নিমাই জানার গুচ্ছ কবিতা
৪৩ ডিগ্রির স্যালাইভা ও অ্যাবস্ট্রাক্ট সেন্ট্রোমিয়ার
৪৩° স্যালাইভা সমৃদ্ধ বীর্যভর্তি সাপগুলো উল্টানো আকাশের মতো দাঁত নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে মধ্য স্বরবর্ণের ওপর, বিষথলীর উপর অসংখ্য মিশরীয় কথা রাখা আছে প্রতিটি রাতের গর্ভগৃহের মতো
রাতের জোনাকি একেকটি গর্ভপাতের চিহ্ন রেখে যায়
পরিচলন আকাশের কথা ভেবে আরো কিছু মৃত্যুর পরবর্তী জন্মকথা রাখি সেন্ট্রোমিয়ারের ভেতরে থাকা অলৌকিক পাথর চারাগাছের কাছে
অর্ধবৃত্ত কনফুসিয়াসের মতোই কিছু রজনীগন্ধার সাদা বস্ত্রাদি আঁকড়ে ধরে আমি আরো একবার নিম্নচাপের দিকে চলে যাই
এখন আর কেউ বান্ধব নয়, সকলেই অকৃতজ্ঞ ছায়াতলে দাঁড়িয়ে হলুদ জবা ফুলের পাঁপড়িতে নরম কাদা মাটি রেখে যায় আমি শুধু নিম্নবর্গীয় হাওয়া কলের কথা বলে চলি,
যেখানে অ্যাবস্ট্রাক্ট ডেমন গুলো আমাদের এখনই মুন্ডুপাত করবে একটি নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে, সকলের অবয়ব চেনা হয়ে যায়
কিছু ভৌগোলিক বিন্দু থেকে আমি আগুনের পর্ব মধ্যের ভেতর আরো একবার ধান বীজ রোপন করে আসি
বানেশ্বর নামক প্রতিবন্ধী মানুষটি এখন প্রতিদিন নিজের ব্রহ্মতালুতে নাতিশীতোষ্ণ আগুন রোপন করে চলে, জ্যোতির্বলয় থেকে বেরিয়ে আসছে পুড়ে যাওয়া চামড়ার মতো আমাদের পূর্বপুরুষ
আমি শুধু নিজের অক্ষর শরীরে হাজার দাহস্থানের কথা ভাবছি,
ঈশ্বর আজ পিটুইটারির সাথে বিষাক্ত মূলরোম একসাথে ভক্ষণ করবেন, কারণ ভোর বেলায় কেউ অপরাধী থাকে না
……………..........
নাইট্রিক অ্যাসিড ও আয়না রঙের পোশাক
আমাদের শরীরে চতুর্ভুজ অসুখের চাদর গজিয়ে উঠছে দিন দিন
আমরা তার নিচে দাঁড়িয়ে কোন অভিযোগ পত্র না রেখে বিষাক্ত কাপড়ের নৌকা বানিয়ে সকলেই নাইট্রিক অ্যাসিড মুখে রাখলাম
অঙ্গুরীমালের ছায়া খেতে অভ্যস্ত ছিলাম আমরা সবাই
গায়ের সব রক্ত কণিকা গুলো হঠাৎ করেই নীল হয়ে গেল বাতাসের গুচ্ছমূল থেকে একে একে নেমে আসছে সকল কালপুরুষ, আমার কাছে কোন অসুখের ধারাপাত ছিল না
রুক্মিণীর মতো ব্রহ্মাণ্ডের চৈতন্য নিয়ে জোনাকি শুধু আমাদের সহবাস করার ইঙ্গিত দেবে
আমি একটি ধূসর স্বরবর্ণ চিহ্নের মতো আয়নার পেছন থেকে অঙ্গুরীমাল কৌপিন আর কিছু ৯০ ডিগ্রি উত্তপ্ত নৈঋত দৈর্ঘ্যের কামনা চিহ্ন নিয়ে আমি ও রতিক্লান্ত হয়ে যাব সংজ্ঞা নারীর পাশে
বিশ্বকর্মা আমাকে রোপন করে যাবেন প্রতিদিন সঙ্গম পরবর্তী ব্রততী ফুল গাছের গোড়ায়, আমাদের সকলের পোষাকের ভেতর আর একটি মৃত নদী শুয়ে থাকে, তার গায়ে কোন আগুনের ক্ষত নেই, প্রতিদিন একটি ইছামতি অসুখ রোপন করি ঝাউ তলায় বসে
মৃত্যু নেমে আসবে আমার দীর্ঘ শ্বাসকষ্ট থাকে বলেই, আমি আজ পর্যন্ত অ্যাসকোরিল এল এস খাইনি
ধীরে ধীরে একটা সাপ আরো রাতের থেকেও আরো পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার পর গর্ভবতী হয়ে যাবে,
কাউকে কাল্পনিক দেখালেও কোন ছায়াপথের কথা বলতে নেই সব নাবিকের মতো ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমি এক মন্দিরের থেকে নেমে যাই
আমার গায়ের বিষধর গ্রন্থিগুলো আলগা হয়ে যায় , ধুপের গন্ধ বেরিয়ে আসে
আমি ইচ্ছে করেই হাসপাতাল থেকে ঘুরে আসি যদি খুব স্বল্প মূল্যে মৃতদেহ পাওয়া যায় কিনা, এখন মৃতদেহ বাড়িতে সাজিয়ে রাখতে ভালো লাগে
…,.......................
