Saturday, 3 December 2022

অঞ্জন দাস এর কবিতা // ই-কোরাস ৮৫

 



অঞ্জন দাস এর কবিতা


১.

ফাঁকা গলার গদ্য


পেছন দরজা খুলে পেছন মেরেছে

প্রচণ্ড প্রতাপের একমুখী রুদ্র পরেছিলে বাবা 

হার্ড বয়কট ভুলে চুলের ব্যবসায়

তোমার প্রতিবাদ বেচে দেবে মমতা

!! তুমি কী জানতে বলো 

খলো খলো খলনায়কের তোড় এখনো জোয়ার

গায়ে পড়ে এখনো তোমার জ্বালা

শালা শিশির জানেনা ঘাসের পায়ে পড়া রোদ পরাবে ইন্দ্রজাল

এ যে কালবেলা,হয়তো বদলে নেবে পট 

তুমি শুধু হাইচানি জমে থাকো গায়ে    

তোমার একুশ আমার একুশ আজ লোভী হয়ে গেছে

!! ভাসা ভাষা

ন্যায় যুদ্ধে একশত সন্তান কিচ্ছু পারেনা তাও জানো

তবে কোন অহংকারে খড়্গ উচাও সখা

!! চক্র কাটে সমস্ত চক্কর   

চোখে শুধু জয় ছিল, সততার চরম সাহস 

আজ তুমি কি নিয়ে লড়বে বাবা এতো এতো দুর্গম রাতে

বাতের যন্ত্রণা যোগ দেয় গায়ে, গতরে শকুন করে বাসা    

তাও সন্ত্রাস !   হাসি পায় লজ্জা আনো চোখ   

অহংকার ফেলে অশোক বিশ্বাস নিয়ে চলে যেও গয়া

অথবা বৃন্দাবনে,  প্রায়শ্চিত্তে যাও বুকের মমতা 

ওখানেই  ভণ্ডামি রাখো              

                 -------------------------


২.

আগুনের আত্মহত্যা

    

তোমাকে ছোঁবোনা বাঁশি

বিষমন্ত্র,জেগে আছে আমার পাড়ায়

!! তোমাকে   ছোঁবোনা বাঁশি

ডাল ভেঙে পড়ে গেছে ত্রিফলক রোদ  

ঘূর্ণি মার্ডার করে  

পিকাপ ভ্যানের চাকা,টাল বাতাসেরা!

!!আগুনের আত্মহত্যা

কলম চোবেনা আর পাড়ার দোয়াতে

 তোমাকে   ছোঁবোনা বাঁশি  

সর্বনেশে খিদের হুঙ্কার একটি প্রলয়

!!খুব কাছে, থরে উঠছে

ঘর,আতঙ্ক সিনেমার একটি ডায়লগ   

মাস্টার মশাই   

আপনি কিছুই দেখেন নি, গুণ্ডা দাঁড়ি! 

 তোমাকে   ছোঁবোনা বাঁশি  

বৈশাখী কাল শনির ছদ্মবেশে আমার

!! গনেশ মাথা কেটে

ফেরত দিয়েছে মানুষের মতো নয় মাথা  

হাতির কানের মতো 

হাতির দাঁতের মতো হাতির চোখের মতো

!!কিছু নেই শুধু শুধু

শুঁড় বেড়ি ধরেছি সিংহাসন আর তোমাকে

তোমাকে   ছোঁবোনা বাঁশি       

বিষমন্ত্র,জেগে আছে আমার পাড়ায়   

         --------------------------------


৩.

আগুনের ধাতুরূপ  


যে ছিল আমার...   

