুর,  দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১

কথা - 9434453614


Tuesday 23 May 2023

রবীন্দ্র পরম্পরা// ই-কোরাস ২০

 


রবীন্দ্র পরম্পরা

পর্ব - ২০

মুক্তি

মহাশ্বেতা দাস


  "হে ভৈরবী, ওগো বৈরাগিনী,

    চলেছ যে নিরুদ্দেশ সেই চলা

           তোমার রাগিণী।" 

    

   জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির নিঃসঙ্গ তেতালার ছাদ, শূন্য ঘর গুলির নির্জন একাকীত্বের দিনগুলি ঠাকুর বাড়ির বিশ বছরের ছোট ছেলেটির মননে, চিন্তনে যে মুক্তির ধারা এনেছিল সেই ধারা আরও বেগবান হল যেদিন রবি এসে পড়লেন জ্যোতি দাদা ও নূতন বৌঠানের চন্দন নগরের গঙ্গা তীরের ছোট্ট বাড়িটিতে। জীবন স্মৃতি গ্রন্থ থেকেই আমরা পাই - রাজকীয় আলস্যে এই যে গঙ্গা প্রবাহ এবং বাংলাদেশের নীল আকাশ, সবুজ গাছপালা.... এককথায় রমণীয় প্রকৃতির মাঝে সমস্ত শরীর ও মনের আত্মসমর্পণ, কবি অনুভব করলেন - " বাংলাদেশের নদীই বাংলাদেশের ভিতরকার বাণী বহন করে।" 


      এই বাড়িটি মোরান সাহেবের বাগান বাড়ি বলেই পরিচিত ছিল। এখানে খোলামেলা প্রাকৃতিক পরিবেশে জ্যোতি দাদা ও বৌঠান কে রবি পেয়েছিলেন আরও নিবিড় করে। তাঁদেরও নিঃসন্তান সংসারে রবির উপস্থিতি ভরিয়ে দিত অনেকখানি। 


 "বহু যুগের ওপার হতে আষাঢ়  

    এল আমার মনে

কোন সে কবির ছন্দ বাজে

   ঝরঝর বরিষণে।" 


আকাশে মেঘ করে এলে, ঘোর বর্ষার জলের ছাটে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এলে হারমোনিয়াম যোগে বিদ্যাপতির  "ভরা বাদর মাহ ভাদর" পদটিতে মনের মত সুর বসানো হয়। কখনও বা সূর্যাস্তের বেলায় নৌকা ছেড়ে গঙ্গার বুকে ভাসতে ভাসতে জ্যোতি দাদার বেহালার সুরে কথা বসিয়ে গান গাওয়া..... কখন যে বনান্তের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে চাঁদ জ্যোৎস্না ছড়িয়ে আবেশ মুগ্ধ করত! পূরবী রাগিণী তখন সুর মূর্ছনায় পৌঁছে যেত বেহাগে। নদীর জলে চাঁদের ভাঙা আলো তখন টুং টাং করে যেন জলতরঙ্গ বাজাচ্ছে। 


    এই বাগান বাড়ির দোতলায় চারদিক খোলা একটি গোল ঘর ছিল - যেটা কবিতা লেখার জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হলেও এখানে বসে রবি রচনা করেছিলেন অনেক গদ্য। মুক্ত পরিবেশে রবির যে মানসিক মুক্তি ঘটেছিল মুক্ত আস্বাদিত অন্তর থেকেই অবিরাম ধারায় উৎসারিত হল যে নূতন লেখনী.… তারই ফলশ্রুতিতে আমরা পেলাম বাংলা উপন্যাস "বৌঠাকুরাণীর হাট" । 


     এসবের মাঝেই বাউল গানের মত লোকসঙ্গীত ও ছড়ার গান বিষয়ে ভাবনা চিন্তা, বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশের ভাবনা এবং সেজন্যে পরিভাষা অনুসন্ধান .... এসব বিভিন্ন ভাবনায় বিশ বছরের রবি নব কর্মোদ্যমে উদ্যোগ নিলেন একাডেমী জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। উপদেষ্টা হিসেবে পেলেন বিদ্যাসাগর মহাশয় কে। এছাড়াও রাজেন্দ্রলাল মিত্র, কৃষ্ণ বিহারী সেন প্রমুখ ব্যক্তিদের সাহচর্য এবং অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে প্রতিষ্ঠিত হল অনেক সাধনার ফল - বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদ। 

              …………………. 


সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

প্রচ্ছদ - সুকান্ত সিংহ

ঠিকানা -সুরতপুর,  দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১

কথা - 9434453614

Saturday 20 May 2023

প্রবীর চক্রবর্তী এর কবিতা //ই-কোরাস ১২৯

 



প্রবীর চক্রবর্তী এর কবিতা 

শব্দহীন


এভাবেই একদিন থেমে যাবে হাসি-কান্না-কলরব

সমস্ত রঙ মুছে গিয়ে হবে বর্ণহীন

আলো মুছে গিয়ে হবে অন্ধকার।

চেনা মুখগুলো হারিয়ে যাবে বিস্মৃতির অতলে

সযত্নে রাখা কবিতার বইগুলো ধুলো মেখে

দাঁড়িয়ে থাকবে অপাংক্তেয় হয়ে।

প্রিয় পোশাকগুলোতে স্বরলিপি লিখবে পোকার দল।

যে কলম থেকে জন্ম হয়েছে অসংখ্য কবিতার

সেও স্থবির হয়ে পড়ে থাকবে।

ফুল থাকবে সৌরভ থাকবে না

শব্দ থাকবে আমন্ত্রণ থাকবে না

শুধু কয়েকটা স্মৃতিফুল ফুটে থাকবে এদিক ওদিক

কেউ দেখবে,কথা বলবে,কেউ দেখবে না।


এভাবেই শব্দহীন হয়ে যাবে কবির জীবন।

              ………………….. 


লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে ক'জন


ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই

জেগে ওঠে চিরায়ত বোধ/এরপর সমস্ত দিনজুড়ে স্বপ্নভঙ্গের কাহিনী

দৌড়ে কখনো এগিয়ে কখনো পিছিয়ে যাওয়া

লক্ষ্যে স্থির থাকা কঠিন

প্রহেলিকায় আটকে গেছে নির্দিষ্ট পথ

এজন্যই সবাই খোঁজে পথপ্রদর্শক

এ জন্যই আজীবনের সংগ্রাম

লক্ষ্যে অবিচল থাকে অনেকেই

কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে কজন।

           ……………….. 


বিপন্ন দিনরাত


বিপন্ন দিনরাত

চোখের নিচে জ্বলছে আগুন

জীবন পুড়ে খাক।


হয়তো সবই মেকি

পোড়ার জ্বালায় জ্বলছি সবাই

ভাবের ঘরে ফাঁকি।


পুড়ছে শস্যক্ষেত

পুড়ছে আমার শবদেহ,আর-

হৃদয়ের সংকেত।


পেটের তলায় খিদে

নিত্য জীবন বদলে যাচ্ছে

গন্ধে এবং স্বাদে।


বিপন্ন যৌবন

নিউজ পেপার চর্চা করে

খুন আর ধর্ষণ।


বিপন্ন দিনরাত

মুখ লুকিয়ে দেখছি সবাই

অশনিসম্পাত।

        …………… 


জলছবি


প্রত্যেক জীবনের মধ্যে একটা স্বপ্ন আছে

প্রত্যেক স্বপ্নের মধ্যে একটা সত্যি আছে

আর সত্যের মধ্যে আছে না পাওয়ার যন্ত্রণা।

এভাবেই প্রকৃতির নিয়ম বদলায়/দিনের ক্ষয় হয়ে রাত নামে

ঝাপসা হয়ে আসে চারিদিক

দৃষ্টি আচ্ছন্ন হলে সান্ত্বনা সুগন্ধ দেয়

জ্যোৎস্না দেয় তৃপ্তি উপহার।

ঠিক তখনই জীবনের স্বপ্ন,সত্য, অতৃপ্তি

অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ে-


জলছবি এঁকে দেয় জীবন।

            ………………..



আবহমান যাত্রাপথ


মেঘ ও রোদের সংসার ভারি বিচিত্র

তবু তারা ভাঙে ও গড়ে

তবু তারা সৃষ্টির জন্য একত্রিত হয়

যেমন আমি ও আমার ইচ্ছেরা

সমান্তরাল ভাবে হেঁটে চলি

দিগন্তরেখার দিকে

একদিন ঠিক ছেদবিন্দু খুঁজে পাবে

আমাদের এই আবহমান যাত্রাপথ।

              ………………. 


সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

ঠিকানা -সুরতপুর,  দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১

কথা - 9434453614


ইতি মণ্ডল এর কবিতা // ই-কোরাস ১৭৮

  ইতি মণ্ডল এর কবিতা   ১. পতিতা আমার জঠর থেকে নিষিক্ত ডিম্বানু দিয়ে, সৃষ্টি করো তোমাদের কাল জয়ী  নারীশক্তি…                      দেবী দুর্...