নিমাই জানা র কবিতা
১.
তড়িদাহিত লৃট ও জাহাজের অপরা দৃশ্যের দৃশ্য
ঊর্ধ্বমুখী ৩৯ বছর । মহাজাগতিক ধ্যান । অপূর্ব স্নেহজ পদার্থ। এই অয়নযোগে নেমে আসে ধুম রতি আর কাশ্যপের অবৈধ দেব । ধ্বংসলীলা এ প্রলয় বীজ । নাম ধাতু লৃট যোগ । সন্ন্যাস সবাই খাদক আমি মাংসাশী দানব । জানালাটি মরচে হতে হতে পাকস্থলী হয়ে যায় । রাতকে চরায় কেউ। পাতার ভেতরে অসংখ্য শিরায়। নাভি থেকে অদৃশ্য ঊর্ধ্বমুখী যাপন । এই খেদ বড় সরীসৃপ ছায়া ও ভৌগোলিক ব দ্বীপ ঘিরে রাখি । এ শরীরের অদৃশ্য শরীর যোগের অপরা ক্ষেম । অশোক দাঁত রেখেছি মজা বস্ত্রের ভেতর । সব মরিচের মতো লোমকূপ ছেড়ে ব্রহ্মাণ্ড দাঁতে জল।
দাঁত দিয়ে কামড় বসাই আগুনের সম্ভোগ গিটারে। তড়িদাহিত জল নেমে আসে এই কম্বোজ খোলস থেকে।
জাহাজটি আসল ধাতু । নাবিকটি বড় ছন্নছাড়া । গর্হিত গর্তের ভেতর দাঁতে দাঁতে লোমসের সাপ বাজে ।
কেমিস্ট্রিতে আগুন । আয়নায় প্রতিবিম্ব । সবই জুয়া খেলার প্রাচীন প্রণয় যোগ । গাঁজা খাচ্ছে চারটি ভূত । শিরদাঁড়া আছে অথচ নেই ধোঁয়া পঞ্চ শস্য । অঙ্কুর বিরোধী শ্মশান ও ব্যাঙ্গাচি মাঠে। ঈশ্বর কি ভুল কথা বলে গেছে আমাদের ।
২.
বিকৃত ক্যাফিন ও গোলার্ধের ব্রোমাইড ত্রিশূল সমগ্র
হোমো হাবিলিস ও মাংসাশী প্যান্থারের রমন দৃশ্য । দাঁত ও গন্ডদেশের রক্তক্ষরা । তামাতে রঙের ওষুধের ডোজ ৫০০ । ডিম ভর্তি তামাটে রক্তের বিদ্রোহ কাল। আ উ ম বিষ্ণু-মহেশ্বর ও ব্রহ্মা ।
দক্ষিণায়নযোগ । ধাতু পদ্ধতি সঞ্চিত আছে পুরদেশে । গর্ভটাই সংরক্ষিত উরু গর্ভে । উর্বশী বেরিয়ে আসে ঋষির পুরু উরু ছেদ করে।
দীর্ঘশ্বাসের শব্দ হচ্ছে রাতে । ভয় , আগুন , বন্ধ হৃদপিণ্ড , গলার কফ আর জামরুল ফুলের ঘ্রান । কেউ আমাকে চুরি করে খেয়ে নেয়।
চাবুকটি ঝুলে আছে রাতের কোহেলিও ব্রোমাইড কোমর জুড়ে। পুরুষটি রূপান্তরিত লিঙ্গ। বিকৃত যোনি ছিদ্রে ত্রিশূল সেলাই করছে কেউ।
খাপছাড়া উনুন । ডোম । এ দাহ ও জমাট কালো নদীর জল । রতির সেতু পালক ও ভৌম দশার অন্ধকার জনিত মেহরোগ। নারীটি গন্তব্য পাল্টে ফেলে হ্যান্ডলুম সেন্টারে , অন্নপূর্ণা বস্ত্রালয় ।
মৃত মানুষদের কফ থেকে তৈরি সুতো । সুতোটি চওড়া হচ্ছে উপস্থাপিকার নীল সমুদ্র রংয়ের অন্তর্বাস ফিতায় । কেউ এসে বরফ ভর্তি শুভরাত্রি জানিয়ে যায় অধাতব বক্ষের বিদীর্ণ বিলাবল দিয়ে । গান গায় নিপুন ইছামতি ঈশ্বরী ।
পুলস্ত্য তো নারী । ঈশ্বরী ও ভৌম । এখনই ক্যাফিন মেশানো মদ খেয়ে নিবিড় মাদকাসক্ত হই। গোলার্ধের ক্রান্তি জাহাজ পুড়ে অশ্লীল হয়ে উঠলো
৩.
তৃতীয় হত্যা ও মাদকাসক্ত উর্বশীর জ্যামিতিক দৃশ্য
হত্যার অস্ত্র তৈরি হচ্ছে কুয়াশা মাখা কংক্রিট স্ট্যাচুর অবতল ভূমির ভেতরে নিম্নাঙ্গ চাদরের মতো । হত্যা আসলে একটি গুণিতক সংখ্যার প্রাগৈতিহাসিক তৃতীয় ডানা , বায়ু কোণের শ্মশান ফিকফিক করে হাসছে, ঘাস ভর্তি পায়ের নিচে তরল নৌকা , গোলাপি সোয়েটারের ভেতরে থেকে উঁকি দেয় অজস্র গৃহ প্রপাতের মতো এক এক লাল কৃষ্ণাঙ্গ উপত্যকার শিখি চূড়া , আমি আঙ্গুল ডুবিয়ে এ পৃথিবীর ধনুরাসন মাপি , মাদকাসক্ত চোখগুলো দরদামের আগেই ঈশ্বরকে বেঁধে রেখেছে পায়ে দড়ি দিয়ে , শালপাতায় ভাত ঢেলে খাচ্ছে কিছু উদ্বায়ী মানুষের দল। যাদের পেচ্ছাপে শর্করা বেরিয়ে যাওয়ার অসুখ ছিল।
আমরাই এ প্রজন্মের শেষ মুদ্রা রাক্ষসের একটি লতানো মুরগির বাচ্চা। আমাদের পায়ে বাঁকানো ছুরি গুলো তলপেট এফোঁড় ওফোঁড় করে নাড়িভুড়ির উপরে দুটো গাণিতিক মুদ্রার অবতল রতি ভাঙছে যম ও যমের দ্বাররক্ষী , বিস্তৃত হচ্ছে আমার পূর্বজন্মীদের সব জ্যামিতিক ফাটল
মেরু প্রদেশের সাপগুলো কাঠের ঈশ্বরের গায়ে জড়িয়ে ধরে প্রায়শ্চিত্ত করছে আগুনের অশ্বমেধ এসো উর্বশী মহাজাগতিক হই
……………………….
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪
No comments:
Post a Comment