Saturday, 9 September 2023

অঞ্জন দাস এর কবিতা // ই-কোরাস ১৪৫


 


আগুনের ধাতুরূপ

অঞ্জন দাস  


ছয়


নেট পেরিয়ে বল চলছে  পেরোয় টেনিস কোট

উল্টো নীলের খাম ভর্তি নেশার পলাশ তোর

এই ছোঁবেনা এই ছুয়েছি বলের বাতাস  সাঁই

ফ্রক ভেঙেছে ব্রেক মারেনি তোর ককিলা ভোর       

   

 সহজ পাঠে ঠাকুমা ভীষণ পুরোনো কান টানে 

 গানের বেলা নিত্যনতুন ফরমেটে পান ভানে

 এই বিকেলে রঙের ঘোড়া পিক্ ফেলেছো  মেঘে

 জোকার শোনে রবীন্দ্রনাথ বাঁকি পুটের গাঙে


জল তো নয় জামাইবাবু টুকরো  কথায় ভাঙে

দইমিষ্টি তাঁতের শাড়ি বাড়ির মুখে তালা

ত্যাাজী ঘোড়া কূলভেঙে চাঁদ ডুবছে কলোনি   

পাড়ায় আসে দমকা বাতাস খিস্তিকাটে শালা     



সাত


"তোমারহাতে ছুঁচ সুতোটি আমার হাতে ফুল

তাইনা দেখে বিশ্বজুড়ে হিংসা হুলুস্থুল"


প্রিয়কবি স্ব-ভূমি সীমানা লেখে পার্বত্য নদী ঢালু পথে 

জলডুবি সিনেমায় রিল ছোটে ভেসে ওঠে দহন মথুরা 

ল্যণ্ডমাইন পোতা আছে বাঁশির ফোকরে কিছু লয়

মনে হয় হত্যা করি কলঙ্ক ভয়ের কিছু গানের পসরা  

 

পরাগে পরাগ ময় চোখ অন্ধকারে নামে খুশিগন্ধ রেণু 

ঘোরশাখা আলো খোলে অনন্ত পতনের প্রিয় প্রসাধনী

পাপড়ি ঠোঁটের কিছু মৌমাছি উড়ে যায় আয় ঠোঁটে

ঝড় ওঠে রটে যায় খণ্ডাংশ মেঘপদ্য সংক্ষিপ্ত জীবনী  


হলুদ পাখির শীষে ঘন হয় টি শার্ট  লবঙ্গ প্রশাখা

অল্প বয়সী জলে  কোমরের যন্ত্রণা  ঢালে নলকূপ  

ততটাই  শীতল বোধ যতটা উষ্ণ রাখো রোদের বর্ণনা

প্রতিবারে লেখো"তোমাকে ছোঁয়ালে কমে আমার অসুখ


আট


সাত সকালে নৌকাবিহার আলমারিতে রাধা

মাটির পথে ডুবল বাঁশি লাগে প্যাচকা কাদা   

শিপন  মেয়ে আক্কেলে তোর ভীষণকালা জ্বর  

পত্রলেখার  রজকিনী পাতায় খোজেন ধাঁধা


দিগন্ত ক্লাব বন্ধ চাবি রামির  তেরো তাস

শান্তিঘাটের চায়না বাতাস ভাঙছে বারমাস

চুমুক দিকে মঞ্চ হলো  ঝিল শুকিয়ে কাট

বেতের রানী তোর কলোনি বাঁশের কারুকাজ


দাঁড়িয়ে থাকিস বাদাম মোড়ে পাল্টে যাবে গলি

সিরিশ  কাগজ তুলছে জীবন  টিন ও খড়ের চালা   

ইনবক্সের  বকুল   মালায়  চণ্ডী দাসের  থলি

আলমারি  তোর পাণ্ডুলিপি শিখছে তাসের খেলা


নয়


"শাঙন রাতে যদি স্মরণে  আসে মোরে......  "


চিরকালের গান  

জল পুরুষের গায়ে কলস চুবালে 

পরিসীমা বেচে দেয় ঘড়ির আওয়াজ    

লাফিয়ে বেরোয় আত্মা কলস জানেনা  

কখন  ঢুকে  পড়ো দেহের গভীরে 


ট্যাপ খোলা মাথা গেলে সরষের বাড়ি

পড়ে নিও পৃথিবীর ভূগোল চারিতা    

কখন উঠলে নয় নামছো কতটা তুমি

বৃহৎ জলোভাগ গ্রহণ বিচারে   


পারঙ্গম সাগরে সংগ্রামী মায়া

ফেলে আসে সংসারী কন্ঠনীল জ্বালা

অবলার কৌশল  সমস্ত দেবতা 

মহালক্ষী পানে করো প্রেম নির্ধারণ


জলপুরুষ গায়ে দেবতার চিহ্ন নেই  

অসুর গেয়েছি তাই  কলসির জলে 

দেওয়ালের বেলাপুড়ে ছুটছে  টায়ার  

হাফ গায়ে কেরোসিন আলো আহরণ     


দশ


কর্পুর নগরী ডাকে গোলাপি বনের টিয়া 

দেবিকার বোধি নাও  মধুপর্ক বাটি

খরাটি মরসুম ঢালো যজ্ঞের আগুনে  

তুমি গন্ধ বাংলা হরফে থেকো খাঁটি


আরতি আওয়াজ ছিল দালানের খাঁজে 

পায়রার ডিমঠোঁটে আত্মগোপন  

ত্রিবর্ণা নদীর ছায়া স্নানে আসে প্রতিদিন

ছুরির ভেতরে  তার কথোপকথন

..........................


সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

প্রচ্ছদ - অঞ্জন দাস

কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪


No comments:

Post a Comment

অমৃত মাইতি এর গদ্য // ই-কোরাস ১০৮

  আমি এক নদী অমৃত মাইতি আমি এক আঁকাবাঁকা নদী। জন্মের পর থেকেই শুধু বাধা বাধা আর  বাধা। বাধার পাহাড় বেরিয়ে আমি কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছি মোহনার ...