Saturday, 9 December 2023

নিমাই জানা র কবিতা // ই-কোরাস ১৫৮

 



নিমাই জানা র কবিতা

১.

অপাদান দৃশ্যের নিহত কক্ষ ও সম্ভোগ লবনের যৌনপথ


শূন্যের টেলোফেজ ও নগ্ন ক্ষত্রিয়দের চতুর্ভুজ ইঙ্গিত, অশৌচকালীন সব নখলোম ত্যাগ করলেই প্রতিটি মানুষের শরীরে এক একটা সাদা কাঞ্চন ফুলের গাছ থাকে, গাছেদের ঠোঁট থাকে, সব রক্তাল্পতার হিমোগ্লোবিন ছড়িয়ে দিয়ে একটা নিষিদ্ধ কক্ষের সব শল্য চিকিৎসকেরাই গাছের ছালের মতো এক একটা শল্কমোচনে নেমে যায় অদৃশ্য পরা জীববিদ্যা শিখে, যোনির মতো উত্তপ্ত ভগাংকুরের নীল পাহাড়ের গলগন্ড রোগের থেকেও আরো বিষাক্ত আগুনের মতো এত বিশুদ্ধতম জীবাণু সংগ্রহকারক নেই

সকলেই আমার ঘুমের মতো একটা অদৃশ্য যৌন কাতরতা দ্যাখে,  শীত এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে রাতের মধ্যে অগ্নিচ্ছদার মতো, নিষ্ঠুর ঈশ্বর সংবিধান ভুল করে, আমাকে ওষুধ খেতে দেয় আমি ছায়ার মতো অদৃশ্য হয়ে যাই 

দেয়ালে দেয়ালে π চিহ্নের মতো শীতল মৃত্যুরাই কাঁচের গ্লাসের মত থকথক করে আলগা অ্যালকোহল ঢেলে দেয় আমার মুখে আমি একটা বিশুদ্ধ পুংকেশরের পচা দ্রবণ নিয়ে সারারাত ঘুরে বেড়াই

 ঈশ্বর আমাকে জড়িয়ে ধরে, আমি বাইরে বেরিয়ে গিয়ে সাদা বমি করি পূতবাহী নারীদের মতো, শ্বেতাঙ্গ যুবকটির বাতাস হয়ে ওঠার আগে এ মাটিতে হেঁটে হেঁটে যাওয়ার পায়ের ছাপ খুঁজতে খুঁজতে আমি ঢুকে যাই একটা পরিত্যক্ত জ্বালানি ঘরের দিকে, গাভিটি কামধেনুর মতো একটা বিশুদ্ধ নাভি মন্দিরের চারপাশে অলৌকিক হ্রদ উপত্যকা খুঁজে বেড়াচ্ছে আজও ধৃতরাষ্ট্রের মতো

এতো কি মৃত্যুর দরদাম কমে গেছে, লিথিয়াম অথবা কোন ম্যাগনেসিয়াম ভর্তি লাল গোলাপের মতো, লাল জবার জানু মণ্ডল চিরে বের করি কারো কাঁচের স্ক্যান রিপোর্ট যেখানে আমার মাথায় বদরক্তের ইঙ্গিত ছিল। নিজেই চুম্বন করতে করতে উজ্জীবিত করে তুলি। আমি মৃত্যুকে ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি মৃত্যুকে ভয় পেয়ে বুকের যন্ত্রনার মত কিছু অদৃশ্য চাপা দিয়ে উচ্চ রক্তচাপের নৌকো শুকোতে দেই নোহা চোখের সুর নদীটির পাড়ে

সোজা হয়ে শুতে তোমার কষ্ট হলেই লাল নীল অ্যাম্বুলেন্স তোমার বুক চিরে সাদা রঙের ধোঁয়া খাবে বলে নিয়ে আসছে তোমার বীভৎস চিতা থেকে, চিতার আগুন নিয়ে খেলা করে যৌনগন্ধী প্রেতশিলা, বীভৎস মাথার অষ্টাদশ কুঠুরি থেকে বের করানো মৃত মানুষদের ঘি মেখে নিচ্ছি মদ খাওয়া রাস পূর্ণিমার চাঁদে



২.

