নিমাই জানা র কবিতা
১
অনিয়মিত ভাস্কর্য ও অপনয়ন মুদ্রার পিত্তথলি
নিমিখের অষ্টাবক্র। ঠংঠং হিমাংশু করাত। দাঁত দুর্বা ঘাস ও অশৌচ জলপ্রপাত। বিশুদ্ধ ক্ষয়রোগ। নাভি রাশিটি প্রাচীন। দড়ির কাছেই সকলেই তৈলাক্ত জরায়ু ছিন্ন করে। সব প্রতারকই মানুষের মতো দেখতে। গলায় কাঁকড়া বিছার চাষ । উলঙ্গ উলঙ্গ নেশাখোর চায়ের স্টল। কাঁচে পড়ে আছে পিত্তথলি ও বাদামের চাষী
বিগত পাপ জমে নৌকার নোঙরে। এই হাঁটি এই হাঁটি ঋতুবতী ইন্দ্রকুপির মধ্যস্থলের দিকে। এইট রুট টু নাভিটা লোমশ মাংস।
ঔ চিহ্নটিতে একটি বীভৎস গলাকাটার বাদামি রক্ত আছে। ডেন্টিস্টরাই পৃথিবীর ধূর্যটি প্রসাদের মতো, পিশাচের দাঁত ছিঁড়ে যায়। আলতামিরাই ভাস্কর্যের অপনয়ন নমুনা মাত্র। সন্তানটি
জিন বাহিত রোগের নিচের স্বাদ। সাপেরাই বিশুদ্ধ কথা বলে। সারারাত আমি কোন প্রতারক নই। দুলে ওঠে ফাঁসিদের মতো একটা বিপদসংকুল হাসপাতাল গাছ।
পাঠ্যবই শীতকাল। শীৎকার। ভৈরবী বারান্দা একটি ষষ্ঠ শ্রেণী চলে যাচ্ছে বিদুর নক্ষত্রের দিকে। বৃষ্টি এসেছিল কোন এক জ্যামিতিক ফাটলের উগ্রচন্ডা দাঁতে। পথ ভুল করে নক্ষত্র।
এসো নারী ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাই দুজন কঠিন প্রহরারত দ্বাররক্ষীর মৃদুলা সম্মোহন কক্ষে, হনন একটি ধাতুবিদ্যা।
২
স্ত্রীলিঙ্গের গুণিতক ও শুক্রাচার্যের মনস্তাত্ত্বিক ধ্বজ চক্র
জোত জমি কাকে বলে সোম দত্তা! শরীরই ত্রিভুবন। আর ঘুম ভাঙে বিষফোটক দিয়ে। আমি কপিল মুনির মতো কচ্ছপ আর কাশ্যপ দুইজনেই কালা পাহাড় থেকে নিয়ে আসি নিজেদের ভগ্নাংশ। আত্মার সামনে ঝুলে আছে টমেটোর মতো একটি পাচনতন্ত্রের নির্বিশেষ । বিয়োগান্ত শব্দটি ঘুমায়। জাগে। ভেংচি কাটে কার্পাসের তুলো। ভাঁজে ভাঁজে চোখ। কত রাতে মৃন্ময়ীকে ছুঁয়ে দেখিনি মনস্তাত্ত্বিক ধ্বজ পুরুষের মতো। মৃৎশিল্পীটি নেশাখোর, উপত্যকায় হাত রাখে চোখ বন্ধ করে।
ঠিক ভূপৃষ্ঠ ও মহাজাগতের মাঝখানে ভেসে থাকে। নৃত্য শেখায় রাতকে। রাত্রির কোন বিদঘুটে গুণিতক সংখ্যার চরস নেই। সব পরম। মড অফ ত্রিকোণমিতি।
শরীরে ঝুলে আছে স্কন্ধ পুরাণ। জলপ্রপাতের ঢেউ ঢেউ জলপ্রপাত উষ্ণতা তীব্র গতিশক্তি। আগুন রতি বৃষ্টি ও ক্ষতি দোলাটি সম্ভোগের নেশাতুর কাক। কেউ কেউ ঠুকরে মাংস বের করে।
এই অভিশাপ বড় উদ্দালকের মতো। শিষ্য আর কচ, শুক্রাচার্য দাঁত নীল হত্যাকারী এসেছিল ভস্ম দৃশ্যের ভেতর । শ্মশান
বাবাই কহোড়ে বেদ পাঠ করছে। শান্ত বেদ।
পিতাম্বর রাশির মতো জীর্ণ খাদক। জলহস্তী প্রাসাদ। বেলেল্লাপনা পলিসিনথেটিক বেড়ালের পা গুলো লম্বা। আগুনের মতো দীর্ঘ মরুপথে আর কেউ অধাতব বীজ রেখে যায়নি গঙ্গার উর্বরতার জন্য। হাতটি লম্বা করি উর্বরতা খোঁজার জন্য। কেউ কি মদনের বিসর্গ চিহ্ন দেখেছে!
