Thursday 1 February 2018

ভাব আর প্রেম e-কোরাস

                                                     
                       কেমন একটা অভিমান করে তুই চলে গেলি।কি দোষ ছিল আমি এই বসন্তেও বুঝতে পারলাম না!
                                                         

                                                                                                                                              ভাব আর প্রেম e-কোরাস 

                                                                                                                                                       


জয়া গুহ(তিস্তা)-এর কবিতা
















।।অনির্বাণ।।

এও তো তেমন যাত্রা, মনে মনে মেনে নিতে হয়
তুমি তার আধাআধি,  যে তোমার বিন্দুমাত্র নয়
হৃদয়েও পুঁজিবাদ,জেনেছো
মেনেছো তা আগেই
সমুদ্র,সমুদ্র-খিদে জন্মলাভ মাত্র
জন্মাবেই
আগেও তোমরা ছিলে,
তুমি-আমি মুখের মিছিলে
শ্মশানে হারিয়েছিলে
চিতাকাঠ-ধোঁয়া-তীব্র নীলে
যে ডুবুরী, যে নাবিক
ভাসা-র গল্প বলে যায়
সেও জানে জল-বুকে
গল্প থাকে তলিয়ে যাবার
তাও মাপে গভীরতা
তাও দেখে জীবন অবোধ
মৃত্যু নিঃশেষ নয়,থেকে যায়
প্রেম-গ্লানি-বোধ
প্রেম তো মুহূর্ত কিছু
কিছু মানবিক আশ্রয়
অজানা ফুলের মত
পথ-পাশে ফেলে যেতে হয়
যত্ন যদিও তবু,থাকে কষ্ট
বাতাস-আপ্রাণ
রেখে যাওয়া মানে জেনো
ডুবে যাওয়া শেষ-আহ্বান
জীবন যাচ্ছে চলে,গিয়েছিল
বহুযুগ আগেই
মুখ বদলেছে শুধু অবিচল
নিষিদ্ধ আবেগ
বয়স যোগ্য হয়,রেজিস্ট্রি সই হবে বলে
পাতাও নিয়ম মতো একা একা উল্টিয়ে চলে
বিবাহ সারা হয় সমৃদ্ধির আশেপাশে
কেউ কারো কেউ নয়
তবু সকলেই ভালোবাসে
আমিও জীবন দেখি,শব গুনি
নিজ মৃতদেহের
দেখি, ভাবি,শিখি রোজ তুমি-আমি
অবিকল আগের
শুধু 'ভালোবেসে' গেছি
অপরাধ মিটিয়েছে ক্ষমা
আমরাই শেষ অবধি
শেষ নই অবাধ্য 'কমা'(')
       --------------

মুনিরা আখতার- এর দুটি কবিতা















১.
।।অতীতের খোঁজে।।

চল শূন্য শূন্য খেলি,
গোপন পথে ঝরা পাতা ।
চল পাতা হয়ে তুই
ছুঁইয়ে দে হাওয়া ।
চল অতীত শহর খুঁজি
ভাঙা ঘরের জানালা
অন্ধকার থেকে আলো
আলো থেকে অন্ধকার ।
তোর অন্ধকার আকাশপথে আজই
সুখের দুপুর স্বপ্ন হতে পারি ।
           ---------------
২.
।। না ওঠা দাগ আমার অবকাশে।।

আমার দিনের রাত্রি স্রোতে
সংহারঘাতে রুষ্ট জানালা
পাতার আলো দেখছে ফাঁকে ফাঁকে
বাঁশির আওয়াজ না জেনে ভেসে আসে ।
সকাল আলোয় তোর আনাগোনা,
তুই দুপুর প্রহর আস্তে করে শোনা,
না ওঠা দাগ আমার অবকাশে ।
            ---------------

লিলি মুখোপাধ্যায়-এর দুটি কবিতা















১.
।।সুখজাগানি।।

কাজের ফাঁকে একলা স্মৃতির ভীড়ে
তোমার কথাই ভাবনায় আসে ফিরে
কখন তোমার পাব যে দেখা
তোমায় নিয়ে কবিতা লেখা
প্রেম-তরী বেয়ে সুখ-সাগরের তীরে ।

একলা নায়ের মাঝি তুমি আমি জানি
যাত্রী নেই আর নেই কোনো পারানি
তোমার-আমার যুগল স্রোতে
বেঁধেছি জীবন মিলন-ব্রতে
নদী-নৌকা হোক একাকার ওগো সুখজাগানি ৷
                      ----------------

২.
।।ভাবকল্প।।

কবরীর মূলে শিহরণের গোলাপ
শীতান্তে জাগে শুধু বসন্ত বিলাপ ৷

প্রাণখোলা উন্মুক্ত দিগন্তের আকাশ
অপেক্ষায় বয়ে যায় দখিনা বাতাস ৷

তোমার কাছে যখন-তখন আসি
কী রসায়নে তোমায় ভালোবাসি।

জমে আছে তবু জীবনে অন্ধকার
ভাবকল্পে আছি ডুবে তুমি-আমি একাকার।
              ---------------

