Sunday 29 May 2022

নিমাই জানার কবিতা // ই-কোরাস ৫৮

 


নিমাই জানার গুচ্ছ কবিতা



   

রান্নাঘর ও গর্ভবতী ভগ্নাংশের মৃত্যু


মায়ের মৃত্যু চিহ্নের মতো আর কোন বৃহত্তম দশমিক সংখ্যা নেই ঠান্ডা জলের বোতলের ভেতর অসুস্থ হিমালয় ঘুরে বেড়াবে, 


আমি শুধু আরো একবার প্রাণায়াম যোগের পর কিছু সাংখ্য যোগের পারদ ত্রিশূল নিয়ে নেমে আসি এক একটা ভূমধ্যসাগরের তীরে 

বাবা একটি অগ্নি মশাল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমার বিছানার পাশে 

কাঠের বিছানাটি হঠাৎ করেই তেরোটি খন্ডক হয়ে গেল আমি শুধু একটি ঈশ্বরী চিহ্নের কথা স্মরণ করি, যাকে মৃত্যুর আগের দিন একটি শিমুল রঙের আলোকবর্ষ আগুনের কাছে রেখে ধ্যানমগ্ন ছিলাম


রোজ রাতে আমি শুধু সাইকেলোপাম অথবা অ্যামিট্রিপটিলিন উভয়লিঙ্গ ওষুধটিকে বুকের কাছে লুকিয়ে রাখি তরোয়ালের নিচে সবাই কৃষ্ণ, একবার উপুড় করে বসে থাকবে সোনালী রঙের আকাশের জন্য 

হঠাৎ করে আমি কেবল সৌমিত্র হয়ে যাব, ভয়ার্ত বাঘেরা তিনদিন অভুক্ত থাকবে এবার

হামিংবার্ডের মতো স্বভাব বিরুদ্ধ সব কপটতা জলের অতলে থাকা নৌকার কাছে রেখে যাবো এক শ্বেত বস্ত্রের ভেতর 

অসংখ্য সাপেরা একদিন মৈথুন শেষে আমাকে তার খোলসটি দিয়ে যাবে অসুস্থ ঢেকে রাখার জন্য 

কালো অক্ষর চিরদিন আমার মাথার উপর দিয়ে বয়ে যায় নীল দৈর্ঘ্যের ঈশ্বরীয় মুণ্ডমালা নিয়ে

রান্নাঘরের সাপেরাই চিৎকার করলে জননতন্ত্র থেকে এক একটা ভাতের থালা খসে পড়ে, আমি শুধু নিরাকার শরীর খেয়ে যাই ভাতেরা আজ বোধহয় শ্বাসকষ্ট অনুভব করল

রান্নাঘর থেকে আমার টিয়া রঙের নারী বলবে আজ বোধ হয় অশৌচের ভাত খেয়ে নেওয়াই ভালো, মৃত্যু তিন দিন হল বাকল খসিয়েছে


মোরলা মাছের মতো মৃত্যুও হঠাৎ করেই গর্ভবতী হলো

……………….............



আপতন কোণের জারণ ও  চিরহরিৎ যীশু



চতুর্থ দিনের পর যীশুকে আবারো একবার লেড পেন্সিল দিয়ে হত্যা করে রেখেছি ভিনিগারের ভেতর


সব বীজগাণিতিক সম্পাদ্য সুখের নয় , ইনফেকশাস জ্বর হলেই আমি শুধু নিজের শিরদাঁড়ার কাছে শুয়ে একটি বকুল ফুলের গন্ধ শুঁকে চলি

আমাদের কোন তৃতীয় পুরুষ নেই বলে এক একটা ছায়াপথকে ঘিরে আমি আগুনের কাছে অজস্র আপতন কোণের জারণ অসুখ উপুড় করে রাখি

আমি আজকাল গভীর রাতের মৈথুন কোনে নিজেকে বলি প্রদত্ত করি সাপের মতো , অজস্র সাপ আমাকে জড়িয়ে ধরে একুরিয়ামের ভেতর অজস্র অপরাধী প্রতিদিন ঘুরে বেড়াচ্ছে , 


একটা গোপন কক্ষের ভেতর অপরাধ স্বীকার করব ভৌগলিক হয়ে যাওয়ার আগে , রাতের কোন ছায়া চিরহরিৎ হয়না

ব্যাবিলন শহরের লেড নাইট্রেট নিয়ে জামরুল গাছের গোড়ায় অসংখ্য কাল্পনিক বিষাক্ত পাথর রেখে আসি গ্রানাইট সকালে আগুন খুঁজছি আজ 

একটি কাঠের জানালার পাশে দাঁড়ালে অসুখ ও স্ত্রীলিঙ্গ হয়ে যায় ,  আমাদের জড়িয়ে ধরে রাতদিন এখানে বৈষ্ণবচিহ্ন নেই 

আমি প্রতিদিন চন্দ্রাবলীর মতোই নব বৃন্দাবনের অশীতিপর আলোছায়া মেখে চলি 

প্রতিদিন আমাদের মতই অসুস্থ নদী অলৌকিক হয়ে যায় নৈঋত কোণের দিকে মুখ করে 

আমাদের আর কোন যাপন চিহ্ন নেই শুধু এক গহীন রক্তাক্ত পায়ের নিচ থেকে অসংখ্য বীর্যপাতের গন্ধ আসে শৈথিল্য সুখের পর 

সবাই নিরাময় ভবন থেকে ব্রাহ্মী শাকের পালক নিয়ে উড়ে যায় অজস্র চাঁপাতলার দিকে 


আমি শুধু ধর্মযুদ্ধের দিকে পাশ ফিরে শুই ,ঈশ্বর আমাকে ক্ষত্রিয় করেছেন , দ্রৌপদী করেছেন

……………...........



