অঞ্জন দাস এর গুচ্ছ কবিতা
আগুনের ধাতুরূপ
এক
বুকখোলা শহরের আলো মুখে পুরি
চিকচিক হজমোলা ড্রাগনের বিষ
সুতোছাড়ে পৃথিবী নামি মহাপথ
শীল পঞ্জিকা চোখ তুমিও জ্যোতিষ
কতবার নিয়ে যাবে শ্যাম্পেন দ্বীপ
বদলানো আগুনের ধাতুরূপ আঁকা
জামাহীন সমুদ্দুর একুশ কিনারে
হারানো গানের দিন বাতাস পতাকা
ক্লোরোফিল বুড়ো হয় পাতার বয়সী
বোঁটা ছাড়ে মায়াকাল ফুল পাড়ে মাটি
সে তার ভেঙেছে দেখি তারের আওয়াজ
ফোটাও মুদ্রা ধ্যান লিরিকের ডাঁটি
দুই
জলপাই রং তুমি ব্রীজের বক্ষ তুলে নিলে
ক্রুশগতি কঙ্কাল আবহমানের যিশু নয়
নখের অন্তর পাঠে বনময় বাঘের দেবিকা
কদর্য জমলেই বাঁক নেবে পেরোনোর ভয়
ফুরনো কথায় আগে শিষ দেয় নারকেল বালা
পখার বিজোড় কথা রেকডিং হয় গাছে গাছে
নর্তকী সন্ধ্যা কতশব্দ আঁকলো তোমার মুখ
জলথেকে উঠে এল ফাঁকাবাড়ি বাড়িটির কাছে
গৃহস্থ জলায় গুম প্রতিদৃশ্য দরজাও খোলে
ছাদেওঠা অতসী বানানো ক্যানেলে মুখ দেখে
জলপাই রং তুমি ব্রীজের বক্ষ তুলে নিলে
একবুক জলপাই নেইলপালিশেই দেবো ঢেকে
তিন
ঝাউ বাগানের গায়ে গেঁথে যায় ভীষ্ম শলাকা
শাশ্বতিক শাসনে সমবেত হাওয়া ভাঙে মাথা
চিদাভাস নির্বাসন তোমার বেনির ফুলে গাঁথি
বজরা ফোকরে দেখি ঘেঁটেছ ফিরিস্তি কথা
নিপাতন নিদ্রায় নির্দেশিত নিধুবন ঘোরে
বটিকা বচসা ডোবে পলাশ নদীতে ছায়া রং
মনিপুরী মণ্ডনে মতিহারি রুদ্র বালিকা
ঝাউ বাগানের গায়ে রোদলেখে প্রিয়াছাড়া জং
মেঘ পুরুষের ধ্বনি ঝমাঝম কাঁপছে ধরণী
অরণিকাষ্ঠ ভাঙে মহুলের মুকুলিত পালা
তারায় মরে যায় চোখের বিপাশা চাঁদে রাহু
বাহুভেঙে পড়ে বাজ বিপন্ন শাঁখ মুখে তালা
চার
সাইকেল ঢুকে গেছে পাঁজর কলোনি চুপ
পাড়ার অবুঝ ছেলে ফুটো করে হর্টবিট দেখে
চৈত্র শেলের স্টাইল চোখ মুখ রেলা নেয়
তেলমাখা গতকাল টেরি কেটে পথে পথ রাখে
জলেপড়া সাবানের সীমায় আয়ত হাত
ঠেসে যায় অন্ধকার ক্রমশ ঠেলছে আরো কেউ
সংকেত পেয়েছে পাড়া ভক্তের প্রভুরা ডাকে
জালে প্রজাপতি ফুল পাপড়ি ভাঙেনি একা ফাউ
সেলাই মেশিনে আলো টুকিটাকি ছেঁড়া দিন
সিটভরতি কোমর অতসী তার উল্লসিত শাঁখে
মায়ের গোছানো গল্প জমাতো বাবুই জেনে
চেনে এক ঘেয়ে তার কখনো পড়েই যেতো বাঁকে
পাঁচ
"গোলাপ ফুল তুলতে গেলে হাতে লাগে কাটা
তোমার কথা পড়লে মনে প্রাণে লাগে ব্যাথা "
প্রচলিত
এমন মস্ত চিঠি গাছেরা ও লেখেনি কখনো
গলাভরতি ডাক থাকে হাঁসেদের বর্ষা পুকুরে
তিনতলা বাড়িটার জ্যাকেট ভীষণ গ্লেজি
এসেই জমছে দেখি রোদপাড়া শীতের দুপুরে
নকল মিত্তালে তখন প্রথম ফাঁসে পরিচিত যুবা
মনেহয় শ্রেষ্ঠ সুন্দরী তার দীঘার ল্যারিকা ইন
"যত ভাবনা যত স্বপ্নছিল সব দিলাম তোমায়"
সমুদ্রে গর্জন- নট আউট একশো তখনো শচীন
একদিন চলে এলো আমাদের মচমচ খাটে
দোয়াত কালিতে পাখা পেছনে নজর ছিলকোনো
সুপুরি কাটছে জাঁতি আড্ডার বন্ধুরা ঘরে ঘরবাঁধা
এমন মস্ত চিঠি গাছেরা ও লেখেনি কখনো
-----------------------------------
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪
No comments:
Post a Comment