Sunday 26 July 2020

e-কোরাস ৩৭ // বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় এর কবিতা





বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়ের পাঁচটি কবিতা

১.
অবিবেচনা প্রসূত সংলাপ

অন্ধকার জড়ো করে  রাখছো  দরজায় রাখো
কথা বলতে বলতে খুলে দাও নৈশব্দ্যের ছাতা
ভয় করছে ?  
বৃষ্টি এলে ভিজে যাবে জমানো আঁধার  

বয়স স্বাধীন হলে এইসব বিবেচনা কখন হারিয়ে যায়
তার চেয়ে যেখানে থমকে আছো
আরোও কিছুক্ষণ থাকো 

ধুমপান নিষেধ জেনেও
 একটা সিগারেট ধরানো যাক এই অবকাশে

সাবধানে
 জ্বলন্ত দেশলাই কাঠি থেকে আগুনের ফুলকি বেরিয়ে
তোমার আজীবন সঞ্চিত অন্ধকার যেন পুড়িয়ে ফেলতে না পারে



 ২.
 লাভ ক্ষতির সহজ অঙ্ক

গাছের ডালে দড়ি বাঁধছে যে লোকটা
গলায় ফাঁস আটকে ঝুলতে ঝুলতে
                       চলে যাবে নক্ষত্রনগরে

এখন সে ‘এন আর সি’ ভাবছে না
ক্যাব নিয়ে ভাবছে না ,
ভাবছে না
দেশ বা দুনিয়া জুড়ে
সন্ত্রাসের মুখ কী ভাবে লম্বা হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন
জিনিসের দাম বাড়লে দড়ি কেন ছোট হয়ে যায়
এতে কার কতটুকু  কমিশন ?

এসব লাভ ক্ষতির বাইরে বিশ্বশান্তি ঝুলে আছে ডালে



 .
এবং নির্জন দ্বীপ

এই লম্বা সফরে এখন সাদা পাতা উড়ে যায়
সেগুনের জঙ্গল পেরিয়ে
চারপাশে উপকথা আখ্যানমঞ্জরী
নিমেষে আয়ত্ত করে  তারাদের পৃথিবীতে গেছে

উপত্যকা ভেঙে কেউ অলৌকিক চোখে
দেখে নিচ্ছে অতিথি নিবাস
পরিব্যপ্ত পথে পথে নির্জনতা
বোবা জল,
কেবল দীর্ঘশ্বাসে অবহেলা মুগ্ধ ছায়ার নীচে বাসা বেঁধে আছে

সুন্দরের চারপাশে একান্তে নির্জন আমি
ভাগীদার নেই



 ৪.
অবিকল্প রাত

ফাঁকা কেবিনের পাশে একা চাঁদ
তাকে নিয়ে রাত জেগে আছি
দুপাশে অজস্র ঘুম প্রতিরক্ষা ভেঙে আসবে নিরক্ত সময়ে
তেমন সাধ্য নেই

নিঃশব্দে হাতের মুঠোয় কিছু ভুল তুলে নিতে হয়
এই ভুল অলীক আশ্চর্য খেলাঘর

প্রিয়তোষ কল্পনায় অনন্ত প্রহর জুড়ে অবিকল্প রাত বেঁচে আছে




৫.
গাছেরা যেভাবে লেখে

গাছেরা কবিতা লেখে
আমি জানি লুপ্ত সেই শব্দের ভঙ্গিমা 
হাওয়াবাতাসের গায়ে দুলে ওঠে ছন্দের শরীর

পরাগে অক্ষর ভাসে
দূরে উড়ে যায়
হাওয়ায় আঁচলে সেই নিদ্রিত ডানার  গন্ধ 
অপ্রকাশ এই ধ্বনি তুমি জানো দূরবর্তী অভিমানী মেয়ে  
                     

           মাস্ক ব্যবহার করুন। দূরত্ব বজায় রাখুন।            প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাবেন ন।  



সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
তুলিতে - মঞ্জুরী হেম্ব্রম
ঠিকানা - সুরতপুর, হরিরামপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর,


পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১
কথা - 9434453614








Saturday 11 July 2020

e-কোরাস ৩৬ // সোমা পাল দাস এর কবিতা




সোমা পাল দাস এর কবিতা

মাটিরকন্যা।

এসো, জাদু আয়নার সামনে হও স্থির 
নরম পলি জমা মাটি, তোমার শরীর 
ওগো মৃণ্ময়ী,
তাকিয়ে দেখো, এ মিথ্যা মায়া -প্রাচীর ! 

জানো না কি?
পোষা মার্জার ও 
আঁচড়ায়
পেলে নরম 
জমিন! 