 

বানেশ্বর পুরোহিত ও বিটাহিস্টামিনিক জ্বর



প্রতিটি রাতের যৌন চিহ্ন মানেই অভেদ সংক্রান্ত বিটাহিস্টামিনিক


আমি গভীর রাতে নিজের বিছানার উপর নিউক্লিওলাসের একটি নৌকা চালিয়ে বসে পড়ি মরচে রঙের অস্থি গ্রন্থির উপর

আমি একটি কাল্পনিক ডায়াস্টোলিক নারীকে দেখতে পাই যে আমার প্রতিটি প্রহরে ১০০ ডিগ্রি জ্বর রেখে যায় 

আমি শুধু শীতল স্পাইরোগাইরা ছাতার নিচে একটি সহবাস চিহ্ন রেখে আসি , সূর্যাস্ত আর কিছুই নয় একটা কাগজ ফুলের পাতলা পাপড়ির মতো লিভোসেটিরিজিন মুখ


যার কাছে বিষাক্ত সাপের দুটি লেজ আজও সমাক্ষরেখা খুঁজছে

সম্প্রদান চিহ্ন রেখে আসি নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মতো , আমার ঘিলু উড়ে যায় , তোমার নাভি উড়ে যায় , আমার তিনটি চোখ খুবলে যায় , তোমার বাম স্তন উড়ে যায় , আমি শুধু খুবলে খাওয়া এক একটা সরীসৃপের নৌকা , অথচ আমার তলপেটে একটা পাকস্থলীর দুর্গন্ধ আছে , রোজ একবার করে সাইকোটিক হয়ে যাই 

মধ্যপ্রহরে কেউ না ডাকলেও ঘুম ভেঙে যাবে হঠাৎ

আমি কিছু আগুন দেখি চেতনা পূর্ণ নারীটিরং কাছে 

যে  আমাকে বলে যাবে একটা ভয়ার্ত গানের কথা 


জ্ঞানশূন্য বানেশ্বর পুরোহিত এসে বসুন এক প্রাচীন কাঁঠালিচাঁপার গোড়ায়, তিনি ক্রমশ দাহিত হবেন

…………….........


অযৌন স্বরধ্বনি ও সিন্ধু শহরের ঈশ্বর



স্বরধ্বনি আগুনের কোনদিন সাংকেতিক চিহ্ন থাকে না 

আকাশের মতো প্রতি রাতেই ঈশ্বরীর ভূগোল বৃত্তান্ত রাজকন্যা পোশাক ছেড়ে পাখির মতো স্ত্রী লিঙ্গের অযৌন অক্ষাংশ হয়ে যাবে প্রথম বন্ধনী আকাশের নিচে , 

প্রদীপের নিচে একটি থকথকে ছায়া কেঁপে উঠছে মধ্য তারের বেহালা বাদকের মতো

অযৌন অক্ষাংশের মুরারীচক নেমে আসছে সমতল পাললিক শরীর মেখে , ড্রোটাভেরিন গাছের কোন কঙ্কাল থাকতে নেই

অশ্বগন্ধার ছায়া দেখে আঁতকে উঠি সমকোণে থাকা ঈশ্বর মন্দিরের নতজানু কুয়াশার কাছে 

কুয়াশা আসলে অন্তঃস্থ বর্ণের নাম , একটি পেন্ডুলাম আমাকে নৌকা বিলাসে নিয়ে যাবে দ্বারকা নগরের পর 


বিষাক্ত কালিয়া দোঁহে ধানবীজ রেখেছি প্রজনন ঘোরে

জোনাকি রেখাপাতের কাছে সকলেই লিউকোপ্লাস্টের মতো  একটি ভগ্নাংশ বিকেল লুকিয়ে রাখে 

অযৌন চিহ্নের পাশে আমি কিছু ডোরাকাটা বাঘের পতঙ্গভুক শরীর নিয়ে নৈশকালীন প্রোতাশ্রয়ের দিকে চলে যাই খনিজ মার্কা ঠোঁট নিয়ে

সকলের কাছে অঙ্গাণু ঝুলে আছে ত্রিপত্র কপাটিকার মতো , আসলে ভয়শূণ্য দাতব্য চিকিৎসালয় গোপন নাবিকের ক্ষয়জাত আকাশ খুঁজে বেড়ায় 

আমি শুধু গুরু মস্তিষ্কের নিচে ছড়িয়ে থাকা পাললিক পাথরে নিচের গোপন অঙ্গ রেখে আসি 

সব চতুর্ভুজ বোতামের নিচে একটি সিন্ধুশহর জেগে আছে


আমার মৃত্যুর দিন এই দুটো কাগজ ফুলের চারা গাছ হঠাৎ করেই উপপাতালিক নৌকা হয়ে গেল , কান্নার জন্য একগুচ্ছ মানুষ দাঁত বের করে হাসছে

……………..........


