নিমাই জানার গুচ্ছ কবিতা
উদ্ধবপুর অথবা এক সমুদ্র চৈতন্য
শচীন পাগলের মতো যে অবাধ্য দুপুর আমাকে একটি বৃত্তাকার মিষ্টান্ন ভান্ডারে নিয়ে যায় তার পেছনে আধখোলা অন্তর্বাসে কাপালিকের রক্ত ধোয়া হাতের চিহ্ন লেখা আছে , মরিচ ফুলের মতো রাক্ষসেরা আমাকে সারারাত চিবিয়ে চিবিয়ে এক মুষ্টি অন্ধকার বের করে আনে , যেসব রাত্রিগুলো মুখোমুখি ভোজন পর্ব শেষে পোশাক খুলে নেয় তারাই চৈতন্য
আমি রুক্মিণী হ্রদে স্নান করি সারারাত
এক মুষ্টি সপিণ্ড করনের জন্য অজস্র চতুষ্পদ অপেক্ষা করে আছে নরম জলাশয়ের পারে ,
প্রতিটি চতুষ্পদের আঠারোটি করে মাথা আছে , আমি পূর্বপুরুষদের আদিম ভক্ষণ শব্দ শোনার আগ্রহে বসে আছি আধসেদ্ধ খাবার নিয়ে , আমার নারী প্রতিদিন রংপুর থেকে ফিরে এসে কমলা লেবুর চারা লাগায় উল্টানো নাভিটবের ভেতর
হলুদ স্তনওয়ালা পাগলিনীরাই ভোরের আগুন মুখে নিয়ে হেঁটে বেড়ায় উদ্ধবপুরের প্রতিটি কৌণিক বিন্দুতে ,
আয়নার ভিতরে থাকা প্রতিটি মানুষ প্রলয় কালের আগেও আত্মহত্যা করে নিজেদের প্রতিবিম্ব ভরে রেখেছে বিবিধ উপাচার নিয়ে
অ্যালকোহলিক অথচ মালতী লতার মতো বেয়ে চলা আতপ চালের মতো ১১১ বর্ণের রক্তাক্ত ভ্রূণকে একটি মাটির পাত্রে রেখে নোনতা স্বাদের রক্ত পান করবো আমি নিজেই দক্ষ বকাসুর হয়ে ,
রাতের অন্ধকারে রজনীগন্ধার সিস্টাইটিস ক্রোমাটিন থেকে আরও গভীর নাভি সমুদ্রপুরের এক মন্থকূপ দরজার পাশে এসে বসি গোপীনাথ মালাকারের মতো
আমি তীর-ধনুকের ব্যাসার্ধ মাপতে মাপতে বৃক্ষ মূলের ওষুধধ্যধ্ব দিয়ে
...................
ফেনোপথ্যালিন ও ডান চোখের পরকীয়া বৃত্ত
বিপরীত অসুখের মতোই আমিও যুবতী রঙের পমগ্রেনেটের কৌণিক শিরদাঁড়ায় আগুনের চারা গাছ লাগিয়ে দিলাম
সারারাত ধীরে ধীরে পোশাক পাল্টে নিলাম মৃতভোজীর শবদেহ ফেলে ,
উলঙ্গ বাহার পোশাক রাতের বেলায় নিশ্ছিদ্র থাকলেও সারাদিনে ঘুরে বেড়ায় আমার একান্তই সহচর হয়ে
প্রতিটি ছায়ার নিজস্ব একটি রাসায়নিক ক্ষত মুখ আছে , কোনদিন উপনদীর কাছে থেকে আমি তার ক্ষত সারিয়ে এনে জলের ভেতর রাখি আবছায়া কম্পাঙ্ক মিশিয়ে , ফেনোফথ্যালিন আমার ডান চোখের নাম তার নিজস্ব পরকীয়া নেই
শুধু এক ভিনিগারের স্বচ্ছতা দিয়ে তাকে জড়িয়ে রাখি পেঁচানো শাঁখের ভেতর
ঈশ্বরী প্রতিদিন পুজো সমর্পণের আচমন শেষে বানপ্রস্থ অসুখ আমাকে দিয়ে যায়
আমি কখনোই সূর্যাস্তকে মেলে রাখি না আমার গোপন চৌকাঠের নিচে
চুপিচুপি কত কিছুই আজ আমার মত বদলে ফেলা অন্তর্বাস চাদর, একদিন বিশুদ্ধ নগর থেকে মহাজন' ফিরে যাবেন অনন্ত-বর্ষা সেরে
সেখানেই আমার অন্তর্ধান রহস্য রেখে যাবো প্রতিটি কোকিল পাখির জন্য , ঠিক যেভাবে শূণ্য পুরুষ মানুষের কম্পাংক নির্ণয় করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে এই একাইনোডার্মাটাহীন বসন্ত ঋতুকালে
প্রতিদিন ৯০ টি সোডিয়াম দানা জিভে দেখে অচৈতন্য মানুষ হয়ে যাই বৈধব্য নাগিনীর মতো
......................