৩
উচ্চাঙ্গ সংগীতের ভবঘুরে প্রদাহ ও জ্যামিতিক জায়মান
অপরা দৃশ্যের এই নৃত্যরত ঘোড়াটি। খোলস খুলে বারান্দায় ও গর্তের আদিম ধামে। স্বর্গ স্বর্গ হৈচৈ ইন্দ্রধনু গাভীর তলপেট নর্তক দৃশ্য আহা ঘুমঘোর সকলেই দ্রাক্ষায় নাচে। অবিকৃত শর্করা পাত্র।
শিথিল প্রহরে উচ্চাঙ্গ। বাজে আঙুলে ত্রিপুটি বীজ। অঙ্কুরিত এ সাপের ফনা গিলে খায় রাতে। বিশুদ্ধ বিশুদ্ধ জায়মান ভ্রুণের অসুখ। আহ মানসিক রোগীদের ঘর, ভবঘুরে সেন্টার। ০.২৫ এম জি ঋ কার বিকট চিৎকার করে। সাহিত্য। প্যারাফিনে মোম মোম। এ যক্ষার গোখরো গর্ত। জয়ধু এসেছিল রতি নিয়ে। বায়ু ভক্ষণ করি রোজ দুপুরে, ভাতের থালায় রক্তের তৈলাক্ত রুটি।
চক্রাকার জ্যামিতিক দাঁতের বৃত্ত ভরে মৃত্যু ঘোরে। শনশন সম্ভবামি। নৃত্যরত লিঙ্গ খসে পড়ে। দেবতার জনন পদ্ধতি জানিনি এখনো। কুকুরের মতো, নাকি প্রদাহের মতো, নাকি ফুসমন্তর। ছায়াটি আসল। প্রকৃতি মৃদু ধ্বজভঙ্গ অসুখ বস্ত্রালয়।
কে নৃত্য করে অশ্বিনী কুমারদ্বয়ের সাথে, দ্বাদশ আদিত্যের শঙ্খ ঈশ্বর ও নাচে, নাচার মতো বীভৎস কেউ কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করে রাতে। নর ধর্ষক। ট্রান্সজেন্ডারের একটি সার্জারি কক্ষ আছে।
ডক্টর কৌশিক চ্যাটার্জী একটি লাল ভ্যাজাইন উল্কি আঁকে দাঁতে। বৃষ্টি প্রহর আজও শৈলোৎক্ষেপের প্রদাহ । দরজাটিতে ঈশ্বর ঝুলে থাকে। বালির চড়ায় কতগুলো ঘোলাটে জল ভর্তি লিঙ্গের খোলস পড়ে আছে। মন্দিরে জল ঢেলে শান্ত করি নিজেকে, তুঁত ফল খাই রাতভর।
……………………..
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪
No comments:
Post a Comment