জিওলজিক্যাল বাঁশি ও  আগুনের রজঃস্রাব



জিওলজিক্যাল বাঁশরী বেজে উঠলে আমি এখন কচুরিপানার মতো সামুদ্রিক নৌকা নিয়েই ভেসে যাই আরও গভীর তলদেশে থাকা প্রবাল পুরুষদের কাছে 


সেখানে কে কাকে অশ্লীল করে তোলে , আমার এই নীল ছায়াছবির মতো রুদ্রাক্ষের পাশে এক ছায়াগাছ জেগে থাকে সব ভীরু কাপালিকের মতো , তলপেটে পচা অ্যালকোহলের গন্ধ

আমি কাল্পনিক হয়ে যাই প্রতিরাতে , গাছ থেকে পুরুষেরা নেমে আসলে আমি শুধু চৈতন্য অক্ষরের কথা ভাবি 

আসলে আমার বিছানার নিচে এক সশস্ত্র মৃত মাছ জেগে থাকে আমার ঘুম বিন্দু নিয়ে

জলাশয়ের পাশে কিছু কাঠ গোলাপের চারা নিয়ে আসি মাংসাশী পুরুষের জন্য , যারা চাষাবাদ শুরু করেছে আজ 


আমি রাতের যানবাহনের  দিকে এগিয়ে যাই 

অনন্ত সামুদ্রিক ঘাটের দিকে নিজের বিভাজিকা গুলো শুকনো অথচ ক্ষুধার্ত থাকে 

হরিণ একদিন এখানে এসে সব কাগজের পুতুল গুলোকে খেয়ে নেওয়ার পর শিরদাঁড়া বরাবর কিছু পাতার শরীর রেখে গেছে মৃত ভগ্নাংশের মতোই 

চকচক করে ওঠে জলাশয়

সবুজ রঙের বাহারি রাত্রের একটি করে নিঃস্বার্থ গন্ধ আছে যেখানে ধারালো মাংসাশী দাঁতগুলো কাউকে কামড়ে দেওয়ার পরও রেখে যাবে ত্রিভুজের গোলাপি বসুন্ধরা পর্বত 

অথচ আমি কৃষ্ণের মতো বারবার ফিরে আসি অজস্র অক্ষৌহিণী সেনা নিয়ে

আমার মা , আমি আর এক পরম পুরুষ একসাথে অশৌচ ভেঙে ফেলেছি আমার অন্ত্যেষ্টির পর 


লাল রঙের ভাত খায় বলেই আগুনের কোনদিন রজঃস্রাব দেখা যায়নি , ৩৩ বর্গক্ষেত্রে আমরা শুধু মিথুন শিখেছি

……………


সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

প্রচ্ছদ  -  অভিরুদ্র জানা

ঠিকানা -সুরতপুর,  দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১

কথা - 9434453614

Saturday 21 May 2022

নিমাই জানার কবিতা // ই-কোরাস ৫৭

 




নিমাই জানার গুচ্ছ কবিতা




৪৩ ডিগ্রির স্যালাইভা ও অ্যাবস্ট্রাক্ট সেন্ট্রোমিয়ার


৪৩° স্যালাইভা সমৃদ্ধ বীর্যভর্তি সাপগুলো উল্টানো আকাশের মতো দাঁত নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে মধ্য স্বরবর্ণের ওপর, বিষথলীর  উপর অসংখ্য মিশরীয় কথা রাখা আছে প্রতিটি রাতের গর্ভগৃহের মতো

রাতের জোনাকি একেকটি গর্ভপাতের চিহ্ন রেখে যায়

পরিচলন আকাশের কথা ভেবে আরো কিছু মৃত্যুর পরবর্তী জন্মকথা রাখি সেন্ট্রোমিয়ারের ভেতরে থাকা অলৌকিক পাথর চারাগাছের কাছে

অর্ধবৃত্ত কনফুসিয়াসের মতোই কিছু রজনীগন্ধার সাদা বস্ত্রাদি আঁকড়ে ধরে আমি আরো একবার নিম্নচাপের দিকে চলে যাই 

এখন আর কেউ বান্ধব নয়, সকলেই অকৃতজ্ঞ ছায়াতলে দাঁড়িয়ে হলুদ জবা ফুলের পাঁপড়িতে নরম কাদা মাটি রেখে যায় আমি শুধু নিম্নবর্গীয় হাওয়া কলের কথা বলে চলি, 


যেখানে অ্যাবস্ট্রাক্ট ডেমন গুলো আমাদের এখনই মুন্ডুপাত করবে একটি নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে, সকলের অবয়ব চেনা হয়ে যায়

কিছু ভৌগোলিক বিন্দু থেকে আমি আগুনের পর্ব মধ্যের ভেতর আরো একবার ধান বীজ রোপন করে আসি 

বানেশ্বর নামক প্রতিবন্ধী মানুষটি এখন প্রতিদিন নিজের ব্রহ্মতালুতে নাতিশীতোষ্ণ আগুন রোপন করে চলে, জ্যোতির্বলয় থেকে বেরিয়ে আসছে পুড়ে যাওয়া চামড়ার মতো আমাদের পূর্বপুরুষ 

আমি শুধু নিজের অক্ষর শরীরে হাজার দাহস্থানের কথা ভাবছি, 


ঈশ্বর আজ পিটুইটারির সাথে বিষাক্ত মূলরোম একসাথে ভক্ষণ করবেন, কারণ ভোর বেলায় কেউ অপরাধী থাকে না

……………..........


