নিমাই জানার কবিতা
হলুদ রঙের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ও ৯০° ডিগ্রি পিপুল গাছ
যারা হলুদ রঙের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর পর তাদের দেহে মৃত্যুর ৩০° গজিয়ে ওঠে মৃত মাছের মতো , তারাই পরে বৈষ্ণব ধর্ম পালন করেছে অসহিষ্ণু হয়ে
যে নারী আধ্যাত্মিকতার দুটো তুলসী দানা হাতে ধরিয়ে বলে এ জন্মে আর কিছু নেই , পরজন্মে এসো একবার সাপের মৈথুন খেলি সে আসলে নারী নয় ট্যানজেন্ট ৯০° কোণের পিপুল গাছের ছায়া , তাকে অমর্ত্য বলি সত্যযুগের
আমি মন্বন্তরের পর্যায়গুলো শিখে চলি নরকের খণ্ডিত দেহগুলো পাশাপাশি রাখার পর
নৌকাটি আদিম ভগ্নাংশ ফেলে ঝলসে যাওয়া পাতার নিচে কিছু মায়ের আদ্যশ্রাদ্ধাদি উপকরণ কিনে নিয়ে ফিরি বৃষ্টিভেজা অন্ধকার রাতে
গন্ধেশ্বরী ভান্ডারের এক পুরোহিত ব্রহ্মাস্ত্র ফেলে একদিন আমার বিমুগ্ধ চোখের জলের উপর তাল পাতার নৌকা চালিয়ে দিলেন আমি একটি কালো রঙের মানুষ হয়ে গেলাম
আমার কর্ণকুহর থেকে বেরিয়ে এল একজোড়া সাদা পায়রা সকলের ভেতরে থাকা অবৈধ বৃশ্চিক রাশি গুলি দোদুল্যমান সেফাড্রক্সিল খাওয়ার পর একটি হিমোফিলিক অন্ধকারে নিয়ে যায়
আমি তাদের গোপন ওষুধ গুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে বের করে রক্ত বমি করার পর
এখন খুব চন্দন বৃক্ষের দাম বেড়ে গেল অবৈধ গর্ভাধান রুখতে আসলে ,প্রতিটি পুরুষ মানুষের ও শ্বাসকষ্ট থাকা উচিত
ব্যাসদেব বলে গেছেন কালিয়া দহের নিচে কেন কালিয়নাগ বসবাস করত , সৌরভমুনি খুব ভালো অ্যাবস্ট্রাক্ট ইন্ট্রিগেশন জানতেন
.....................
লিভোসেটিরিজিন নারী ও ডান স্তনের ব্রাকিয়াল
আমার রাত্রি নামক রাজপ্রাসাদের ভেতর থাকা লিভোসেটিরিজিন নারীটি কখনোই রজঃস্রাবের সম্মতি দিত না
কোকিল বৃক্ষের মতোই ছিল তার চোখে অনন্ত দৈর্ঘ্যের ফলাফল , পাশুপত ঘরের ভেতরে থাকা কাঠের আলনা থেকে একটি সাপ প্রতিদিন মুখ বাড়িয়ে দীর্ঘ জিভ দিয়ে এঁটো করে দেয় আমার সৎ রঙের পরিচ্ছদ সকল
একটি মৃত সুপুরি গাছের নিচে অসংখ্য মূলরোম উবু হয়ে বসে আছে আমার পূর্বজন্মের মতো
তার গলায় থাকা অশরীরী মৃত্তিকা সকল উল্টে দেখি এরাই আমার একগুচ্ছ শুক্রাণু বহন করে নিয়ে যাচ্ছে চান্দ্রেয়ী নদীর দিকে , হলুদ সেবিকা আমার ব্রাকিয়ালের বদলে ডানস্তনে মাপনি চোঙ রেখে গেছে গলিত হৃদরোগ মাপার জন্য
একটি আগুনরঙা অন্ধকারের নিচে সব পোশাকেরা বৈমাত্রেয় বলে মনে হয়
আমি আজ সারাদিন মৃত তন্ময়কে নিয়েই একটি শ্মশান গাছের চারা লাগিয়েছি তার মায়ের অবৈধ আতা গাছের নিচে
চারপাশে উবু হয়ে বসে আছি একটি মধ্যকর্ণিকার টকটকে লাল জিভ আলো রেখার নিচে
আমাদের কালো রঙের ভঙ্গুর হাড়েরা নিজেদের থার্ড জেন্ডার জীবাণুর নাম করে ঘুমের আবছায়ায় চলে আসে
একে নীরব অঙ্কুরোদগম চাদরের মতো দেখায় , কোনদিন ক্রোমোজোমেরা ছোট জলাশয়টির সব জল খেয়ে নেবে আমরা ভুল করে দোষারোপ করব গ্রীষ্মকালকে
শংকর মান্না রঙের কোন রাতের বাউল আখড়া ছেড়ে বেরিয়ে আসছে অজয় নদের হাফ থার্মোমিটার জলের দিকে
......................
