শ্রীতনু চৌধুরী এর "বসন্ত এনেছি রাই" সিরিজের কবিতা
অমরত্ব
তুমুল প্লাবন শেষে
ওই দেখো-
পলি হয়ে শুয়ে আছে
শুদ্ধ শতক
চলো
রোপন করে দিয়ে আসি
অমরত্ব বীজ
নদীগুলি যদি ভেসে যায় তারপর
শিলাবতী জলে-
ক্ষতি নেই
এ জন্মে অন্তত একবার
তোমাকে ছুঁয়ে
পবিত্র হয়ে গেছি,রাই।
............
ওষ্ঠ উপাখ্যান
কোথায় ছোঁয়াবে ঠোঁট?
কপালে?
মা রোজ ওখানে দিয়ে যান আশীর্বাদ
গালে?
এমন হৃদয়হীন আদিখ্যেতায়
আমি লোভ করি না
তবে ওষ্ঠে?
কত মুদ্রায় প্রেয়সী পিপাসা
পান করে উষ্ণ প্রস্রবণ
তার চেয়ে
ছুঁয়ে দাও বুক-এখনো নিদাগ
বিলিয়েছ মঞ্জুরি অন্য অভিধায়
চেখেও দেখোনি স্বাদ
এসো, যেখানে বসে আছো দেবী হয়ে
সেখানে নিজেই নিজের ঠোঁটে রাখো ঠোঁট
পরখ করে নিজস্ব অমৃত আস্বাদ
বুঝে নাও
আমাকে দেবার আগে
আর কত ঢালতে হবে প্রেম
ওষ্ঠ উপাখ্যানে !
..............
খেলাপাতি
ছাদ কতটা লম্বা হলে
তোমাকে ঘরে নেওয়া যায়
ভাবতে ভাবতেই
আকাশের নিচে টাঙানো দেখি
অজস্র শামিয়ানা
দিগন্ত ছুঁয়ে
চৈ-চৈ শব্দে ভাসিয়ে দিই ডাক
কোথাও লেখা নেই ঘরের ঠিকানা
শূন্যে ঝাড় লন্ঠন
বিস্তীর্ণ এই সরোবরে
এসো রাই
এবার একটি
খেলাপাতি সংসার গড়ি ।
...............
যুদ্ধ
দূর নয় মধ্যরাতের দামামা
নিপুন সেনা প্রস্তুত করেছে ব্যূহ
আপ্রাণ চেষ্টা
নিশ্ছিদ্র বর্মে ঢেকে নিতে শরীর
খুলে খুলে পড়ে যাচ্ছে তবু
সন্ধি বোতাম
ফিরতে হবে
ভেরি আর যুদ্ধর মাঝে দাঁড়িয়ে
বিরাট একটা শূন্য
কয়েকটি ধবলি প্রস্তুত রেখো রাই
গোচারণেই
পেরোনো যায় অতৃপ্ত বৈতরণী ।
..................
সঞ্চিত সাধন
আকাশমনি অন্ধকারে
সোনাঝুরি শিঞ্জিনি-পূর্ব জন্ম স্মৃতি
তোমার বুকের চন্দন গন্ধ
বৌদ্ধস্তুপের পান্থ পাদপ
ক্রোধ,হতাশা,যাবতীয় অভিমান
আঁচলের প্রতিটি ভাঁজে গুঁজে দিতে দিতে
কখন যেন তোমার বুকের উপরেই
ঘুমিয়ে পড়ি
শতাব্দীর পর শতাব্দী
এমনই প্রগাঢ় ঘুমে
আরো ঘুমোতে চাই
হাজার বছর
মাথায় বোলানো তোমার প্রেমার্ত অলপদ্ম
যদি কখনো ক্লান্তকুসুম
হয়ে যায় স্থির
ছিন্ন ঘুমের সাক্ষাতে
বিলোল বাহুতে আমার মাথা রেখো
বড় যত্নে মজুত রেখেছি রাই
শুধু তোমারই জন্য
প্রজন্ম সঞ্চিত
সাধন বৈভব।
..............
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
ঠিকানা -সুরতপুর, দাসপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিমবঙ্গ ৭২১২১১
কথা - 9434453614
অসম্ভব সুন্দর
ReplyDeleteনির্লিপ্ত
ভঙ্গি
তে
প্রেমের অবগাহন 👌
শ্রদ্ধেয় কবিকে আরো লিখতে বলি ,
প্রিয়
দুঃখানন্দ বাবু আর
বিশ্বজিৎ বাবু
কে
ধন্যবাদ 👌