নাইট্রিক অ্যাসিড ও আয়না রঙের পোশাক


আমাদের শরীরে চতুর্ভুজ অসুখের চাদর গজিয়ে উঠছে দিন দিন 

আমরা তার নিচে দাঁড়িয়ে কোন অভিযোগ পত্র না রেখে বিষাক্ত কাপড়ের নৌকা বানিয়ে সকলেই নাইট্রিক অ্যাসিড মুখে রাখলাম

অঙ্গুরীমালের ছায়া খেতে অভ্যস্ত ছিলাম আমরা সবাই

গায়ের সব রক্ত কণিকা গুলো হঠাৎ করেই নীল হয়ে গেল বাতাসের গুচ্ছমূল থেকে একে একে নেমে আসছে সকল কালপুরুষ,  আমার কাছে কোন অসুখের ধারাপাত ছিল না

রুক্মিণীর মতো ব্রহ্মাণ্ডের চৈতন্য নিয়ে জোনাকি শুধু আমাদের সহবাস করার ইঙ্গিত দেবে 

আমি একটি ধূসর স্বরবর্ণ চিহ্নের মতো আয়নার পেছন থেকে অঙ্গুরীমাল কৌপিন আর কিছু ৯০ ডিগ্রি উত্তপ্ত নৈঋত দৈর্ঘ্যের কামনা চিহ্ন নিয়ে আমি ও  রতিক্লান্ত হয়ে যাব সংজ্ঞা নারীর পাশে 


বিশ্বকর্মা আমাকে রোপন করে যাবেন প্রতিদিন সঙ্গম পরবর্তী ব্রততী ফুল গাছের গোড়ায়, আমাদের সকলের পোষাকের ভেতর আর একটি মৃত নদী শুয়ে থাকে, তার গায়ে কোন আগুনের ক্ষত নেই, প্রতিদিন একটি ইছামতি অসুখ রোপন করি ঝাউ তলায় বসে

মৃত্যু নেমে আসবে আমার দীর্ঘ শ্বাসকষ্ট থাকে বলেই, আমি আজ পর্যন্ত অ্যাসকোরিল এল এস খাইনি 

ধীরে ধীরে একটা সাপ আরো রাতের থেকেও আরো পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার পর গর্ভবতী হয়ে যাবে,  

কাউকে কাল্পনিক দেখালেও কোন ছায়াপথের কথা বলতে নেই সব নাবিকের মতো ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমি এক মন্দিরের থেকে নেমে যাই 

আমার গায়ের বিষধর গ্রন্থিগুলো আলগা হয়ে যায় , ধুপের গন্ধ বেরিয়ে আসে 


আমি ইচ্ছে করেই হাসপাতাল থেকে ঘুরে আসি যদি খুব স্বল্প মূল্যে মৃতদেহ পাওয়া যায় কিনা, এখন মৃতদেহ বাড়িতে সাজিয়ে রাখতে ভালো লাগে

…,.......................


নিরক্ষীয় চারাগাছ ও হিমোগ্লোবিন সাকুলেন্ট


শীতল আগুনের থেকেও হালকা বায়বীয় লম্ব বৃত্তাকার ট্যানজেন্ট রমণীগুলো চারুশিল্প হয়ে দাঁড়িয়ে আছে 


চৈতন্যের মতো অকৃতজ্ঞ ঘোড়াগুলোর পাশে কিছু হিমোগ্লোবিনের চারাগাছ দেখেছি বিরাম চিহ্নের মতো 

সবাই নিরক্ষীয় অসুখ পছন্দ করে বলেই আমি একটি বিছানার চারপাশে কিছু অদ্ভুত সাকুলেন্ট চারাগাছ রাখি 

আমি আমার মুখগহ্বরকে সবথেকে বেশি ভয় করি আজকাল

আমার শরীরের ভেতর এক দ্রৌপদী আর পঞ্চপান্ডব প্রতিদিন রমন ক্লান্ত হয়ে পড়েন

প্রতিদিন যে রাস্তায় চলে যাই তারা এত নির্মাল্য মন্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কেন তাদের গায়ে কোন ফেরোসোফেরিক নেই, নৌকা নেই ভূধর সলিল নেই, শুধু একটা নারীর রূপকথা থাকে 


একটা নদী কতবার ত্রিকোণমিতিক হওয়ার পর নারী হয়ে যায় সকলের পিঠের দিকে একটি পিচ্ছিল বাদামি সাপ শুয়ে থাকে

আমি চাঁদের শরীরে দেখেছি সব উভয়লিঙ্গ আকাশ নেমে যাচ্ছে স্বর্ণালঙ্কার ফেলে 

মুসুম্বি ফলের মতো সকলেই মরীচিকার মতো চকচক করে প্রতিটি অবৈধ রাতে, 

একটি সাপ যমুনা নদীর তীরে এসে প্রতিদিন সহবাস চাইছে আমার গায়ে কৃষ্ণ ফলকের মতো মৃতজীবী দেহের আগুন খাওয়ার মতো আর কোন পথ নেই 

