প্রতিবাদী ভাষা // ই-কোরাস -১৯৪

 

২ বার থুতু ফেলার জন্য একটি উপযুক্ত মর্গের প্রয়োজন আছে

নিমাই জানা 

২১ কোটি সাদা কালো উকিল আর ১০ লক্ষ ইউরোপিয়ান মুদ্রার বিনিময়ে একটি চেস্ট মেডিসিন ডাক্তারের যৌনাঙ্গ বিক্রি আছে আপনারা কেউ কিনবেন?  গুছিয়ে বলি দুটো পাজামা হোমিসাইড নেক্রোফিলিয়া, দলাদলা চুল, নখের আঁচড়, অপরাধবিজ্ঞান আসুরিক শক্তি অ্যালকোহলিক শ্বেত প্রবালের মতো চকচকে রক্ত লেগে থাকা ১৫০ গ্রাম সিমেন্সে জর্জরিত নেলস স্ক্রাপিং আর চুলের ক্লিপ ঢোকানো একটা বীভৎস মানচিত্র বিক্রি আছে আপনারা কেউ কিনবেন ? 

মেরুদন্ডের লার্ডোসিস হয়েছে ? খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা উট আর ঘোড়া আর গাধার মতো চকচকে বাইপোকার লেন্সের মতো ভাগাড়িয়া শকুনেরা অন্ধকার বিক্রি করছে  , এম আর আই অফ এল এস স্পাইন , এক্সরে অফ এল এস স্পাইন এপি আর আর লেটারেল । থুতু কোথায় ফেলবো ? থুতু! থুতু ! নষ্ট থুতু ফেলবো কোথায় ফেলবো কোথায় বলো হে অন্ধ ঈশ্বর হে অন্ধপুরুষ হে অন্ধাকানুন , হে অন্ধকার ? মাথার কাটা মুন্ডুটা কোথায় ফেলবো? গঙ্গায় ? গঙ্গার পাড়ে ? শ্মশানের চুল্লিতে ? ভাগাড়ে ?  বেশ্যাপল্লীতে ?   ৯ তারিখের মর্গে তিনজন চারজন তিন লক্ষ জন তিন কোটি ধর্ষণকামী বীর্য হায়না মাংসাশী লোলুপ দৃষ্টির লালা ঝরানো জিভ দিয়ে একটা গ্রস্ত উপত্যকাকে ছিঁড়ে খেলো ! 

উল্লাস করো , উল্লাস করো তোমাদের পেট ভরে গেছে তোমাদের জিভ ভরে গেছে তার ফালাফালা পেটের ভেতর দিয়ে একটা সুড়ঙ্গ দেখতে পাচ্ছ সুড়ঙ্গ হ্যাঁ সুড়ঙ্গ কসাইখানার দিকে যাওয়ার সুড়ঙ্গ হ্যাঁ সুড়ঙ্গ একটা ধ্বংসাবশেষের সুড়ঙ্গ। পারদ জমছে বারুদ জমছে দেশালাই জমছে আগুনের পাহাড় জমছে , বিপর্যয় একটা আগুন সমান প্রলয় হোক ধসে যাক আগ্নেয় পাহাড়ের ধ্বংসাত্মক কুঠুরি গুলো 

ভয়ংকর একটা অসুর এসে টকটকে দাঁতে লেগে থাকা পশু রক্তের ঝলসানো ক্ষত্রিয় নপুংশক লিঙ্গ দিয়ে ‌ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে আমার বোনের ওপরে মাদ্রাজী কমলালেবুর মতো ছত্রাক ফুটিয়ে তুলেছে ,  এখানে সারারাত হাড় , গলার নলি , জরায়ু ,স্তন মাংসের তাল  গাল ঠোঁট তলপেট কেনাবেচা হচ্ছে , মৃতদেহের ওপরে গোলটেবিল বসিয়ে ক্লিয়ারেন্স নন ফেমিনিক সিগারেটের রয়েল স্ট্যাগ ধোঁয়া ওড়াতে ওড়াতে সাইরেন বাজিয়ে ধুয়ে ফেলছে একদল নষ্ট পুরুষের হাতের রক্তের দাগ , খা থুথু খা থালোপিয়ান খা জারজ সন্তানের দল 