একগুচ্ছ সমর্পন ও ডিওডোরেন্ট গন্ধের
আমার ডান অলিন্দের কুঠুরিটি বানপ্রস্থ নারীর জন্য সংরক্ষিত আছে আজো , আমি আকুন্দ ফুল ভালোবাসতাম শুক্লপক্ষের মতো
শুক্রাণুর গন্ধ কখনো পচন হতে পারে না বরং একটি রজনীগন্ধার ভেতর যে অন্ধকার থাকে তার ফুসফুস এখনো খুঁজে বের করতে পারিনি
একটি মৃত পুকুরের চারপাশের জমাট অন্ধকার থেকে সিদ্ধার্থ প্রতিদিন উঠে দীর্ঘপথ পাড়ি দেন
দূরের বাগানবাড়িতে হেঁটে বেড়ালেই আমি কিছু ছিল পাতাবাহার নিয়ে দৌড়ে যায় নুপুরের শব্দ ফেলে
ঈশ্বর প্রতিদিন পায়ে আলতা , নাকে নোলক এবং ১১ জোড়া সন্তানের মৃতদেহ রেখে যায় কাঁঠাল গাছের তলায়
তারপর একদিন রাক্ষসের মতো এসে ভক্ষণ করে নেবেন ছায়া , কর্ম , দণ্ড , জ্ঞান , অজ্ঞান ,পাপ ও অভিশাপ সকল
আমরা কিছু সমর্পণের মন্ত্র শিখেছি আজকাল , হলুদ রঙ ফেলে কালাচ সাপেরা একটি ফিজিওলজিক্যাল ডিওডোরান্ট গন্ধ শুঁকে ভাসিয়ে চলে অষ্টবসুর নৌকা
প্রজাপতি ১৫ ° সূক্ষ্মকোণকে ঈশ্বর ভেবে শুক্র গ্রহে লুকিয়ে রাখেন প্রতিটি জীবন চক্র ফেলে
.......................
নোঙরহীন নৌকা ও দারুচিনির শ্বাসতন্ত্র
আমি নোঙর খুলে দেওয়ার পর সব নৌকাগুলি একদিন ফিরে আসবে মসজিদের পেছনে থাকা ছেঁড়া গোধূলির মতো
রক্তিম মৌমাছিরা নখর বের করে আমাদের তলপেট ছিঁড়ে খাবে আমি তখন বাড়ির দরজা থেকে উলঙ্গ দানার ঔষধ নিয়ে ছুটে যাব প্রাচীন ঘর অথবা জনপদের দিকে
সকলেই এখানে শৈশবকে রেখে যায় নিজের বাড়ির বারান্দায়
তারা সব হলুদ রঙের প্রজাপতি অথবা দারুচিনির মত স্থাপত্য জলাশয় অসংখ্য শিলালিপি ডুবিয়ে ছিঁড়ে খাবে আমাদের হৃদপিন্ডের কুঠুরি
আর আমরা রাতের বেলায় সকলেই নিচু হয়ে একটি বারান্দার কাঁচ ঢাকা গোপন অঙ্গাণু গুলোকে টেনে নিয়ে সব চতুষ্পদের মতো বেঁধে রাখবে নিজের নৈমিত্তিক ছায়া খাটের নিচে
সকলের হাতের নিচে কি স্বরবর্ণ লুকানো আছে ,
আমি শিশুদের মতোই ফুলের মধু খেয়ে নেওয়ার পর আজকাল আর কোনো মৃত গাছেদের সৎকার করিনা ,
একটি নিশাচর ভুল করে শাসনতন্ত্রের আলো জ্বালে নিশ্ছিদ্র বরফ দানা দিয়ে
আমি ১৮ টি পুরানখণ্ড পড়ে ফেলি মহেন্দ্রযোগ দেখে , সাদা রঙের অশ্বের মতো কৃষ্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে বিধুমুখী বসে আছেন
.......................
একটি জগডুমুর গাছ ও সাইক্রিয়াটিক পুরুষের ছায়া
নরম ভূষণ্ডির মাঠ থেকে ফিরে আসা দুটো শ্বাসযন্ত্র বুকে নিয়ে আমি রোপন করে চলি একটা মৃতপ্রায় বাগানের বক্ররেখা ,
প্রতিটি গাছের মূলগোড়ায় দাঁড়ালেই ছায়া ও ঈশ্বর হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে , আর গাছের কুঠুরির ভেতর কালো রঙের পিপীলিকা একগুচ্ছ অন্ধকার নিয়ে বিষাক্ত যন্ত্রনা ঢেলে দেয় আমার বুকের ভেতর
আমি তবে নদীতে এত অশৌচ বলি কেন ,কারন আমার প্রতিটা দিন একেকটা আয়ু খেয়ে নেয় মৃত্যুর মতো এতো কাজল রাঙা চোখ দেখে নেওয়ার পর
আমি কোন মাংসল অজুহাত রেখে যায়নি জগডুম্বর গাছের গোড়ায় , সর্পগন্ধার মতো অসংখ্য শহর ঝুলে আছে সবুজ ফলের নিচে
মৃত্যুর আগে নারীটি অহেতুক গোপনীয়তা লুকিয়ে রাখে নিজের ভেতর
সাইক্রিয়াটিক পুরুষ মানুষটি একা একা বেদনার বসন্ত বাজাচ্ছে
যে নৌকাটি ঘরের উঠোনে স্বচ্ছন্দভাবে যাতায়াত করতে পারে না সেই কেবল অ্যাটোরলিপ ১০ খায় কোলেস্টেরল কমাতে
হৃষিকেশ প্রদত্ত অসুখের কথাই যুদ্ধক্ষেত্রেও বলে গেছেন বৃষ্টিভেজা গতিশক্তি নিয়ে
..............…....
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
প্রচ্ছদ - অরণ্য মণ্ডল
ঠিকানা -সুরতপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১
কথা - 9434453614
No comments:
Post a Comment