গভীর রাতের পর আবছা অন্ধকারের নিকোটিনামাইড প্রাণীগুলো পেছনের দরজা দিয়ে শূন্য আকাশে ঘুরে বেড়ায়

আমি শুধু ভয়হীন সেলসিয়াস মুখের ব্রহ্মান্ড ও অদ্বৈত আত্মার সাথে ঘুরে আসি সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য নিয়ে 


আকাশগঙ্গার পাড়ে বসে নীল আবহবিকার করে চলি প্রাচীন ভূগোলবিদের কাছে, আমাদের তখন ঋ আকারের শীতকাল জড়িয়ে ধরেছে নাভিমন্ডলের কাছে

…………….............

 


প্যারোটিড ও নীল ফার্মেসির দোকান


খুদি সন্ন্যাসীর মতোই নিঃশব্দ দুপুর ভেঙে নিজস্ব বলয়ের ভেতরে ঢুকে যায় কিছু মন্ত্রণালয় মৃত জামরুল গাছের কম্পাংক 


সকলের অসুখ এক নয়, অসুখের মতোই দ্রবীভূত শতক চিহ্ন গুলো লুকিয়ে রাখি দৈর্ঘ্যহীন পলাশ ফুলের কাছে , মানুষ প্রতিদিন অকৃতজ্ঞ হয়ে যাওয়ার আগে নিজের মৃতদেহ দেখে নেয় বারবার

সকল নিদ্রালু মানুষগুলো হঠাৎ করেই কঙ্কালের ছায়াছবি মাপতেই গ্রাফাইটে পায়ের জল দাগ মুছে দিয়েছে কোন এক বৈষ্ণবী

দৈর্ঘ্য মাপি একটা শ্বাস বায়ুর ভেতর, আমি কাল্পনিক হয়ে যাওয়ার পর সব পুংলিঙ্গ চারা গাছের তলায় এক একটা ধাতুর বীজ পুঁতে রাখি গন্ধর্ব পাহাড়ের মতো, নিজের ইন্টেসটাইন বেশ সুস্বাদু লাগছে আজকাল, গোপন অন্ধকারে বসে বসে নিজের বৃহদন্ত্র থেকে পাকস্থলী, গ্রাসনালী থেকে প্যারোটিড সব ছেঁড়া ছেঁড়া রক্তের জমাট দানাগুলোকে খেতে ইচ্ছে করছে,


সকলেই আগুনের মতো শুয়ে থাকে সারথীর গোপন কক্ষে, আমি এক আদিগন্ত চন্দ্রালোকিত মাঠে নিজের অলৌকিক ক্লোরোপ্লাস্ট দাঁতে এক অন্ধকার পাখি উড়ে যায় আমার মৃত মায়ের দেশে, আমি আজকে আবার দুপুরকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে দেখলাম

আমি তাদের গায়ের লোমে কাঁটা কম্পাসের অজস্র চারা গাছ লাগিয়েছি, একটি ভয়হীন রাসায়নিক পদার্থ সালফিউরাস দানা

মৃত ঘোড়ার উদাহরণ, 

যার ভেতর লুকিয়ে থাকা কিছু ফার্মেসীর উলঙ্গ ঔষধ গুলো বোতলের গায়ে লিখে রাখে কিছু মেডিকেল এডভাইস শাড়ি বেদানার মতোই 

একগুচ্ছ অন্ধকার নিয়ে সরলরেখা খুঁজে বেড়ায় একটি হলুদ রঙের ঔষধি বৃক্ষ, যারা সরলবর্গীয় আগুনের নিচে নিজের গলাভাঙ্গা টেস্টোস্টেরনকে বাড়ির জামা তোলার হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখে আর কিছু মৃত মৎস্যজীবীর গায়ে অলৌকিক অশ্বারোহী ভাঙ্গা কাঁচ দিয়ে পুড়িয়ে চলে মধ্যশিমুলের গর্ভপাত


জীবাশ্মকে কেউ কখনো ভয় পাই না

……………................


ইছামতি ও রসায়ন বিজ্ঞানের ময়ূরাক্ষী


পুংকেশর ঘোড়াদের মতো আর কোনো শূন্যস্থান রসায়ন বিজ্ঞানের গোপন কক্ষে নেই 


আমি প্রতিদিন একটা রাত্রিকালীন গর্ভগৃহে ঢুকে যাওয়ার পর দেখি সকলের মাথায় কম্বোজ শ্রেণীর তেত্রিশটি পালকের আগুনের লেলিহান শিখা, মৎস্যগন্ধা নারীটি উঠে আসছে ঝিম কালো স্বরবর্ণের ওপর 

সূক্ষ্মকোণে দাঁড়িয়ে একেকটি সহবাস গোপন করি, আমি শুধু রোদের ভেতর কাল্পনিক সুমেরুবৃত্ত কল্পনা করি অগ্নি বলয়ের রুদ্র-অক্ষর দিয়ে