কাদের জন্য ছিল খোলা তোমার দোর?
ক্ষতবিক্ষত তুমি তাই এফোঁড় ওফোঁড়
ওগো মৃণ্ময়ী,
ভাঙো, ভাঙো এবার বৃথা স্বপ্ন ডোর।

এসো মেয়ে 
বসো একা 
চেয়ে দেখো
একা নদী
পতিতপাবনী!

ভালোবেসেছিলে? করেছো উজাড়?
ভেবোনা এ তোমার একার দায়ভার
ওগো মৃণ্ময়ী,
অভিমান ভেঙে হও শান্ত পাহাড়।

দেখো মেয়ে 
দেখো চেয়ে 
একা পথ 
সামনে
এগিয়ে যাওয়ার....

জাদু আয়না, জাদু আয়না বলোতো এবার
আর ঠিক কী কী আছে হারাবার! 
ওগো মৃণ্ময়ী
সময় এসেছে, বন্ধু-মুখোশ খসাবার।

তুমি মেয়ে 
একা নও 
মৃণ্ময়ী তুমি,
এবার
চিন্ময়ী হও।

এসো, জ্বালি আলো, মায়া, শোক ভুলি
ক্ষতে ক্ষত গেঁথে সাজাই বরণ ডালি
ওগো চিন্ময়ী
আলোর পুজোয় ঘুচে যাক চোরাবালি।
             ...................... 

সফর

সেদিনের বৃষ্টিতে ভেজা 
তোমার মনে পড়ে না 
অঘ্রাণের বৃষ্টির কথা 
কেউ মনে রাখে না...
শ্রাবণ তোমার সবটুকু 
ছেয়ে আছে বুঝি.....

এক ছাতার তলায় 
ঠিক আধা আধি 
ভিজে যাওয়া রাত,
তোমার মনে নেই জানি, 
তুমি এখন দামি গাড়িতে
এতো টুকু ভিজতে দাওনা শরীর। 

পশ্চিম আকাশে 
হঠাত মেঘের দাপটে, 
পশলা দুই বৃষ্টি
নেমেছিল সেই অঘ্রাণে,
তুমি ভিজেছিলে
আর ভিজেছিলাম আমি।

গাছহীন ফুটপাতে
তোমার ছোঁয়াতে 
আদরটুকু ছিল দামী 
এখন আধপোড়া
চাতক বিকেল জুড়ে
প্রেত ছায়া নামে।

হঠাত হঠাত ধূসর 
শহরের আকাশে 
মেঘ জমা অভিমান,
কোনে কোনে জমা 
জঞ্জাল উড়িয়ে দিতে
ঝড় ঘনিয়ে ওঠে। 

জানি একদিন 
চলে যেতে হয়,
ফুরিয়ে আসে সব
সিগারেটের মত করে ক্ষয়
তবু কোন কোন দিন
থেমে যেতে মন চায়।
           ..................

মনখারাপি গল্প

আকাশ জুড়ে বৃষ্টি নামুক
নামুক বুকে মেঘের শোক 
হাতে হাত জড়িয়ে থাক
আজ মনখারাপের গল্প হোক,

চোখের তলায় জমাট কালি
কন্সিলারে কমবে জানি
নাইবা পরলে মেকআপ খানি,
আজ চোখেরকালি কাজল হোক।

সময়গুলো বৃথাই গেছে
বৃথাই বিকোয় মূহুর্তরা 
শীতের বিড়াল আলসে ডিঙোয়
আজ বিচার হোক চুলচেরা।

অভিমান জমছে কোথাও
পুড়ছে ক্ষোভের নীলচে আঁচ
হঠাত যদি বৃষ্টি নামে 
গলুক মনের ধুসর ছাঁচ।

দোষের পর দোষ জমেছে
জমছে কথার নীলপাহাড়,
চুপরাতের দেওয়ালঘড়ি
টানছে একাই সময়ভার।

ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ
আধচুমুকে পড়েই থাক,
নেভা আকাশ কমলা -লাল
আজ গল্পগুলো উড়ান পাক।
            ................ 

কাঠগোলাপ ও সে

ওই কাঠগোলাপের গাছটার নিচে
শেষবারের মত দেখা হয়ে ছিল।
এত হাসতে পারত ও,
সামনে বয়ে যাওয়া খিলখিলে নদী ও
লজ্জা পেত।
সেদিন একটু ও হাসি ছিল না ওর মুখে,
অগোছালো শিরশিরে হাওয়া
চুলের ফাঁকেফাঁকে খেলছিল
অজানায় তোলপাড় হচ্ছিল বুক
আর সাগরগাড় চোখে চেয়েছিল অপলক।

আমার মুখেও কথা সরছিল না
পাশেই বসে ছিলাম।
এত ইচ্ছে হচ্ছিল ওর
হাতটা ধরতে...
ধরিনি কুণ্ঠায়।
আজ বড় অনুশোচনা হয়।
কেবল ভারি মনযোগ দিয়ে
ওড়নায় গিট পাকাচ্ছিলাম,
ওই কাঠগোলাপ গাছটার নিচে বসে,
তারপর মেঘ জমা আকাশে ঝড় উঠল...