গলাভাঙা নদীচুড়ি 

আমাকে খেয়াল গাও, অপসেটে ছাপো নিশ্বাস

ঝাউ পল্লবে সাঁই স্বপ্নেরা ছোটে

গাছ মাথা অন্ধকার টুকছো বিশ্বাস


সুগার ফল্ট কবিতা সিরিজে     

 রুমালের মধ্যবিত্ত ঘামে তুমি থেকো 

আমি যে উপায়হীন প্রিয়দর্শী শ্বাস  

কাটাগলা জুড়েছি অনেকবার  

 ঘন্টা সহস্র ক্ষতের আনত পরিধি লিখি

স্কুলমুখী হয়েযাই রেশনের চাল 


পালের হাওয়ায় 

একটি ও সেমুখ দেখিনি

দেখিনি উচ্চবিত্ত মেঘহীন প্রফুল্ল সকাল  

বালিকা উচ্চ হলে বিদ্যালয় কমে যায়

তাও বুঝি বুঝিনি কেবল শুনি একতারা 

ফাঁকা নিকেতন পিঠে রবীন্দ্র প্রয়ান দেখি  


চেয়ারের দামী সক্ষতা বোবা বলে চাকরি দিলনা

তবু জীবনানন্দ পড়ি ফ্যাকাসে চোখের পাড়ে  

 মথুরা নয়ানজুলি  

হরিনী বিদ্রুপ কেনো মুক্তো ভেবেছি 

দেখেছি জানালায়- উড়ন্ত শামুক

               ড় আসলেই আবার চুরি 

দাপট বাজির বঙ্গে

তেলের শিশু ভাঙবে খোকা

তাসের গোলাম সঙ্গে 


পগের মাথায় কুণ্ডলী ও

ভাঙতে পারে দেশ

পাছার নিচে কয়লা গোঁজো

না হলে সব শেষ 


হেব্বি ওয়েট 


পেটের ব্যাথা- ফেল ওষুধে

ফ্রিজ ফুলে ডাঁই চিয়াস

উনিশ এবার দায় নিয়েছে 

মুখ্যু চাঁদের ইয়াস 

              ---------------------------


৪.

ছয়াশূন্য পুরুষ 


রেখারাত চলে গেছে গজলের গানে

আরতির শাঁস নীল পর্দার আড়ালে

পাতা খুললেই শুনি শাঁখের আওয়াজ 

জগৎ বৃষ্টি ময় বাঁশি ভাঙি গালে 


এমন বিভূতি রাধে ধুনোদৃষ্টি নদী

বাতাসের মজ্জা ও টুকলি করছে খরা

জ্বরা পৃথিবীর দলে বিভাজন খেয়া

সবার থাকেনা চোখ জলমগ্ন যারা

          ----------------------------


৫.

রাত আকাশের ক্ষত সিলভার থালা


প্রেমিকার মতো আমাকে ভালোবাসতে নেই

সম্ভাব্য নারীর চোখে লুকোনো আমার চোখ

আমাকেই দেখে আমিও ফিরিয়েছি মুখ

কোন সাহসের তোমার বাবুই বাসা এতো সুন্দর

সেকথা বুঝতে গিয়ে ডিগবাজি খাই বিরুদ্ধ আমি

প্রেমিকার মতো আমাকে ভালোবাসতে নেই


যত্ন সবাই চায়

দুর্বোধ্য কবিতা ও

তোমাকে ছন্দোবদ্ধ রেখে বাকিটা গদ্য লিখি

প্রতিটি গদ্যের চলমান সিঁড়ি অলৌকিক নেমে যায়

অমৃত সাগরে 

নগরের সব আলো উল্টো উল্টো লাগে

নাথেকে কেমন থাকার পাশে সারিবদ্ধ থাক্ হয়ে আছো

প্রত্যেক খ্যাতি আর অর্জিত পরমা

আমার বুকের নীলে তুমি তবু গভীর বিস্ময়

তোমাকে রেখেছি রোজ পঙক্তির গভীরে

পাছে  ঘুম ভাঙে পাহারায় বসে থাকি রূপোকাঠি


কখনো  হালকা ফাঁকা মাঠ 

 ফিসারিজ এ ডুবে থাকো

 রাত আকাশের ক্ষত সিলভার থালা।

              ---------------------





সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

প্রচ্ছদ - সুব্রত ঘোষ

ঠিকানা -সুরতপুর,  দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১

কথা - 9434453614


1 comment:

  1. অঞ্জন দাস আপনার কবিতাগুলির জন্য অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাই। 'প্রতিটি গদ্যের চলমান সিঁড়ি অলৌকিক নেমে যায় অমৃত সাগরে..'একরাশ মুগ্ধতা !

    ReplyDelete

অমৃত মাইতি এর গদ্য // ই-কোরাস ১০৮

  আমি এক নদী অমৃত মাইতি আমি এক আঁকাবাঁকা নদী। জন্মের পর থেকেই শুধু বাধা বাধা আর  বাধা। বাধার পাহাড় বেরিয়ে আমি কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছি মোহনার ...