আমি ক্রমশ অসমাপিকা ক্রিয়া হয়ে যাই রাতের যানবাহনের মতোই, এক বিন্দু বিন্দু নক্ষত্রের দিকে মুখ করে কিছু গোপন আকাশ দেখে আসি 

এখানে সকলেই মৃত বলে মনে হয় অথচ কাল্পনিক সব অন্ধকারের মতো একটা উল্টানো কাগজ ফুলের চারা গাছের মতো টিমটিম করে জ্বলে যায় 


আমার বান্ধব হতে পারে কোন এক সরীসৃপ অথবা বিষহীন গোখরো, আমি জ্যামিতিক কাঁটা কম্পাসকে কতদিন সহবাস শিখিয়েছি আমার বিছানায়

নক্ষত্রের আলো বন্ধ্যাত্ব ধরনের, আসলে তাদেরও গর্ভপাত হয়েছিল কতকগুলো সহস্র বছর আগে 

আমি কিছু দ্রাঘিমা শূন্য মানুষদের দেখি যারা শূন্য আগুনকে বুকে নিয়ে কিছু সরিসৃপ পুষে রাখে বুকের ভেতর 

সকলেই এক ব্রততী ফুলের মতোই অঙ্গুরীমাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে এক সাধনা ক্ষেত্রে 

আমি সব নারীদের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে চলি অথচ আমার শরীরের দেওয়ালের তাকে তাকে আটকে থাকা সব অলংকার চিহ্নের কাছে আর বিয়োগান্ত স্বর্ণ চিহ্ন নেই

রাতের নীল রংয়ের নতুন বাস টার্মিনাস কিছু কাঁচ ভাঙ্গা পারদ নিয়ে জেগে থাকে সরীসৃপের মতো, আমি প্রতিদিন তার কাছে গিয়ে ময়ূরাক্ষীর কথা বলে আসি 


ইছামতি আমাকে প্যাগোডা দেখিয়েছে সাদা আকন্দ ফুল নৌকায় বসে, ইছামতির কোন যতি চিহ্ন থাকতে পারে না 

………………........


সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

প্রচ্ছদ - অভিরুদ্র জানা

ঠিকানা -সুরতপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১
কথা - 9434453614












Saturday 14 May 2022

নিমাই জানার কবিতা // ই-কোরাস ৫৬

 



নিমাই জানার গুচ্ছ কবিতা   

ব্যবচ্ছেদ হীন ফল দোকান ও একুশটি সজনী র



আমি নিজের ব্যবচ্ছেদ করি একটি ভোঁতা ফরসেপ দিয়ে, নদীটির তীরে উপযুক্ত স্থানে নিয়ে যাই আমাদের প্রাচীন ফলদোকান 

আমাকে উলঙ্গ করে ভিজিয়ে যায় আকন্দ ফুলের নির্যাস 

ধীরে ধীরে আমার সব ক্ষতমুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসে আজকাল আমি নাশপাতির চরম মান আবিষ্কার করেছি

১১টি উলঙ্গ নারী, ২১টি সজনে রঙের শিশু সংকুচিত আবেগকেই ধীরে ধীরে মাথার ওপর জল গুলিয়ে ঢেলে যায়, পাতাবাহারের ডগায় রাখি প্রতিদিন শহরতলীর গর্ভপাতের হিসাব মধ্যদুপুরকে ছুঁয়ে গেছে বাল্মীকির মতো অন্য কোন বৃষ্টিদানার শারীরিক প্রক্রিয়া , নেলপালিশ 

দেহের প্রতিটি বুর্জ খলিফায় জমা হয় আরবিয়ান ডেটস আর ভেজা পাওলি দাম

হিমোফিলিয়ার গন্ধ একটি অপ্রকৃতিস্থ মানুষের মতো, যে প্রতিদিন আধমরা ব্রহ্ম কোষ থেকে বের করে সিস্টাইটিস নক্ষত্র রাতেরবেলা নক্ষত্র দেখলেই পায়ের তলায় বিষধর সাপ জড়িয়ে উঠে উনুনের বক্ষবন্ধনী অবধি, 

স্তন্যপায়ী লাল ব্লাউজের ভেতর অদৃশ্য মরুভূমি খুঁজতে গিয়ে কিছু পাইন গাছ আবিষ্কার করে ফেলি

পশুপতি কোনদিন অসম্পৃক্ত সম্ভোগের কথাই বলেননি ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান সমগ্রে, পার্বতী উপযুক্ত যৌনসঙ্গিনী ছিলেন

মাথায় অভুক্ত বৃহন্নলারা শুভ্রকীটের মতো অদ্বৈত ঈশ্বর নিয়ে আসে অলীক বিভীষিকা উলোট কম্বলের ভিতরে

মা হাত বাড়িয়ে সব ধরনের আতপ চালের দানাগুলো আমাকে চেয়ে বসে অথচ আমি পেন্সিলে আঁকা একটি সাধু মানুষের গলায় মৃত সাপ রাখি

বাবা ভৌত বিজ্ঞানের রামধনুর প্রতিবিম্ব দেখে গলার কাছ থেকে বাতাবি লেবুর প্রজননতন্ত্র বের করে 

শুক্রানুরা প্রতিদিন পিটুইটারি থেকে নেমে আসে সারা দেহ বরাবর বাইরে তখন শৈলোৎক্ষেপ অথবা চৌম্বক বলের ব্যাসার্ধ স্বেদন খাচ্ছে

…………….......