এলোমেলো ঝড়ে ভেসে যাচ্ছিল 
আমার এলোমেলো কথারা,
মুখর ছিলো তার
কেবলই নিরব হয়ে থাকারা
নদীজল, বনতল,
ঘাটসোহাগি ছায়া
পাকদণ্ডী  ঘুর্ণাবতের কায়া
জোনাকির আগুননেভা মায়া,
নিরব ছিল সবই
তারপরই মেঘ জমা আকাশে ঝড় উঠল.. 

সেই ঝড় থেমে গেছে কবেই।
জায়গার অভাবে ছাদেই
একটা কাঠগোলাপ চারা লাগিয়েছি,
এতো টবের গাছ না
ফুল হলে হয়!
তবু ঝাঝরি ভরে দুবেলা জল দিই
একটা দুটো পাতা ছাড়ে
হিমভেজা বাতাসে পাতারা নড়ে,
ফেলে আসা কাঠগোলাপের সুবাসে
তার শেষ কথাগুলি গুমরে ওঠে.....

এ জন্মে হল না,পরের জন্মে আমরা....
তারপর মেঘ জমা আকাশে ঝড় উঠল, 

কথাগুলি আর শেষ হয়নি।
         ................... 

কালিম্পং

নীল পাহাড়, সবুজ পাইন
ধুপছায়া,
রাতগুলো, ধোঁয়া ধোঁয়া
কথা মায়া।

ঘুমভাঙা, সূর্যটা
মোড়া সোনায়
জাগে তখন, একলা মন
কার ছোঁয়ায়!

শুধু ফাঁকি, দিচ্ছে পথ
কুয়াশায়...
মন তবু, বুক বাঁধে
কি আশায়।

গুটিসুটি, ঠান্ডারা
লেপের ওমে,
রূপকথা, পরীদের
যায় থেমে।

শোক শহর, মৃত্যুবীজ
থাকে জমে
শ্রাবণ মেঘ, বুকচিরে
আসে নেমে।

ফুরায় রাত, ফুরায় দিন
সুর কাটে,
ঘরছাড়া, একতারা
পথ হাঁটে।
           ..................


সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
তুলিতে - কবির নিজস্ব আঁকা
ঠিকানা - সুরতপুর, হরিরামপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর,পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১
কথা - 9434453614


Wednesday 1 July 2020

e-কোরাস ৩৫ // আভা সরকার মণ্ডল এর কবিতা





আভা সরকার মণ্ডল এর কবিতা
১.
 মধুখোর

কিছু খুচরো বোঝাপড়ায় নিয়ন্ত্রিত হয়‌
দৈনন্দিন আলাপচারিতা।

টিকে থাকা ও টিকিয়ে রাখার তাগিদ
খুঁজে চলে প্রতিষেধক।

পিছু টানের বাহানায়
পড়ে আছে যে মৌচাকের কঙ্কাল
সেখানে শুধুই শূন্য কুঠুরি
কবেই উড়ে গেছে‌ মধুখোর !!
            ................



২.
শ্বর

আজকাল বিষণ্নতা শব্দটা
 ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে কবিতার খাতা
যুগ যুগ ধরে মমি হয়ে পড়ে থাকা,
 কাঁচ কফিনের বন্দিত্ব
 অস্বীকার করে, রাজত্বের সম্প্রসারন
করে চলেছে পৃথিবীতে।

দিনের দৈর্ঘ্য কমে আসছে ক্রমাগত
রাত পাখিরাও তাই
 ঘুমোতে চেয়ে করেছে যুদ্ধ ঘোষণা ।
গবেষণাগারের ঢাকনা ছিঁড়ে
পালিয়ে আসছে হাইব্রিড কীটপতঙ্গ।

অচেনা সেই চরিত্রের সাথে
মহাপ্রলয়ও এই সুযোগে
খেলছে ছোঁয়াছুঁয়ি।

শব্দরা পড়িমরি খুঁজে চলছে সমাধান
সাথে চলছে সভাগৃহ নিচ্ছিদ্র করার প্রস্তুতিও ।
এরই মধ্যে নানা ওজনের ঘন্টাধ্বনির
ঠোকাঠুকি তে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলতা,
আড়াল থেকে ঈশ্বর "জাস্ট ওয়েট, এন্ড ওয়াচ "
খেলায়  মগ্ন....
                     ....................