থু! থু! থু !ফোর্থ ফ্লোর , ভোঁতা উইপেন , অস্ত্র , মিথ্যার হিউমার বোনটা হাসছে তার ডিনারের টিফিন কৌটা থেকে মাছের লেজ আর বিষুব রেখায় হাঁটতে থাকা নিহত সূর্যের শাঁসালো মাংসের পটকা দুম করে ফেটে গিয়ে ব্রহ্মাস্ত্রের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল , আগুন ? আগুন খাবে তুমি ? এসো সদলবলে এসো আমার কন্ঠে তোমার হাতটা টিপে আমার কন্ঠ নালীটাকে টিপে শ্বাসবন্ধ করে দাও , শ্বাস পড়ছে না নিশ্চয়ই ? এবার ওই যে মাথায় রাখা বালিশটা চেপে ধর আমার মুখে , হ্যাঁ এবার নাভি তলপেট মণিচক্র ধাতুর রস ঠোঁট পেচ্ছাপের দরজা পেছনের দরজা সবকিছু একে একে তন্ন তন্ন করে খুঁজে খেয়ে নাও , খাও , খাও আরো খাও, আমি তো মৃতদেহ , আমার আত্মা নেই আমার পরমাত্মা নেই আমার খুন নেই আমার রাহাজানি নেই আমার প্রতিবাদ নেই আমার শিরদাঁড়া নেই আমার পিঠ নেই আমার যৌনাঙ্গ নেই আমার স্ট্রেচার নেই আমার কফিন নেই আমার পেরেক নেই আমার সেলেনিয়াম কাজু কেক নেই , কি পেট ভরেছে সিন্ডিকেট কার্টলেদের , ধুয়ে ফেলো সবকিছু ধুয়ে ফেলো লিঙ্গের মাথা , হাত , আঙ্গুল, বুক, গেঞ্জি প্যান্টের জিপ জুতা। 

পেট ভরেছে পলিগ্রাফ টেস্টের ? পেট ভরেছে হুড়মুড় করে আমার লম্বা পেট চিরে দিয়ে পোস্টমর্টেমের সব রকম নিয়মবিধির ? 

হা হা হাসি পাচ্ছে আমার খুব হাসি পাচ্ছে কিন্তু রাষ্ট্র আমার হাসি শুনতে পাচ্ছে না, রুদ্ধদ্বার বৈঠক আমার হাসি শুনতে পাচ্ছে না , দরজা হাসি শুনতে পাচ্ছে না , সিসিটিভি আমার শুনতে পাচ্ছে না। আমার আমার মেসেঞ্জার আমার whatsapp আমার ডিপার্টমেন্ট এখনো শুনতে পাচ্ছে না কেউ কিছু , সকলের গায়ে শুঁয়োপোকার গন্ধ লেগে আছে।দ্রৌপদী আমারও হাসি পাচ্ছে তোমার বেলায় শ্রীকৃষ্ণ থাকলেও আমার বেলা নেই। আমার জন্য কোন কাপড়ের যোগান নেই আমার জন্য কোন ধারালো উগ্রচন্ডার ত্রিশূল বরাদ্দ নেই , অথচ বড় বাজারে সিলিকন প্লাস্টিক ন্যাংটো নারীরা কিভাবে কাপড় টাই কামিজ সালোয়ার জিন্স টপ লেহেঙ্গা পরে পিটপিট করে তাকাতে তাকাতে দোল খাচ্ছে বস্ত্রালয়ের সামনে। 

কি হচ্ছে রাস্তায় মোমবাতি জ্বলছে? মোমবাতি ৩ টাকার মোমবাতি ?  রাস্তায় বড় বড় ন ফুট উচ্চতার ব্যারিকেড ঝুলছে ধরনা মঞ্চ সবকিছু বৃথা বৃথা আমার এই জন্ম আমার নারী জন্ম আমার জরায়ুর জন্ম আমার স্তনের জন্ম আমার ঠোঁটের জন্ম আমার মাংসপেশির জন্ম। না ধর্মাবতার আমি আত্মহত্যা করিনি।  আমার ঠিক আগে দুজন মৃতদেহ থাকলে ও আমি স্বচ্ছন্দে পরের পয়সা নিয়ে নিজেই নিজের মুখাগ্নি করেছি। আমি হেভিওয়েট, আমার মৃত্যু হেভিওয়েট , আমাকে যে ধর্ষণ করেছে সে ও হেভিওয়েট। 

এত মৃত্যু আছে কি করে ? মৃতদেহ আমি অথচ দুটো পা ফাঁক করে দিতেই আমার স্বপ্ন ছারখার হয়ে যাচ্ছে, আমার চন্দ্রমালার প্রতিষ্ঠানটি খান খান করে কেউ সুড়ঙ্গ দিয়ে একটা ইয়ার প্লাগের তার বের করছে । একটা বীভৎস মানচিত্র আমার মানচিত্রটাকে ছিঁড়ে খেতে খেতে তার দাঁতে রগরগে একটা বালির দানা লেগে যাচ্ছে কষ্ট হচ্ছে তার, আহ আয় জাহান্নামের কিসমিস তোকে পরমহংসের কাছে নিয়ে যাবো আরেক শ্রদ্ধেয় জন্মে 

