বর্ণালী ভুঁইয়া এর কবিতা
গুহার ভেতর
কোথাও কোনো খাদ নেই
পাহাড়ে রেখে এসো আর্তনাদ
কচুরিপানার সংসারে পাখিরা চুপিচুপি রেখে যাবে বুকের ওপর শ্বাস
আমি হেঁটে যাবো গুহার ভেতর
বাতাস নিয়ে এসো, অল্প আগুন এনো
প্রহর শেষে বারান্দা বাগানের আজ সপ্তম দিন উদযাপিত হবে।
নগন্য নারী
আজ রাতে জানি কোনো গল্প হবে না মুখোমুখি
একসঙ্গে ওয়েব সিরিজ দেখার ইচ্ছেও নেই তোমার
অথচ জানালার রেলিং ধরে বসে পড়বে চাঁদের তত্ত্বকথা লিখতে
যেখানে সাধারণ খাদের কিনারার
সঙ্গে আলোর উৎস সহজেই চোখে পড়ে
অন্ধকারের ভয় নেই বললেই চলে।
তোমার ফেরার অপেক্ষায় থেকে পোষা বিড়ালেরও খিদে পায়
আহারের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে ধান চালের গুদামে, সামনের পড়ে থাকা জঞ্জালের ভেতর
তারপর ঘুমিয়ে পড়ে খাটের এক কোণায়।
আমি কেবল অভিমানের বাষ্পে নিজেকে আবিষ্কার করি নগন্য নারী হিসেবে…
চাঁদের ভেতর
ছেলেটি কাগজ কুড়োতে কুড়োতে কখন কবি হয়ে গেল নিদারুন অবহেলায়
ঘাস-পাতার ভেতরে সযত্নে রেখে দিয়েছিল ফেলে আসা দিনযাপনের গল্প।
একদিন হঠাৎ দেখা হওয়ার সুবাদে মুখোমুখি কিছু অব্যক্ত কথা আর নীল রঙের শাড়ি হাতে দিয়ে ফিরে গেল অন্য ঠিকানায়।
আমি এখন চাঁদের ভেতর পৃথিবী খুঁজি
আর মাটির গভীরে আশ্রয় দিই ঈশ্বরের আরাধনাকে…
জন্মের সংখ্যা
রাস্তার মধ্যে হেঁটে গেল একটা কালো বিড়াল
সবাই ভাবছে মৃত্যু রাত্রি
বা আলো দূষণ
মাঝ বরাবর থামিয়ে দিচ্ছে নিজেকে
চলমান পৃথিবীর তাড়া নেই।
সংস্কার খোঁজো আলপথে
আমি কেবল হেঁটো পথ ধরে এগোতে থাকলাম
জন্মের সংখ্যা গুনে রাখিনি কখনো।
সংকেত
ফিরে এসো
সাজিয়ে নাও নিজের বিছানা
কোন শব্দ করো না
পাখিরা জেগে যাবে
ভরা পৌষে তুমি রোদ মেখে বেরিয়ে
পড়ো চাঁদের আলো খুঁজতে
আমি ঘরের ভেতর লুকিয়ে রাখবো উপবাসী সংকেত,
একাদশীর ব্রতে থাক সাগু, মুগের ডাল
ঘ্রাণ নেবো মাটি গন্ধের।
……………….
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪
No comments:
Post a Comment