ঈশ্বরের মতো বীভৎস ক্ষত্রিয় ও নপুংসক জানালা 


ড্রেসিং টেবিলে থাকা লাল টকটকে বদ রক্ত জমানো আপেলের মতো এতো বীভৎস পাপী আর নেই, আমার গায়ে অজস্র লোমকূপের ব্রহ্ম ছিদ্র গজিয়ে ওঠে। দুর্গন্ধ।

পাকস্থলীর নিপুন সংগীত বিশারদ সকলেই, মাঝরাতে উঠে সকলেই নিজের অগ্নাশয় চিবোতে ভালোবাসে ধুরন্ধর কুমেরু অধিপতির মতো,  আমার আঙ্গুলে একটা রক্ত মুখাগ্নির শোষক আবিষ্কার করছি।

কোন দেবতা নেই যে নিজের নোঙরটি নামিয়ে নৌকা থেকে এক এক সতীচ্ছদ মিলে রাখবে রাতের ক্ষত্রিয়দের জন্য, অথচ বেদব্যাস জানেন ঈশ্বরের মতো আরও এক ঈশ্বরের বিবৃতি ও স্বর্ণালংকার যে গুলো মিলে রাখে নিজের জন্য 

আমাকে আগুন দাও শিব ও দ্বাদশ আদিত্যের রুদ্রপ্রসাদ, তোমাদের যোনিতৃ মহাপ্রস্থান শেষে আমিও ধৃতরাষ্ট্রের মত একটা দিব্য চোখের মৃদু তরঙ্গ নিয়ে খেলব সারারাত অগ্নিষ আয়ুধ সমগ্র নিয়ে

মৃত্যুকুণ্ডলীতে লাল আলো জ্বেলে রাখি নিজেকে দেখার জন্য, শববাহী নৌকাটি মাঝরাতে পাখনা গজিয়ে বিছানার উত্তপ্ত দুটো লোহার কাঁচি নিয়ে নিজের নাভিপিণ্ডকে কেটে দেওয়ার জন্য  অহেতুক ছটফট করছে, একটা শয়তান কয়েদখানার মালিক 

কাঁচ বন্ধ করে আমাকে দেখতে দেয় না সাইবারখানার নীল নীল ফটক আর অন্তর্বাস কৌটার ক্ষুদ্রাকৃতি অন্তর্বাস পরিহিতা বিজ্ঞাপনের নারীটির শীতল বরফ কুঞ্জবনে দাঁড়িয়ে বরফ হয়ে যাওয়ার অপরা দৃশ্য, মৃত মানুষদের পুড়িয়ে পুড়িয়ে ছাই জড়ো করে পূজা করছি আমরা ১৩ জন উন্মাদ সন্ন্যাস

মুদ্রাদোষ মুছি, হ্যালোজেন ভর্তি পিপাসা, অযোগবাহ নদীর গন্ধ, স্পাইরাল শির্দাড়া আর নীল ধনাত্মক স্বৈরতন্ত্রের পেছনে লুকানো ঘোড়াদের আদিম পদস্খলনের রেতঃদাগের উচ্ছিষ্ট যৌন অন্ধকারে নিজেকে বীভৎস বিলীন করে দেওয়ার দৃশ্য দেখার পর আমার অষ্টম বারের মতো তীব্র ক্লীব হতে ইচ্ছে করে, 

ঈশ্বরের মতোই আমি একটা ভুমিষ্ট আত্মার প্রণাম দোষ নিয়ে চতুর্দিকের বিছানায় আবছায়া নীল রঙের মশারি টাঙিয়ে ফুঁ দিয়ে পৃথিবীর নাভিচ্ছেদ করি। 

হাওয়ায় দোল খেতে থাকে বস্ত্রালয়ের বাইরে ঝোলানো একটা সিলিয়াম কোটেড নারী অদৃশ্য অবৈধ যন্ত্রণায় ঢুকিয়ে রাখি আমার দুটো কাটা পা, মৃত্যুমুখো নারীটা বাদাম চিবোতে চিবোতে জ্বালানি উপসর্গের ভেতরে ঢুকে গেল

আমি শুধু লাল হস্তাক্ষর উল্টে রেখে আরো একটা কালো রঙের ব্যঞ্জনবর্ণ নারীটির পুনর্জন্মের স্বমেহন ইঙ্গিত ছুঁড়ে দেওয়ার কথা বলে গেছি ৪৯ মিলিগ্ৰাম ভ্যালিয়াম খাওয়া সজারুকে, 

দিব্য ওমেগা থ্রি ক্রিয়াপদের মতো ঈশ্বর সমাপিকা হয়ে উঠছেন।



 ৩.

একটি প্রদর দোষের কফ ও স্টিল ফার্নিচারের প্যাথলজিস্ট নারী


অনুর্বর প্রহর দোষ মেপে বেরিয়ে আসছে তরল শ্লেষ্মায় রক্তের উপস্থিতি মাপা একটা কালো রঙের প্যাথলজিস্ট নারী, তার বিলিরুবিনে বারবার পুলস্ত্য নদী এসে জুড়ে যায়

দুটি গলাকাটা পুরুষ আবছা আলোয় পরস্পর পরস্পরকে সম্ভোগ করছে অথচ তাদের ঠোঁটে সাবানের বুদবুদের মতো বীজ লেগেছিল যেগুলো অনন্ত শীত ঋতুতে নিজেরাই অঙ্কুর গজিয়ে ছড়িয়ে দিত অনুর্বর গর্ভ মাটিতে, কোন মৃত্যুর আগে দীর্ঘ দশমিক বিন্দু বসেনি 