ধ্বজভঙ্গ সিটাডেল ও মনোরোগ বিছানা


আমার পুরোহিতের মতো আমি ও ক্রমশ ধ্বজভঙ্গ সিডাটেল ডান স্তন চিবিয়ে খাচ্ছি স্বর্ণালঙ্কারের নিচে 

আমার কোমরের কাছে যে অবৈধ তাম্র কুণ্ডলি থাকে তাই নিয়ে পিচ্ছিল সহবাসে রত হয়ে পড়ে গোপ সাম্রাজ্যের দ্বাদশ সন্তান

কোনদিন ইরেকটাইল ডিসফাংশন দেখা যায়নি পরমেশ্বরের চোখে আমি তবে প্রাচীন মনোরোগী ছিলাম , প্রতিদিন অশ্বগন্ধার জলীয় দ্রবণ ঠান্ডা জলে মিশিয়ে খাই অবন্তী নগর সমুদ্রের মতো

অবৈধ সঙ্গমে মিলিত হবেন সবাই মায়াঘোর কেটে যাওয়ার পর শ্রীরাধিকা ক্ষেত্রের চেয়েও যমুনা অনেক বেশি অবৈধ মৃত্যু চেয়েছিল

সাপের মতো আমি প্রতিদিন কোমরের কাছেই একটি অদ্ভুত অস্ত্র নিয়ে ঘুমোতে আসি,  শিশুটি একান্তই বুঝে নেয় বিছানার বালিশের তলায় মরুদ্যান লুকিয়ে থাকে

এখানে এলেই হরিণীরা মারা যায় , ক্যাকটাসের মাথায় তিনটি গর্ভাধানের অনন্ত কাল ,

ধীরে ধীরে আগুন রঙের পাখি গুলো দেবদারুর নিচে থাকা ঋষিদের দাতব্য করে গেছে ঝুলে থাকা ছায়াপথের স্খলিত শুক্রাশয়ের নিচে 

ফিনকি দেওয়া দাঁতের রক্ত আর  আরবি জাফরান দানার মত ওষুধপত্র খেয়ে নিরাভরণ সেবায়েত মন্দির থেকে বেরিয়ে আসছে ক্লোরোফর্মের জিভ

এন্টিহিস্টামিনিক ঔষধি বৃক্ষ লাগিয়ে দেবো মহাজগতের পাশে অদ্বৈত নিমেষে পালক পিতার কাছে ক্রমশ পাপস্খালন করবেন নিজেকে হত্যা করার পর 

অপ্রকৃতিস্থ মানুষ ঠিক অর্জুন পাতার মতো নিজেকে লিটমাস ভেবে নেয় সারারাত , এখন ব্রহ্ম যোগের কথা হোক

…………….......


এসিডিক বাম স্তন ও সামুদ্রিক প্রবাল


দেওয়াল জুড়ে ও দুর্ভিক্ষ থাকে ,কাঁচ পৃষ্ঠার ওপারে থাকা এসিডিক নারীটি বাম স্তনের ক্ষত মুখ ঝুলিয়ে রেখেছে নিজের জন্য

আমার তলদেশে গুজিয়ে ওঠা রক্তনদীর গর্ভস্থ আঙ্গুলগুলো কিলবিল করছে মৃত ডিম্বাণুর কম্পাঙ্ক নিয়ে

এখন কিছু অপারেটিভ টেবিলের শিরদাঁড়ায় রাখা অচেতন  ওষুধটির মতো একগুচ্ছ অন্ধকারকে জড়িয়ে ধরে সামুদ্রিক সৈন্ধব লবণের একটি অসুখ 

লুকিয়ে আছে আমাদের যোণী ও প্রহ্লাদ

প্রতিটি নাভি কুন্ডলীর কাছে চেয়ে দেখো ব্রহ্মা এখন পলাশের দাঁতালো অসুখগুলো প্রতিটি বিছানায় সারারাত ঘুরে বেড়ায় কালো নৌকার মতো 

ঈশ্বরীয় দাঁতে দাঁত রেখে আঁচল থেকে বের করে লাল করবী ফুলের ডগা , কংক্রিট মানুষেরাই প্রতিদিন আত্মহত্যা করে আগুন জীবাশ্মকে গ্রানাইট পাথরের উপর বিছিয়ে দেয়ার পর 

আমার দুটি হাত দীর্ঘ করে দেখি বাবলা ফুলে ঢোকার জন্য , কাঁটা ফুল ,রজনীগন্ধা ৩১ টি চন্দন গাছের ডগা দিয়ে আচমন সারি  প্রতিটি অক্ষাংশহীন দুপুরবেলায় 

ঈশ্বরী আর বাঁশি বাজাবেন না কোনদিন 

একটি মৃত বাঘ দাঁড়িয়ে আছে শরীরের অলৌকিক শব্দ স্থানে আমার ব্রহ্মবাদিনী জলাশয় থেকে উড়ে আসছে অবৈধ সন্তানের ভ্রূণ ও রক্ত 

একটি পরজীবী ছায়ার নিচে দাঁড়ালে নিজেদের উৎপাদক হারিয়ে ফেলি , আমার বাবার মতো আমিও ৩৬০°  জ্বরকে ভয় পাই  অচেতন হয়ে কঙ্কালের চারটি স্তন একসাথে চিবিয়ে খাই , রাক্ষসী কৌপিন পরে আসছে

……………......