আয় আয় আমাকে নিয়ে মর্গের কেবিনের ভিতরে আমার জন্য মর্গের ড্রয়ার নেই আমার জন্য মর্গের ভেন্টিলেশন নেই আমার ময়নাতদন্তের গ্রাফিক্স কার্ডিয়াক রিপোর্ট , আর একটা সাইকোপ্যাথিক নামক একটা নির্লজ্জ দোহাই দিয়ে কেবিনের ভেতর ভদকা ঢালতে ঢালতে উপরের তলায় সবাই মশগুল করে পার্টি ভদগা, মাংসের ঠ্যাং, কুকুরের লেজ, কচ্ছপের স্তন, চামচের এসপেরা গাছ, আর চেস্ট মেডিসিনের সব পাতলা ফিনফিনে ঝোলের ঔষধ গুলা তোরা খেয়ে নে । দ্যাখ কেমন বৃষ্টির দিনেও গায়ের শিরশির করে ঘাম বেরাচ্ছে । 

আমার পিঠের দিকে যে সেরিব্রাল ব্লাউজের হুকের দাঁত আছে,  দাঁত দিয়ে টেনে মুখটাকে থেঁতলে ঠোঁটগুলোর উপরে পাষন্ডের আছাড় দিয়ে আমার মাথায় গুঁজে দেওয়া হয়েছে অভ্র কারখানার প্লাটিনাম খাদকদের, 

হায় একটা কর্ণের রথ থামাতে এতগুলো অসুর এসে জমা হয়েছে আমার বিছানার চারপাশে, মিথ্যে সব মিথ্যে, আমার স্ট্যাটিন হাঁপানির ডিপার্টমেন্ট মিথ্যে, আমার আগুন মিথ্যে, আমার স্তন মিথ্যে, আমার ধস্তাধস্তি মিথ্যে, আমার মৃতদেহ ঘিরে থাকা সহস্র মেনি মুখো পুলিশের মুখ মিথ্যে, আমার ল্যাপটপ মিথ্যে, আমার পরিপাটি জুতো মিথ্যে, আমার গায়ে সবুজ রঙের ঢাকনা মিথ্যে আমার ফিজিক্যাল রিলেশন মিথ্যে আমার নিরপরাধ জগৎ মিথ্যে, 

আমার বাবা মিথ্যে আমার মা মিথ্যে সৎকারের জন্য টাকা দিতে চাওয়া টাকা দিতে না চাওয়া আমার বাবা মিথ্যে, আমার চিতা মিথ্যে আমার ভয়ংকর প্রমাণও মিথ্যে, নিচু হয়ে দ্যাখ আমি কেমন বিবস্ত্র শুয়ে থেকে সবাইকে পোশাক পরিয়ে দিয়ে যাচ্ছি ধনতেরাসের পোশাক অষ্টমঙ্গলার পোশাক বারানসির পোশাক রাত জাগার পোশাক নাইট ভিশন পোশাক, আয় ধর্ষকেরা, আমাকে পুড়িয়ে দেওয়া যে উনুনটা দেখছিস উনুনের মাঝখানেও একটা বীভৎস লম্বা চিরে দেওয়া যৌন ঘর আছে যাকে তোদের মনে হবে ঠিক যোনি ছিদ্রের ভয়ঙ্কর আঁতুরঘর,  আয় তোদের গলা মাথা পেটবুক লিঙ্গ উদ্ধত লিঙ্গ এইখানে ঢুকিয়ে আমাকে আরো একবার একশ বার, এক কোটি বার ধর্ষণ কর আমাকে আরো একবার মেরে দে। আমি সারারাত একা নিজের জন্য ১৩০ টাকা দিয়ে এক কেজি আপেল কিনব আর সারারাত তোকে দু বোতল মদ কিনে খাওয়াবো 

তোদের ফাঁসিকে ধিক, তোদের কলমকে ধিক , তোদের পলিগ্রাফকে ধিক, তোদের মূত্রাশয়কে ধিক, তোদের জাহান্নামকে ধিক, প্লাস ৩.৫ কনভেক্স লেন্সের ওপর দিয়ে সবাই চেস্ট নাট খেতে খেতে আমার চেস্টটাই খুলে দেখছে 

হায় ঈশ্বর, আমাকে ভয়ংকর নেকড়ে বাঘের জন্ম দিও পরজন্মে, শ্মশানের নির্জন চৌকাঠে বসে থেকে ধর্ষকদের লিঙ্গ ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবো আর প্রকাশ্য রাজপথে গিয়ে পান্ডু রোগের বমি করবো। 

                    ................................

সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