ঐন্দ্রিলা বসু রায়-এর কবিতা













।।বসন্ত এসে গেছে।।

আজ ফাগুন
কৃষ্ণচূড়া আগুন

বসন্ত এসে গেছে

পলাশ শিমুল
হৃদয় আকুল

বসন্ত এসে গেছে

বাতাসে দ্বন্দ্ব
প্রেমের গন্ধ

বসন্ত এসে গেছে

একটু ছোঁয়া
স্বপ্নে পাওয়া

বসন্ত এসে গেছে হৃদয় দুয়ারে।
       -------------

তনুশ্রী ভট্টাচার্য্য- এর দুটি কবিতা















১.
।।ছায়াপথ।।

যেটুকু ছায়া রাখা ছিল রোদের আবেশে
সেটুকুই খুঁজে নেব ঘাসে ও প্রবাসে
শালপাতা মায়া মেখে ঘুমিয়ে পড়ে
আমাদের বেলা পড়ে বিষণ্ণ ঝড়ে
জেগে ওঠে আলোর ঠিকানা
চেনা চেনা পথ; পথগুলো চেনা

এখানে ছায়া নেই কোনও
তমঘ্ন আঁধারে ঢেকে আছে স্বপ্ন
খুঁজে নেব ছায়া আর অবয়ব সব।

এখানে উত্তাপ নেই জেনো,
আলোদের বুকে বুকে সেজে ওঠে চিরায়ত আঁধারের উৎসব।

আমি ছায়া খুঁজি
আকাশের গলিঘুঁজি
বিদীর্ণ রাতের পর;
এই তো সময়যাপন,
আমার একান্ত চিলেকোঠা ঘর।


।।পারাপার।।

সহজস্রোতে ফিরতে চেয়েছি বারবার
প্রেমিকজন্ম ছুঁয়ে থাকা মুহূর্তরা
তুমি থেকে তোমাদের হয়ে গেছে l
প্রিয়তম অন্ধকারের আঙুল জড়িয়ে
বাঁচতে চেয়েছি ছায়া-শব্দের ঘরে
তবুও সে দূর কোনো নক্ষত্রের মতো

আরও অনেক দূরে যেতে চাইছি এখন
যেখানে অপেক্ষা নেই ক‍্যাকটাস ছুঁয়ে
যেখানে মৃত্যুর পরও মৃত্যু নেই...
যেখানে আগলে রাখা যায় নিজেকেও
পর-আপন বোধ চলে যাবার পরও...
            ----------------

সঞ্চিতা দাস-এর দুটি কবিতা









১.
।। উৎসব।।

একটা শীতঘুমে ঢলতে ঢলতে নুয়ে পড়ে গাছপালা,
বয়স বাড়তেই পাতা ক্রমশ ঝরে যায় চলমান শ্বাসবায়ুতে।
আমি পেয়ালায় চুমুক দিতে না দিতেই;
কলম লিখে ফেলে তার গায়ের খোলা রঙ,
পোশাকের লুকোনো অন্ধকার,
রোমকূপের আঁকাবাঁকা জোয়ার,
আর যতসব কাজের চিন্তা।

সোনালি অলঙ্কারের অদ্ভুত দাগ কিভাবে বাসা বেঁধেছে আঙুলে..
ওদিকে কেউ জেগে নেই,
পশুগুলোর গলা বসে গেছে তাই সাড়াশব্দ নেই,
এমন সময় দুটো উঠোন ভাষার খোলস হারিয়ে
নিঃশব্দে জমতে জমতে ছুঁয়ে চলে যায়
নিজেদের রান্নাবান্নার উৎসবে
             -----------------
২.
।।সময়।।

অচেনা আলোর দিকে অনেক ছুটেছি...
পাইনি বলে কান্না পুঘেছি বহুবার,
তুমি ফিরেও তাকাওনি একবার!
জীবনকে অন্ধকারে মেলতে শিখেছি,
এখন তাকালে অচেনা বসন্তই বলবে...
কাছাকাছির রাস্তা অফুরান,
সময় হলে চলে এসো!
           ---------------

মৌমিতা দাস- এর কবিতা   


















।।তুই আর পলাশ।।


লাল শাড়ি তে চোখ সরানো যাচ্ছে না।
অথচ সেদিন ই তোর চোখ আর মন দুই পুরেছিল গোলাপি আগুনে..
কোন কোন স্বপ্ন এমন ই মিথ্যুক..
তবু মাঝে মাঝে ভোর রাতে স্পষ্ট শুনি তোর পায়ের আওয়াজ,
অশরীরী ভালোবাসা বলে মিলিয়ে যায় ভোরের নরম আলোয়,
ঠিক যেমন তুই আশ্রয় পেলি গোলাপি ওড়নার ছায়ায়...
            .....................

