Sunday 31 December 2023

নিমাই জানা এর কবিতা // ই-কোরাস ১৬১

 





নিমাই জানার কবিতা 

 লাল মরীচি ঋষি ও মর্ডগেজ পাখিদের প্রাগৈতিহাসিক তত্ত্ব


থাইরক্স ফিফটি খাওয়া সবুজ কঙ্কাল গুলো শুকোচ্ছে রাত্রিকালীন অদ্ভুত ধান বীজের শেষ অঙ্কুরের মাথায় । এখানে ২πr সরযু নদীর ক্ষেত্রফলের থেকেও আরো নীল বর্ণালী ছটার রামধনুর ঘোড়াদের মাথায় লুকিয়ে থাকা মরীচি ঋষির মতো আদিম প্রাণায়ামগ্রস্ত কাটা কাটা জরায়ু বিক্রি হওয়ার আগেই সকলে ডার্ক চকলেট ফ্লেভার মেশানো কিউবিক মাংসের দোকানে ভিড় করে । 

লাল টমেটো ফলের মতো একটা নিরাময় যজ্ঞ নেমে আসুক । টংটং করে প্রেতেরা নাচবে । দানবেরা খুলবে তাদের উর্ধাঙ্গ । আর ফসফরাস মাখানো অদ্ভুত ভ্রুণেরা হাঁটা দেবে একটা সরু সুড়ঙ্গের নিতম্ব ওয়ালা জেলুশিল খাওয়া মর্ডগেজ পাখিদের সাথে।

আমরা কিনে নিয়ে যাব গলার ভেতরে জমে থাকা বিলিরুবিনের পাহাড় । আমি শুধু হাঁ করে থাকি প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রত্ন মানুষদের স্টেইনলেস ওভারকোটেড কাঁটা কম্পাসের দিকে । বীভৎস মানুষগুলো আগুনের যৌবনবতী গন্ধের চামড়া পোড়ানো নগ্ন দৃশ্যে কিছু অ্যাসিডের মোলকিউল খাচ্ছে হাসপাতালের করিডোরে দাঁড়ানো অদৃশ্য সেবিকাদের অবৈধ ঘোষণা পত্র ,  হাসপাতালে তুলো চাষ হয় এখন । সেলুনের ছেলেটা আমার গলা কাটে

কালো কালো রোগগ্রস্ত মানুষের শৌচালয়ের পাশ থেকে উদ্ধার করি নিজেকে , জন্মের আগের বিন্দু বিন্দু প্রস্রাব মুছে ফেলি গোলাপি গজে  , স্টেরিলিন ইনজেকশন, লাইগেশন ছুরি , খুব সচ্চিদানন্দ মনে হচ্ছে ময়না তদন্তের আগের ঠান্ডা বাতাস খেতে । 

হি হি করে হাসি, সদ্য স্ট্রেচার থেকে ডোমের ঘরের দিকে যাওয়ার আগে,  একটা নগ্ন নর্তক দুহাতে মৃতপ্রায় কাঞ্চন ফুলের মালা নিয়ে এসেছিল অবৈধ পেপটিক আলসারের ঔষধ কিনবে বলে

এ পৃথিবীতে ছায়ার দাম বড় কম বলে প্রতিটি অসুখ সেরে যাওয়া মানুষ ঘুরতে থাকে আরো একটা গ্রহের কাছাকাছি , জানালার কাছে এসে দাঁড়িয়ে থাকে এ্যাবসোলিউট তাপমাত্রার সানফ্রাস্কিস্কোর সিলিকন প্যাডেড জেলি মাখানো সেক্সটয় বিক্রেতা । আমি তরল কাঁচ দিয়ে প্রাতঃরাশ সারি । ভাজা ডিমের ভেতর আর একটা ঈশ্বর জন্ম নিচ্ছে ।  আমি নিজের যৌনাঙ্গ পুড়িয়ে দিয়েছি কালো কয়লা দিয়ে। 

শিট! শিট! শিট! ডিসেম্বরের শেষ দিনে আবারো কেউ বিষ খেলো 


 তিন প্রত্যুষের দরজা ও ক্ষেত্রফলহীন বিছানার ব্যাসদেব


শরীরের মতো তিনি প্রত্যুষ । আসবাবপত্রে এক একটা খনিজ অসুখ পুঁতে রাখেন । এ দেহের অনেক নিচেই পৌত্তলিক । তিনি চাষাবাদ করেন নৈঋতে নিয়ে যান । প্রলয় নৃত্য করেন । খনিজ ভর্তি আসবাবপত্র নিয়ে দাঁড়াতে দিয়ে শবাসনে শুয়ে পড়েন অতীত প্রাচীরের মতো । দুই হাতে নেচে বেড়ান এক এক কর্কট ও শঙ্খ সাপের আত্ম নিনাদ নিয়ে , বহুমুখী জরায়ু তিনি সারা শরীরে যোনীচ্ছদের মতো প্রতিবিম্ব আছে ।  দেশালাই কাঠি আর একটা বিষধর সাপের কঙ্কাল ।  ঈশ্বরের গলায় ভূত শুয়ে থাকে । প্রেত শুয়ে থাকে । জরার জবা ফুল শুয়ে থাকে । আমি ব্যাসদেব দধীচির পায়াসান্ন মাখি অযুত সশব্দে 

