শ্রীতনু চৌধুরী এর "বসন্ত এনেছি রাই" সিরিজের কবিতা
দ্রাক্ষাক্ষেতের দেবী
তোমার বিদিশার নক্ষত্রগুলি
এখনো ছুঁতে পারিনি রাধে
ওপারে যেতে চাইলেও
এক অলীক অসুবিধায়
স্তব্ধ রেখেছ সেতুবন্ধন
অথচ, তুমি নিজেই জানো না
কেন সেই লক্ষ্মণরেখা ?
কতবার বলেছি
সামান্য এই পথ জুড়ে গেলে
সামনেই শর্করা ক্ষেত
ঘিরে আছে সবুজ বৃত্তায়ন
পরিধি প্রান্তরে ক্রমশ খসন্ত আয়ু
লক্ষ পরিক্রমার পর সামনে গিয়ে দাঁড়ালে
অন্তর ভদ্রাসনে আবছা হয়ে যেতে পারে
সমূহ কৃষক মহিমা
শরীরের নালায় নালায় প্রবাহিত
তোমার অতুল ঐশ্বর্য
সিঞ্চন সুমিষ্ট হবে
অন্বয় অমরাবতী
তাই,হে দেবী
খুলে দাও দ্রাক্ষা দ্রাঘিমা
তোমার অমৃত পান করে
চিরহরিৎ হোক
আমাদের অবশিষ্ট ক্ষেত্রাবলী।
ইতিহাস
হাঁ আর না'র মাঝে
ক্ষয়ে যাচ্ছে হীরক মুহূর্ত
বোধিবৃক্ষ নিকট বন্ধ চোখ
এভাবেই যাচঞা করি প্রেম
এভাবেই পেরিয়ে যায়
সকাব্দ শব্দমালা
কুড়ানো সময়গুলো
আঁচলে বেঁধে রাখো রাই
ওতে
শতাব্দীর ইতিহাস লেখা আছে।
সঠিক চুম্বন
সঠিক জায়গায় স্বরচিহ্ন না দিলে
অক্ষর যেমন অলংকার হয় না
সঠিক জায়গায় ধনুকচিহ্ন না দিলে
পুরুষ কখনো প্রেমিক হয় না
কোথায় চুম্বন রাখলে
কখনো একজন ব্যাধ
আবার কখনো নক্ষত্রপুরুষ
সে চকমকি বিদ্যা আছে
সরস্বতীর কাছে
সেখান থেকে চেয়ে নিয়ে
গড়ে নাও রাই
ওষ্ঠ অভ্যেস
কেবল মনে রেখো
একটি প্রকৃত চুম্বনেই
একটি পথ
ঘর হয়ে যেতে পারে।
এখনো হরিৎ
দিকশূন্যে দাঁড়াই
মায়া ও মরীচিকা মুক্ত -একা
হরিৎহীন কৃষ্ণগহ্বর
অনন্ত প্রতীক্ষা নভোমন্ডলে ভাসায়
দৃষ্টি নৌকো
তার শুভ্রবস্ত্র হয়ে
উড়ে যাচ্ছে মেঘ
যুগল শ্বেতপদ্ম
কুলুঙ্গি থেকে বেরিয়ে
ওষ্ঠ উদগ্রীব
মাথা নত করে আমি
পৃথিবীর দিকে তাকাই
দেখি
গাছ পাখি প্রতিটি ধূলিকণায়
স্বহস্তে কেউ
সাজিয়ে রেখেছে প্রেম।
রাই-গ্রহ
আপেল সঙ্গতে চলে গেছে
তুলোর পাহাড়
নির্জন রোদে কেঁপে কেঁপে ওঠে
অসংযত অলিন্দ বিহার
কিছু নেই
সব নিয়ে চলে গেছ
একটি অদৃশ্য হাত কেবল
দিয়ে যায় নিঃশব্দ নিরাময়
শূন্য প্রহরে জানি,
এ ভূমি পৃথিবী নয়
একদিন ডাকা হবে ঠিক তাকে
রাই-গ্রহ নামে।
.................
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
প্রচ্ছদ - সুব্রত ঘোষ
ঠিকানা -সুরতপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১
কথা - 9434453614
No comments:
Post a Comment