নিরক্ষীয় চারাগাছ ও হিমোগ্লোবিন সাকুলেন্ট
শীতল আগুনের থেকেও হালকা বায়বীয় লম্ব বৃত্তাকার ট্যানজেন্ট রমণীগুলো চারুশিল্প হয়ে দাঁড়িয়ে আছে
চৈতন্যের মতো অকৃতজ্ঞ ঘোড়াগুলোর পাশে কিছু হিমোগ্লোবিনের চারাগাছ দেখেছি বিরাম চিহ্নের মতো
সবাই নিরক্ষীয় অসুখ পছন্দ করে বলেই আমি একটি বিছানার চারপাশে কিছু অদ্ভুত সাকুলেন্ট চারাগাছ রাখি
আমি আমার মুখগহ্বরকে সবথেকে বেশি ভয় করি আজকাল
আমার শরীরের ভেতর এক দ্রৌপদী আর পঞ্চপান্ডব প্রতিদিন রমন ক্লান্ত হয়ে পড়েন
প্রতিদিন যে রাস্তায় চলে যাই তারা এত নির্মাল্য মন্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কেন তাদের গায়ে কোন ফেরোসোফেরিক নেই, নৌকা নেই ভূধর সলিল নেই, শুধু একটা নারীর রূপকথা থাকে
একটা নদী কতবার ত্রিকোণমিতিক হওয়ার পর নারী হয়ে যায় সকলের পিঠের দিকে একটি পিচ্ছিল বাদামি সাপ শুয়ে থাকে
আমি চাঁদের শরীরে দেখেছি সব উভয়লিঙ্গ আকাশ নেমে যাচ্ছে স্বর্ণালঙ্কার ফেলে
মুসুম্বি ফলের মতো সকলেই মরীচিকার মতো চকচক করে প্রতিটি অবৈধ রাতে,
একটি সাপ যমুনা নদীর তীরে এসে প্রতিদিন সহবাস চাইছে আমার গায়ে কৃষ্ণ ফলকের মতো মৃতজীবী দেহের আগুন খাওয়ার মতো আর কোন পথ নেই
গভীর রাতের পর আবছা অন্ধকারের নিকোটিনামাইড প্রাণীগুলো পেছনের দরজা দিয়ে শূন্য আকাশে ঘুরে বেড়ায়
আমি শুধু ভয়হীন সেলসিয়াস মুখের ব্রহ্মান্ড ও অদ্বৈত আত্মার সাথে ঘুরে আসি সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য নিয়ে
আকাশগঙ্গার পাড়ে বসে নীল আবহবিকার করে চলি প্রাচীন ভূগোলবিদের কাছে, আমাদের তখন ঋ আকারের শীতকাল জড়িয়ে ধরেছে নাভিমন্ডলের কাছে
…………….............
প্যারোটিড ও নীল ফার্মেসির দোকান
খুদি সন্ন্যাসীর মতোই নিঃশব্দ দুপুর ভেঙে নিজস্ব বলয়ের ভেতরে ঢুকে যায় কিছু মন্ত্রণালয় মৃত জামরুল গাছের কম্পাংক
সকলের অসুখ এক নয়, অসুখের মতোই দ্রবীভূত শতক চিহ্ন গুলো লুকিয়ে রাখি দৈর্ঘ্যহীন পলাশ ফুলের কাছে , মানুষ প্রতিদিন অকৃতজ্ঞ হয়ে যাওয়ার আগে নিজের মৃতদেহ দেখে নেয় বারবার
সকল নিদ্রালু মানুষগুলো হঠাৎ করেই কঙ্কালের ছায়াছবি মাপতেই গ্রাফাইটে পায়ের জল দাগ মুছে দিয়েছে কোন এক বৈষ্ণবী
দৈর্ঘ্য মাপি একটা শ্বাস বায়ুর ভেতর, আমি কাল্পনিক হয়ে যাওয়ার পর সব পুংলিঙ্গ চারা গাছের তলায় এক একটা ধাতুর বীজ পুঁতে রাখি গন্ধর্ব পাহাড়ের মতো, নিজের ইন্টেসটাইন বেশ সুস্বাদু লাগছে আজকাল, গোপন অন্ধকারে বসে বসে নিজের বৃহদন্ত্র থেকে পাকস্থলী, গ্রাসনালী থেকে প্যারোটিড সব ছেঁড়া ছেঁড়া রক্তের জমাট দানাগুলোকে খেতে ইচ্ছে করছে,
সকলেই আগুনের মতো শুয়ে থাকে সারথীর গোপন কক্ষে, আমি এক আদিগন্ত চন্দ্রালোকিত মাঠে নিজের অলৌকিক ক্লোরোপ্লাস্ট দাঁতে এক অন্ধকার পাখি উড়ে যায় আমার মৃত মায়ের দেশে, আমি আজকে আবার দুপুরকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে দেখলাম