তিনিই তো বিবিধ ছায়া রাশি । পড়ে থাকে কাঁচের জলজ অসুখ ।  এখানেই ভগাঙ্কুরের দোষ । ঈশ্বরী নেমে আসেন পাতালপুরীর দিকে। ডার্ক ক্যাভেনডিস বিছানা । বিছানা থেকে নেমে যায় এক একটা প্রাচীন দেবতা । অপ্সরা উলঙ্গ নৃত্য ।  ছায়াময় আমার দুই দিক ।‌ নারী ক্ষেত এক এক ক্ষেত্রফল ।‌ রমণ ও মুক্ত উষ্ণীশ ।  এখানেই সকলে রমন পুড়িয়ে খেত রমণীর ঈ কার দিয়ে


ঈ কার নীল রমন ও সুদেষ্ণা নারীদের অনন্ত মুদ্রার জ্ঞানযোগ


তিনি জগতের জগদম্বা । তিনি পুরুষ নন তিনি নারী নন তিনি উভয়লিঙ্গ নয় তিনি ক্লীবলিঙ্গ সুচতুর চতুর্ভুজ থেকে আরো বিভুজ তিনি সারথি শঙ্কর্ষণ ও নীল ত্র্যম্বক

দুই হাতে জলজ ঈশ্বরীর অবয়ব । আঙুলে নাচেন ঈশ্বরের মতো রক্তকরবী । উড়িয়ে দেন শরীরের অনন্ত মুদ্রা ও জ্ঞানযোগের ত্রিশূল , শিরদাঁড়ার ওপর ঈশ্বরী । ঋষি আদি নক্ষত্র আর সান্ধ্যকালীন তারা । একাকী যজ্ঞের চতুর্পাশে বসেন চতুর্ভুজ দানবের মতো। এ ধূসর পথে তিনি কর্দমাক্ত ।  বেজঙ্গম । পান্ডুরোগ । জাহান্নামের তিলক । জালিম স্রোত । আগুনের স্রোত । এ বরাভয় মুদ্রা আমার । এই পরিচ্ছদের এক এক কৌস্তভ সৌরভ দাগ । এখানে লোমকূপ নেই । আত্মীয় নেই । সব মৃতেরাই আত্মীয়

এ জগতের পাঞ্চজন্য বাজে । কৌমুদী ।  জিষ্ণু । রক্তকরবীর মতো লাল সাপের ঠোঁটের লিঙ্গান্তর চিহ্ন। সমকামী বিছানায় খনিজ দাঁত গলে যায় । এখানে কি আমারই মরনাস্ত্র লুকানো ছিল বৈকুণ্ঠের। 

নয়নে ক্ষত দাগ থাকে । ঈশ্বর নামেন ঋষির মতো সংক্রমিত।  প্রতিটা দাঁতে আঙ্গুলের গোড়ার ধনুক বাজায় কেউ ।  রাত্রের একটা মৃদু এস্রাজ বাজালে ফাঁসির আসামিটা লাল সাপের রজঃ তাপ মাপে। এসো ঞ বর্গীয় ঈশ্বরী ।  ছিঁড়ে যাই মায়াবন্দর ।  ঈশ্বরী তোমার হাতে লাল পদ্ম দিয়ে জয়ন্তীর সুদেষ্ণা গড়ে তুলি ।

পাপের মত লুকাই তাকে । সারারাত একটু একটু আণবিক দেহ খুলে রেখে আসি মাংসপিন্ডের কাছে । কালো আগ্নেয়গিরি নেমে আসে স্থূল ভঙ্গিমায় ।  এখানে শুধু মর্দনের অভাবটাই যত অসুখ । দীর্ঘ দাঁত মুদ্রা বরফের মতো উষ্ণ । এখন কোন স্বেদ ক্ষরণের উপসর্গ নেই। এখান কোন পৈশাচিক শ্বেতাঙ্গ নারীর উর্বশীবৃন্দ ।  আশ্রমিক শবরীমালা । কোন নিকুঞ্জ উপবনের রাসলীলা সমৃদ্ধ দুগ্ধ ক্ষরণ নেই। উন্মুক্ত করি পোশাকের জলজ প্রপাত।

পিতাই হলো ত্রিলোকের বসুধা । একটা ডিনামাইট বিস্ফোরণ করে দিচ্ছে মাইটোসিস রক্তাল্পতার অতি ক্ষুদ্র সান্দ্রতার নীল প্রতিবিম্ব গুলোকে ‌।  একটা রক্ত খেকো পিশাচ সারারাত ফাঁসির দড়িতে মোমের শুক্রাণু মাখাচ্ছে।

সত্যবালা বস্ত্রালয়, ইন্দোনেশিয়ার সাপ ,  এলাচ উপত্যকার ভিতরের শঙ্খিনী নারীরা লাল ছত্রাক গর্ভফুল নিয়ে বৈকন্ঠের পুর স্থানে বসে আছে , আমি ঈশ্বরীর পায়ের কাছে ধন্বন্তরি প্রসাদী ফুল রাখলাম , প্রলয় মার্কণ্ডেয় যজ্ঞ হোক মাথাটাকে ফরসেপে দুটো খণ্ড করে টেস্টিসের ব্রহ্ম কুণ্ডে ঢুকিয়ে রাখি , অনিকেত হাসছে যমলোকে .......


সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

প্রচ্ছদ - অভিরুদ্র জানা

কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪

No comments:

Post a Comment

তৃষ্ণা বসাক এর কবিতা // ই-কোরাস ১৮০

  তৃষ্ণা বসাক এর কবিতা ১. মহানির্বাণ   চুন্দ, চুন্দ, এখনি এই শূকর মাংস মাটির গভীরে পুঁতে ফেলো, পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে এই মাংস পরিপাক করতে প...