প্রভাবিত লোহিত খন্ড জীব সপ্ত ঋষি দেহ ফসল আগুনের কৃষিজ রেখা থেকে নেমে আসেন দুটি অমিয় পালক সারস্বত দুই অয়ন মধ্য মেধা ঐশিক নারীর সঞ্জাত অদৃশ্য অস্থি সমাহার শাকল্য ধর্মরাজ ও ভীরু ধৃতরাষ্ট্র 

গল্প সকলেরই একটা চুল্লি জ্বালানির কেন্দ্রের কাছে এসে কেউ কিউভিজুম সিক্রেট টেস্টোস্টেরনের গল্প শুনছে

 দুই হাতে দোলাচ্ছেন মৃত্যুর নগ্ন বিজ্ঞপ্তি শোকবার্তা শোনার জন্য অজস্র পশুপালক ছিল সেখানে তারা সকলে পাইন গাছের মতো বধির ছিল

তারাই শোকের কথা বলে যারা সান্তনার মতো ঈশ্বরকে খুঁজে পায়, নিভৃত সরাইখানায়। , তারাই ঈশ্বরকে অপ্রাপ্তবয়স্ক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখে

ঈশ্বরী উপত্যকায় অজস্র মেগনিফাইং কার্বন খাবার তৈরি করবেন জিনের আপেলের কামড় দিয়ে ঈশ্বরের সাথে কাঞ্চনজঙ্ঘায় নেমে গোলাপি রঙের বারুদ খুঁজে পায়। ঘোড়ার ডিম ভর্তি টেস্টটিউব 

একটা বিষাক্ত ওষুধের বোতল থেকে মাথার উপরে ঢেলে দেওয়ার পর শরীরটা নীল হতে হতে শরীরের উদ্বায়ী চামড়া মাংস দুর্গন্ধ যৌন প্রদেশ সব গলে যাচ্ছে আমলকি দানা ও ভেলভেট ঐশিক কণিকার মত। 

ভর্তি কালো রঙের খেলনা গুলো পুড়ে যাচ্ছে পুড়ে যাচ্ছে এক একটা পাউচ অফ ডগলাসের ইউরিন ক্যাভিটি, মূত্র মাপার মাপনী চোঙ রেখেছি প্রস্রাব দ্বারের কাছে, একটা নির্জন বরফের মত শীতকাল চাইছি আঙ্গুল রেখে দেবো উষ্ণতর সিয়াচেনে

সেই শিয়ালটাকে খুব দরকার যে মাঝরাতে ওঠে নির্লজ্জ উলঙ্গ চাঁদের দিকে স্ত্রী লিঙ্গ গুলো উঁচিয়ে জল মুখে করে এনে নিভিয়ে দিতে চায় জ্বলন্ত চিতা, 

একটু মৃগনাভি আর মাংসাশী গিরিখাতের কাছে ল্যাটেরাইট ঈশ্বরমুখী নাভীর মত একটা মহীয়সী গ্রস্ত উপত্যকা এত মূল্যবান হতে পারে 

আমার বাবার পরম পিতারা আদিম রাক্ষসের কার্তুজের মতো দুটো বাহু কাটা নিষিদ্ধ পানশালার ত্রিপুরা সংগীত গাইবে, আমি  শুধু ফেরোপেনাম ৩০০ নামক যত গৃহের ভেতর জিরো ডিগ্রী বিস্তৃতি ও দুগ্ধ উৎপাদক সরাইখানায় ঢুকে আমার নিজের ঝলসানো মাংস বিক্রি করব আমার মতো খর্বাকৃতি উলঙ্গ পিশাচ নক্ষত্রদের মধ্যে, 

ঋষিজিৎ মুখোপাধ্যায় আমার জন্ম লতিকায় একটা কাঁকড়া বিছা, দুটো পার্থেনিয়াম, একটা সুতিকা নারী, ভয় উৎপাদক মন্থন দ্বীপ ১৩ টা ডোরাকাটা পাজামা,  উনিশটা মাথার ঘিলু জমিয়ে রেখেছি চতুর্দশ মৃত্যুবার্ষিকীর জন্য, একমুখী আত্মাটা জমাট রক্তের বরফ খাচ্ছে

                  ……………….. 


সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

প্রচ্ছদ - অভিরুদ্র জানা

কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪

No comments:

Post a Comment

অমৃত মাইতি এর গদ্য // ই-কোরাস ১০৮

  আমি এক নদী অমৃত মাইতি আমি এক আঁকাবাঁকা নদী। জন্মের পর থেকেই শুধু বাধা বাধা আর  বাধা। বাধার পাহাড় বেরিয়ে আমি কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছি মোহনার ...