কিছু মেডিকেটেড অঙ্গাণু ও ফায়ারবল পনসেটিয়া
সাদা বরফ ভেজা আমার অন্তর্বাসের কিছু মেডিকেটেড অঙ্গাণু লুকিয়ে রাখি আমার বুকের বামদিকে চিনচিনে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড় থেকে
একটি ঝর্ণা নেমে আসছে প্রোটোজোয়া রং নিয়ে
স্বপ্ননীল নামক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নারী আমাকে শুধু ঋতুবন্ধের কথাই বলে গেছে উন্মাদ সাগরের টেস্টোস্টেরন ফেলে
আমি শুধু ক্ষয়প্রাপ্ত কয়লা নিয়ে প্রতিটি মানুষের চোখে শিমুল তুলোর অযোগবাহ রেখেছি শ্মশান ভূমির মৃত তৃণভোজী মানুষদের জন্য
যাদের ঠোঁট থেকে ১৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের লম্বা লম্বা জিভ গুলো বেরিয়ে এসে জলাশয়ের কম্বোজ প্রাণীদের হত্যা করে , তাদের গায়ে ঘাম গন্ধ বেশ অ্যালকোহলিক
তুলে নেয় সব তরবারি ভাঙ্গা , তার পাশে ফায়ারবল পনসেটিয়া একদিন সব আত্মহত্যার গোপন কথা রেখে যাবে নরম বিছানার শাড়ির মতো
ঘোড়াটি মধ্যপদকে চিবিয়ে খাচ্ছে আমি একটি শিশুর জন্য মৎস্যগন্ধা ওয়াইন এনেছি
আজ রাত ২টো ৩৯ মিনিটে একবার ফ্যানের ব্লেডগুলি নিজের জননতন্ত্র খাবে
........................
কৃত্রিম মাছতন্ত্র ও ইওসিনোফিল চারাগাছ
মাছেরা আমার পায়ে কামড় দিলে আমি রক্তপাত নিয়ে ঢুকে যাই বিনিদ্র গুহার তলায়
সেখানে একগুচ্ছ লাল রঙের ব্লাউজ খোলা পেতলের মুখগুলোর থেকে কিছু ভয়ঙ্কর অপ্রকৃতিস্থ মানুষদের পিত্তথলি থেকে বের করে আনে সালমোনেলা বিষ
হ্রিং ক্রিং , আজ একটু বারুদের স্ত্রী লিঙ্গের ব্যবচ্ছেদ জরুরী হয়ে পড়লো , আগুনের দরদাম চলছে পাউণ্ডাল সেলসিয়াস স্কেলে
চলো কিছু পাখিদের নিয়ে উদ্দাম ভৃঙ্গী আনন্দ নিয়ে নিজেদের ধনাত্মক গর্ভাশয়গুলো আধ ভেজা করে রাখি কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের নিচে
সঙ্গম সঙ্গম ছেদ করে আমি নিজের উপর বসে থাকে লিঙ্গমুন্ড কামড়ে ধরে ,
এক পলিথিন অথবা অ্যাসিড দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে দেই আমার মতো জারজ পুরুষ মানুষের দুটো স্তন
রাতের দিকে হরিণেরা সব চুপচাপ আলপথের দু'পাশের ঘাসগুলো খেতে গিয়ে বমি করে দেবে তাদের সুজাতা পায়াসান্ন
আমি অমিতাভের পাশে বসে কিছু মধু সংহিতা পড়ে নেব আজ অথবা কাল
রক্ত রঙের শর্করার পেটে চাঁদ নারীর সালোক সংশ্লেষ চলছে
পুরুষ মানুষের সম্পূরক কোণ কতো তা ইওসিনোফিল জানে।
...................
