সুবীর সরকার এর কবিতা
১
জলদস্যুদের গ্রাম
যে হাত ছেড়ে দেই আর ছুঁই না সেই হাত।
সব গাছেরই নিজস্ব এক ছায়া আছে
জলদস্যুদের গ্রামে ঢুকে পড়ছে প্রতারক
এক দিনের ম্যাচ খেলে কি হবে!
গুছিয়ে টেস্ট খেলুন,ওক কাঠের টেবিলে লাঞ্চ
সারুণ
কুয়ো থেকে বেরিয়ে সরাসরি চোখে চোখ রাখুন
২.
হাসপাতাল থেকে লেখা
আপনাদের গমরঙের আঙুল
আপনাদের খয়েরি চোখ
আপনাদের ব্যাক্তিগত হাসপাতাল
সব আমি সযত্নে গুছিয়ে রাখবো
দু দশটা খাল বিল আমি একাই টপকে যেতে
পারি
জনপদে হাঁস ও ফড়িং।
হাততালি উড়ে আসে ছোটবোনের জন্মদিনে।
৩.
উৎসব
দু'দুটি আপেলের মাঝে মুখ গুঁজে পড়ে থাকছি
আমি
এদিকে সার্কাসতাঁবুর মাঠে বসন্তউৎসব
তোমার উড়ে যাওয়া
টুপি
পাখির বাঁকানো নখের মত রোদ ছড়িয়ে পড়ে
ধানক্ষেত ও গমবনে
নাম ও প্রতীকসহ মুখস্থ করি হিমবাহের নাম
পতাকায় পারদ ঢুকলে
নদীর উপর আছড়ে পড়ে
ঝড়
৪.
অপেক্ষা
বনিকবাড়ির ব্যালকনিতে সেলফি তুলি।
শিকারের আগে জলের নীচে জ্বলে ওঠে গজার
মাছের চোখ
এখন সরু চালের ভাত।
এখন কপালের ভাঁজে উড়ে আসা প্রজাপতিদের
দূরে সরিয়ে দেই
তিরতির নদীজলে অপেক্ষা ভেসে
যায়।
৫.
সম্পর্ক
'দূরে সরে যাওয়া নদী হয়ে যাবে হয়তো
একদিন'
গাছের ছায়া মেখে দৌড়তে থাকা হরিণ
মনে হয় তোমাকে
শপিং মলে সেজে ওঠা এই শহরে খুব
মনখারাপ নিয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকি
টাইট জিনসের মেয়েরা
বাদাম ভাঙছে
পিঁপড়েদের পদযাত্রায় আমি অংশ নিই
না
বজ্রপাত ও বৃষ্টির ভেতর আমি কেবল
তোমার হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে
থাকি
………………….
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪
খুবই ভালো লাগলো কবিতাগুচ্ছটি। কবিকে অভিনন্দন!
ReplyDelete