অসীম ভুঁইয়া- এর দুটি কবিতা















১.
।রক্তের অবহেলা।।

রক্তের অবহেলায় বড় একা হয়ে যাই
জন্ম বোধে ফিরে ফিরে আসে মুহূর্তের চোট।
বিগত কথার সমারোহে বেশ অগোছালো
মনে হয় নিজেকে।

নিভে যাওয়া ছাই পাতাগুলি সোনামনি পোকার ঠোঁটে
আহার্যের সন্ধান দেয়।

চলে যাই দূরের প্রান্তবীজে ,মৌন রোদে...
যেখানে মোহরাশি ,জলরাশি এক হয়ে
মোহনায় বিলীন ...
          ---------------
২.
।।মরদেহ।।

ভোর হচ্ছে বোধহয় ।কমে আসছে নক্ষত্রের আলো
আলোর গোপনতায়  সন্দেহ ...

চিতার আগুন নিভে গেলে উড়ে যায় ধোঁয়া ।সঙ্গে মরদেহ ।
        -----------------

স্বপ্নময়- এর দুটি কবিতা











১.
।।ছেঁড়া পাতা।।

মৃত্যুকে ঠেলে ঠেলে চলেছি
লগিখানা জীবনের মাস্তুল
বৃত্তের পার উঠে ডাক দেয়
সূর্যঘড়িটা ফের ভুলেছি।

একঝাঁক কাকেদের ঘূর্ণী
আবার কি শব এলো ভাগাড়ে?
স্বল্প আলোর স্মৃতি চেনা মুখ
তারপর হাতড়াই, ঘুম নেই।

কেউ কি কখনো কোনো পুরনো
শীতঘুম ভাঙা কফি আদরে
ডেকেছিলো জীবনের প্রিয়নাম
নাম পড়ে থাকে পথে লুকোনো

অবসাদ তোমারো তো, আমারও
বৃত্তবন্ধ নামে সন্ধ্যা
কাগজফুলের পাশে ডাক দিই,
পড়বে কি মনে চেনা জানালায়?
         -----------------
২.
।। প্রত্যাশারেখা।।

যতোটা সবচে বেশি চাওয়া যায়
তারও একটু বেশি মতন হলে
পূরণ হতো সেই অভাবের ঘর
যেখানে একাকী  দীপটি জাগে জ্বলে।

সে শিখা ভীতু কাঁপা কাঁপা হিংসুটি
তার চাই হাতে চেটেপুটে সবটুকু
অকাতর চাওয়া আদরে পুড়িয়ে চলে
বাকিদের চোখে পড়ে থাক খড়কুটি।

মাঝেমাঝে মেঘ জমে ঈশান ভিজে
চাওয়ার ফানুস আকাশ ছুঁতে চলে
মেঘ ছিঁড়ে ছিঁড়ে ভেঙে পড়ে চোখে জল
সামর্থ্যতে আঁটলো না খালবিলে।

একটু যদি জানতে ব্যাথার আঙুল
স্পর্শ করার সীমানা মাপজোখ
অধরা এসে বসতো এ বুদবুদে
বুঝতো তুমি ভালোবাসার লোক।
            -------------

সানি সরকার-এর কবিতা















।।মঙ্গলবার।।

ওই ঠোঁটের ওপর ফুটে আছে ভোরের বকুল

একটি চৌকো খাঁচার ভেতর তাপ লিখছে
আবার এই মঙ্গলবার

একটি নৌকোও ভাসছে বৃষ্টির বিস্ময়বোধক জলে

মাটির গন্ধে ম ম করছে ঘর এবং
ঘরের শেকড়

ঠোঁটের ওপর ফুটে আছে আগুন-বকুল

আজ কেবল পুড়বার দিন, আর
কিছুই না
               --------------------

সুব্রত মণ্ডল- এর কবিতা















।।হৃদসাগর।।
   
ফুল প্রেয়সী প্রেমলতা
জীবনতারে কথকতা
বাজানো সুর হৃদয় গাঁথা
দুলকি ঠোঁটে মিষ্টি কথা।

ঠোঁটে ঠোঁটে উত্তাপ
ঠোঁটে ঠোঁটে সেতার
ঠোঁটে ঠোঁটে কত ভাষা
লেলিহান মায়া তার।

মাধুকরী রসনা
চোখ জুড়ানো বাসনা
ঝিলিমিলি কুন্তলা
কায়া-তরী দোলনা।

ভালবাসা সুখ সারি
কালো ছায়া বলিদান
রামধনু আকাশের
দিলখোলা অভিধান।
      -------------

প্রচ্ছদ ভাবনা:অনির্বাণ পাল

সম্পাদক: দুঃখানন্দ মণ্ডল    

সহ-সম্পাদক: শ্রীজিৎ জানা

ঠিকানা: সুরতপুর,দাসপুর,ঘাটাল,পশ্চিম মেদিনীপুর,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।
যোগাযোগ: ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪





ইতি মণ্ডল এর কবিতা // ই-কোরাস ১৭৮

  ইতি মণ্ডল এর কবিতা   ১. পতিতা আমার জঠর থেকে নিষিক্ত ডিম্বানু দিয়ে, সৃষ্টি করো তোমাদের কাল জয়ী  নারীশক্তি…                      দেবী দুর্...