সুবীর সরকার এর কবিতা
বাহান্ন হাতির মিছিল
হাঁসেদের নিজস্ব জলাশয় থাকে
সার্কাস তাঁবুর পাশে সাতসকালের
রোদ
জঙ্গলে প্রবেশ করলেই টুপি উড়ে যায়
উড়ে যাওয়া টুপি কি কান্না আড়াল করে!
আমরা বিমানবন্দরে পাখি ঢুকতে দেই না
দেওয়ালে পেরেক,গাদাবন্দুক
কফির মগ হাতে নেমে আসছেন প্রবীণ জোতদার
ডাংগুলি খেলার মাঠে জড়ো হচ্ছে
সমস্ত উড়তে শেখা পাখিরা
আমি কামানের মুখে দাঁড় করিয়ে দেব ক্রোধ
ফিরে আসবে মৎসন্যায়।
ফিরে আসবে বাহান্ন হাতির মিছিল।
টুক করে একটু শিস রেখে আসবো
কুড়িয়ে পাওয়া বেলুন রেখে আসবো
কাকতাড়ুয়া
যে শীতে কুয়াশা নেই আমি তার থেকে দূরে
থাকি
আঙুল ভালোবাসলে আঙুলের আংটিকেও
ভালোবাসতে হয়
কাঠের আগুনে পোড়ানো হচ্ছে আলু
আলুতে লবণ মাখানো হচ্ছে
এই সব দৃশ্য জড়িয়ে আমরা একটা নির্মীয়মান
সেতুর পাশে গিয়ে তো দাঁড়িয়ে পড়তেই পারি!
মূলত সবকিছুতেই ম্যাজিক
মূলত সবকিছুতেই গোপনতা
আর রেডিওবার্তা শুনে হেঁসে ওঠে শীতদেশের
কাকতাড়ুয়া
গিটার
পাহাড়ে বেড়াতে গেলে অবধারিত নীল টুপি
রাস্তার বাঁক জেনে যায় কিভাবে কখন উড়ে আসে
পাখি
শরীর দুলে ওঠে।
সমতলের নদীর গল্পে যে বিষাদ তা কি জানে
পাহাড়ি রঙ্গীত!
প্রপাতের পাশে দেখি মঠ,মাঠ ও শিশুপার্ক
তিস্তায় চাঁদের মায়া।
খাদের ওপর দিয়ে ভেসে আসে লামাদের
মন্ত্রপাঠ
পেলিং থেকে রাণীপুল
তিমি চা বাগান থেকে
পাহাড়ে বেড়াতে গেলে বৃষ্টি ও গিটার কিন্তু
একসাথেই বাজে
মায়া
রেডিওতে নদী ভাঙনের গল্প শুনি।
জিপ ভরতি কবিরা বেড়াতে আসেন
চিড়িয়া খানায়
আমরা দেখতে পাই জার্সি উড়ে যাচ্ছে
শয়তানদের ডেরায়
ছবি আঁকতে আঁকতে একসময়
পরকীয়া সিরিজ নিয়ে ফাঁকা শহরের রাস্তায়
চিত্রশিল্পী
আমি একজন সম্পাদককে চিনি
যার দুই চোখে লোভের আগুন।
চারপাশে কুলগাছ।ওয়াচ টাওয়ার।
আর আধখাওয়া আপেলের পাশে
চিরদিনের সব জঙ্গলমায়া রেখে আসি।
………………………..
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪
No comments:
Post a Comment