৩.
পুনঃ

আমি জল রঙা শাড়িতে
আধো ঘুমে বুনে রাখি শীতলপাটি
চিঠির শেষে পুনঃ বলে
 লিখেও দেই সে কথা।

আসলে গ্রহ নক্ষত্র গুলো
চিরকালই নিরক্ষর এবং গোঁয়ার।
অনুচ্চারিত বাসনা তাই, বর পেলে
যেচে নেয় পুনর্জন্ম ।

লাভ কি?
জন্ম জন্মান্তরেও গ্রহ-নক্ষত্রের দ্বারাই
আবর্তিত হবে পৃথিবী।।
                ...................



৪.
অর্বাচীন

মেনে চলা হয়নি সঞ্চয় সমীকরণ
দু'হাতের মুঠোয় শুধুই অপচয়ের  চিহ্ন,
প্রতিশ্রুতি রক্ষার দায়ভার
 বহন করেনি কেউ।

অস্বীকারের ঘোলা জলে
ঝাঁপিয়ে চলেছে মাছ ধরার চেষ্টা।
তবুও লক্ষণ গণ্ডি
পার করেনি সীমারেখা...

লোভের পোশাক পরে যতই আসুক
কুল ভাঙ্গা ঢেউ,
অর্বাচীন বলে সহজেই তাকে
ফিরিয়েও দিয়েছে , কেউ কেউ।।
            .............…..



৫.
পায়চারি

অযথা পায়চারি করেই কেটে যায়
সযতনে জমিয়ে রাখা অখন্ড অবসর।

অনুভূতি প্রগতিশীল হয়ে
বয়কট করেছে সমস্ত লৌকিকতা,
অলৌকিক হবার লোভে।।
           ...................



৬.
ঘূর্ণি

বুকের ভেতর তীব্র বেগে
ঘুরপাক খাওয়া ঘূর্ণিটাকে
বশে আনার চেষ্টাকে
রুখে দেয় অভিমান।

ওটা এখন সৃষ্টি সুখের উল্লাস
কিংবা ভয়ঙ্করী প্রলয়।।
          .................



৭.
রাগ

সপ্তসুর বাঁধা ছিল তীব্র একাগ্রতায়
কোমল, নিষাদে হয়নি গরমিল,
আনমনে মেঘ রাগেই ভিজেছিল চুল
তবু সেই সুরে বৃষ্টি নয়
কান্না এলো....

দীপক রাগেও জ্বললো না
দুখ্ পোড়ানো আগুন ...
দুঃখ এলো স্বয়ং ।

আদৌ কি বৃষ্টি নামে অনুনয়ে ?
আকাঙ্ক্ষার তীব্রতায় গলে যায় পাথর?

অভিমানী হাত আবার টেনে নেয় তানপুরা
রাগ কে আনতে বাগে।

বৃষ্টি নামানোর আকাঙ্ক্ষায় যারা
মেঘমল্লার  প্র্যাকটিস করে গেল আজীবন।
ক্লান্তি তাদের উপহার দিলো অবিশ্বাস।
ইতিহাস এখন বস্তুতঃই
কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি।

পুড়ে যাওয়ার জন্য যখন
অপ্রয়োজনীয় হলো চিতার আগুন
বোঝা গেল,মেঘমল্লার নয়
 দীপক রাগেই সেজেছিল ফাগুন।।
               .................


৮.
 ষোল আনা

শুধু দু'আনা জীবন 'শৈশব' নামে
 সুখ বিলিয়ে যায়,
আর দু'আনা কৈশোরের চারিদিকে
বানায় সুখের ঘাঁটি।

যৌবন এসে প্রচ্ছদ পাল্টায় ঠিকই
তার বরাদ্দ চার আনা জীবন ---
লুটেপুটে খায় হর্ষ-বিষাদ।
রকমারি স্বাদ খুঁটে খুঁটে
জমিয়ে রাখে হৃদয় নামক পুঁটলি তে।

এবার তত্ত্বতালাশ ঘাটলে
কপাল থেকে যে দুঃখ প্রপাত নামে,
তাকে বুকে আগলে রাখে
আর চার আনা জীবন।

বাকি চার আনার নাম অপেক্ষা
সুদের... আসলের...
বীমা করে রাখা ফসলের।
সে অপেক্ষায় নালিশ থাকে না
থাকে  অল্প সল্প আফসোস ।

শুরু থেকেই ঈশ্বর হতে চেয়ে
নাকানি চোবানি খায় যে খল নায়কেরা
তাদের কাছে জীবনের হিসেব থাকে না।
                ...................



সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
তুলিতে - অভিষেক নন্দী
ঠিকানা - সুরতপুর, হরিরামপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর,পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১
কথা - 9434453614




ইতি মণ্ডল এর কবিতা // ই-কোরাস ১৭৮

  ইতি মণ্ডল এর কবিতা   ১. পতিতা আমার জঠর থেকে নিষিক্ত ডিম্বানু দিয়ে, সৃষ্টি করো তোমাদের কাল জয়ী  নারীশক্তি…                      দেবী দুর্...