আমি তাদের গায়ের লোমে কাঁটা কম্পাসের অজস্র চারা গাছ লাগিয়েছি, একটি ভয়হীন রাসায়নিক পদার্থ সালফিউরাস দানা
মৃত ঘোড়ার উদাহরণ,
যার ভেতর লুকিয়ে থাকা কিছু ফার্মেসীর উলঙ্গ ঔষধ গুলো বোতলের গায়ে লিখে রাখে কিছু মেডিকেল এডভাইস শাড়ি বেদানার মতোই
একগুচ্ছ অন্ধকার নিয়ে সরলরেখা খুঁজে বেড়ায় একটি হলুদ রঙের ঔষধি বৃক্ষ, যারা সরলবর্গীয় আগুনের নিচে নিজের গলাভাঙ্গা টেস্টোস্টেরনকে বাড়ির জামা তোলার হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখে আর কিছু মৃত মৎস্যজীবীর গায়ে অলৌকিক অশ্বারোহী ভাঙ্গা কাঁচ দিয়ে পুড়িয়ে চলে মধ্যশিমুলের গর্ভপাত
জীবাশ্মকে কেউ কখনো ভয় পাই না
……………................
ইছামতি ও রসায়ন বিজ্ঞানের ময়ূরাক্ষী
পুংকেশর ঘোড়াদের মতো আর কোনো শূন্যস্থান রসায়ন বিজ্ঞানের গোপন কক্ষে নেই
আমি প্রতিদিন একটা রাত্রিকালীন গর্ভগৃহে ঢুকে যাওয়ার পর দেখি সকলের মাথায় কম্বোজ শ্রেণীর তেত্রিশটি পালকের আগুনের লেলিহান শিখা, মৎস্যগন্ধা নারীটি উঠে আসছে ঝিম কালো স্বরবর্ণের ওপর
সূক্ষ্মকোণে দাঁড়িয়ে একেকটি সহবাস গোপন করি, আমি শুধু রোদের ভেতর কাল্পনিক সুমেরুবৃত্ত কল্পনা করি অগ্নি বলয়ের রুদ্র-অক্ষর দিয়ে
আমি ক্রমশ অসমাপিকা ক্রিয়া হয়ে যাই রাতের যানবাহনের মতোই, এক বিন্দু বিন্দু নক্ষত্রের দিকে মুখ করে কিছু গোপন আকাশ দেখে আসি
এখানে সকলেই মৃত বলে মনে হয় অথচ কাল্পনিক সব অন্ধকারের মতো একটা উল্টানো কাগজ ফুলের চারা গাছের মতো টিমটিম করে জ্বলে যায়
আমার বান্ধব হতে পারে কোন এক সরীসৃপ অথবা বিষহীন গোখরো, আমি জ্যামিতিক কাঁটা কম্পাসকে কতদিন সহবাস শিখিয়েছি আমার বিছানায়
নক্ষত্রের আলো বন্ধ্যাত্ব ধরনের, আসলে তাদেরও গর্ভপাত হয়েছিল কতকগুলো সহস্র বছর আগে
আমি কিছু দ্রাঘিমা শূন্য মানুষদের দেখি যারা শূন্য আগুনকে বুকে নিয়ে কিছু সরিসৃপ পুষে রাখে বুকের ভেতর
সকলেই এক ব্রততী ফুলের মতোই অঙ্গুরীমাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে এক সাধনা ক্ষেত্রে
আমি সব নারীদের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে চলি অথচ আমার শরীরের দেওয়ালের তাকে তাকে আটকে থাকা সব অলংকার চিহ্নের কাছে আর বিয়োগান্ত স্বর্ণ চিহ্ন নেই
রাতের নীল রংয়ের নতুন বাস টার্মিনাস কিছু কাঁচ ভাঙ্গা পারদ নিয়ে জেগে থাকে সরীসৃপের মতো, আমি প্রতিদিন তার কাছে গিয়ে ময়ূরাক্ষীর কথা বলে আসি
ইছামতি আমাকে প্যাগোডা দেখিয়েছে সাদা আকন্দ ফুল নৌকায় বসে, ইছামতির কোন যতি চিহ্ন থাকতে পারে না
………………........
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
প্রচ্ছদ - অভিরুদ্র জানা
ঠিকানা -সুরতপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১
কথা - 9434453614
নিমাই এর কবিতা বিস্ময়।
ReplyDeleteআমি পড়ি।এখানেও একই রূপে পেলাম