জিরাফ রঙের ফার্নিচার দোকান


প্রতিটি সঙ্গমের পর নিজের ওপর সমকৌণিক বৃক্ষ হয়ে বসে পড়ি আমি , আমার গায়ের আঁশটে গন্ধ চলে যায় আমি তখন কোন এক বৈদিক যুগের বৃত্তাকার আগুন নিয়ে আরও কঠিন শীৎগর্ভ ভেদ করে কৃষ্ণ গহ্বরের লাল দগদগে লাভা নিয়ে আসি

আমার জিভের বদ রক্ত নিজেই খাই বলে খুব মিষ্টি লাগে

আমার অযৌন রঙের অঙ্কন প্রণালী এখনও কেউ প্রমাণ করতে পারেনি কিছু নিষিদ্ধ শিমুল গাছের কাঁটা একগুচ্ছ নারীদের শিফন শাড়ি আত্মহত্যা রং মেখে নাশপাতি বৃক্ষ হয়ে ঝুলে আছে 

তরল পাথরের উপর একটি ফার্নিচার দোকানের মৃত জিরাফ , সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার আগেই নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছেন তার চৈতন্য শিখা 

জিরাফের মধ্যপ্রাচ্যের ডগায় একটি গোলাপ ফুলের চারা লাগিয়েছি কোন ভূমা অঞ্চলের উর্বরতা দিয়ে

চুলের ডগা দিয়ে প্রতিটি অক্ষাংশ মাপার পর দাফন শেষের পুরুষদের হাতে মাটির দাগ লেগে থাকে , সে দাগ কাঁকড়া বিছা জানে না

আত্মহত্যার পর প্রতিটি পাজামার কিছু গ্লিসারিন মেখে নেওয়া উচিত যাতে গর্ভপাত বিষয়ক টেবিলের উপর কোন বোধিবৃক্ষের দাগ না থাকে

…………….......


একটি যৌন বিশেষজ্ঞ সাপ ও সালফিউরাস চাঁপা ফুল


একটি মৎস্য বিক্রেতার তলপেটে কতগুলো শিরার রক্ত আছে

অদৃশ্য ব্রাহ্মণেরা পাথরকুচির মতো লাল সাঁওতাল চিনে ফেলে রাতের বেলায় ,

কোমর থেকে কিছু গুগলি চড়ে বেড়াচ্ছে দৈনিক লাল ফুলের মত একটি সাদা রঙের মিছিল শীঘ্রপতন দোষে দুষ্ট যৌন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে বাড়ি ফিরে আসছে রাতে জল খাওয়া সাপের মতো

কিছু কার্ভিং মল্ডোড পয়েন্ট টেবিলের নিচে কামিনী ফুলের সহবাস কথা রাতের বিড়ালগুলো মাঝের ঘরে থাকার পর স্টেপই সিকিওর আর গর্ভস্থ ভ্রূণ জড়াজড়ি করে বয়ে যায় গঙ্গা জলের দিকে 

আমি আমি তখন রাতের কানামাছি খেলার আগেই দূরের চাঁপা তলায় গজিয়ে ওঠা জলজ গাছগুলিকে রোপন করে শুকনো বীজপত্রের উপর , অসুখের থেকে দূরে সরে গেলেই বাকি অসুখটুকু কবিতা হয়ে যায়

ঝুড়িতে করে আবর্জনার মতো নরম ক্লোরোফিল ফেরি করে চলি প্রতিটি অধিক ঝিম কালো ঝুপড়ি গুলোর ভেতর

আমার নরম দুঃখ কণার মতো সমকোণী ত্রিভুজ গুলো আজ একসাথে রৈখিক বন্ধনী দিয়ে জড়িয়ে ধরেছে 

আমাদের শরীরের ভেতর এক জড় রঙের ঈশ্বর আছে

চোখগুলো সালফিউরাস বলেই কিছু জলযান থেকে উঠে আসে অপার্থিব প্রাণী , তারা সকলেই ঝাউপাতার সাথে অবৈধ সঙ্গমে লিপ্ত হয় প্রতিদিন 

আমি অ্যানোফিলিস আর মৃত মেহগনি গাছের ফলের মতই গোখরো, আজকাল ব্যবচ্ছেদের পর হঠাৎ করেই বিসর্গ চিহ্নের তনুময় পুরুষকে দরকার হয়ে পড়ে

যার দেহে অজস্র ক্লোরোসিস ও শালপ্রাংশু গুঁড়ি লেগেছে

…………..........



সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

প্রচ্ছদ চিত্র - কোরাস

ঠিকানা -সুরতপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১
কথা - 9434453614










ইতি মণ্ডল এর কবিতা // ই-কোরাস ১৭৮

  ইতি মণ্ডল এর কবিতা   ১. পতিতা আমার জঠর থেকে নিষিক্ত ডিম্বানু দিয়ে, সৃষ্টি করো তোমাদের কাল জয়ী  নারীশক্তি…                      দেবী দুর্...