রেবিপ্রাজল মৈথুন ও সাদা রঙের ঘোড়া
মধ্য দুপুর হঠাৎ ক্ষুধাতুর মৈথুন সেরে নেবে লাল হলুদ শিরীষ ফুলের গন্ধ নিয়ে ,
নিম ফুলের মধুর ভেতর এক জলপাই বৃক্ষের রনক্লান্ত শারীরিক প্রক্রিয়া ঠিক দেশলাই বাক্সে লুকিয়ে রাখা লাল জামরুল ফলের মৃন্ময় গর্ভকেশরের মত ,
আমার পা পুড়ে যাচ্ছে একটি মরচে রঙের পাথর খেয়ে নেওয়ার পর শরীরে কিছু নিম্নচাপের হলকা , ঘোড়াটির ডান পা বিষাক্ত ছিল না
ঈশ্বর কালো কঙ্কাল নৌকা থেকে কিছু সুক্ষ জলজ জীবাশ্ম উদ্ধার করছেন হরপ্পা মহাদেশের, আমার তিন বোনের রজঃস্রাব জনিত ইনফেকশান গুলো ঠিক কেঁচোর মতো কিলবিলিয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে সুষুম্না বরাবর
রেবিপ্রাজল পোষাকের ভেতর দুটো মুখ লুকিয়ে রাখি অবচেতনে ,
মাথার জমাট থ্রম্বাস ফেটে যাওয়া বৃত্তাকার মরুভূমির কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ শিরাপথের বাতিল অঙ্গানুরা একাই প্রতিদিন শাঁখ বাজাতে পারে মধ্য প্রহরে উঠে , কেউ আমার একটি চার কুল দিয়ে ছবি এঁকে দেয় আমি ব্ল্যাকবোর্ডের তলায় অমূলদ সংখ্যার জনন প্রক্রিয়া দেখেছি বৃষ্টিভেজা বানরের মত
আমার গায়ে কলমি রঙের ভেজা সহবাস এক ভিখারি মুছে দিয়েছে
আমি প্রতিদিন পাগলিনীদের স্তনবৃন্তের বৃত্তাকার কম্পন দেখে ফেলি লুকিয়ে লুকিয়ে
জানালার কাঁচের ওপাশে একটি মেয়ে মানুষ দাঁড়িয়েই থাকে সারা রাত , সে অবৈধ ঘরের জানালা খুলে আসতে পারে না ,
অথচ বিছানার ঘোড়াটি তাবৎ জবরদস্তি রতিক্রিয়া জানে সারারাত আমাদের মাড়িয়ে গেছে হিমাচল মির্টনাইট ও ফেলিজেস খেয়ে
বিটা ক্যাপ জিভে কালো রঙের ফোঁড়াটি একাই মরা সজনে ফুলের ডগা আর মঞ্জিরা নিয়ে উদ্দাম নৃত্য করছে
পুরোহিত অ্যালকোহল খাচ্ছে নাভি ছেদন রক্ত দিয়ে
.................
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
প্রচ্ছদ চিত্র - আনন্দরূপ নায়েক
ঠিকানা -সুরতপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১
কথা - 9434453614
No comments:
Post a Comment