Tuesday 26 September 2023

রবীন্দ্র পরম্পরা - মহাশ্বেতা দাস // ই-কোরাস ৩৮





রবীন্দ্র পরম্পরা

পর্ব - ৩৮

নোবেল প্রাপ্তি

মহাশ্বেতা দাস 



"হায় গগন নহিলে তোমারে ধরিবে কে বা!

   ওগো তপন, তোমার স্বপন দেখি যে,

         করিতে পারি নে সেবা।"


   আমাদের  প্রতিদিনের মনের মর্মকথা যাঁর কাব্যে, লেখনীতে সহজ সাবলীল ভাবে প্রকাশিত হয় তিনি রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্র-প্রতিভা সূর্যেরই মতো বিশাল ও বিস্ময়কর। তিনি নিজের সৃষ্টিকে নিজেই অতিক্রম করে নব নব সৃষ্টির আনন্দে ছিলেন চিরমগ্ন। পিতার সাথে হিমালয় ভ্রমণে বেরিয়ে বোলপুরে রাতের আকাশে জ্যোতিষ্ক দেখে যাঁর কবিতা লেখা শুরু হয়েছিল! যাঁর কবিতা পাঠ করে "ভগ্ন হৃদয়" কাব্যগ্রন্থের জন্য ত্রিপুরার মহারাজা বীর চন্দ্র মানিক্য অনুভব করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের মধ্যে এক ভুবনজয়ী সম্ভাবনার কথা আর তাই কবিকে সম্মানিত করেছিলেন…. তিনি সত্যিই একদিন দেশ কালের সীমানা ছাড়িয়ে হয়ে উঠলেন বিশ্বকবি। 

    

     ছোট থেকে কাব্য কবিতা লেখা এবং বেশ কয়েকবার বিভিন্ন কাজে বিলেত ভ্রমণ কবির মনন ও চিন্তনে নূতন দিগন্ত উন্মোচনের সহায়ক হয়েছিল। সাহিত্য রচনা করতেন নিয়মিত এবং সেগুলি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিতও হতো নিয়ম মেনে। এছাড়া পিতা দেবেন্দ্রনাথ এবং ঠাকুর পরিবারের অন্যান্য অনেক সদস্যদের সমাজসেবা মূলক কার্যকলাপ কবিকে ভাবতে শিখিয়েছিল সাধারণের গন্ডি পেরিয়ে অন্যভাবে অন্যরূপে। তাই একসময়ে কবির মনে হলো দেশের সীমা ছাড়িয়ে আরো বৃহত্তর জগতে যাওয়া প্রয়োজন। ১৯০১ সালে বোলপুর শান্তিনিকেতনে   ব্রহ্মবিদ্যালয় ও আশ্রম প্রতিষ্ঠা তাঁর বিশ্বসংস্কৃতি চর্চার প্রথম সোপান হিসেবে ধরা যেতে পারে। এরপরে চিন্তা করলেন ভারতবর্ষের বাইরের জগতে যাওয়া প্রয়োজন। ১৯১২ সালের ২৪ শে মে পূত্র রথীন্দ্রনাথ ও পুত্রবধূ প্রতিমা দেবীকে সঙ্গে নিয়ে বোম্বাইয়ের পথে তিনি লন্ডন যাত্রা করলেন। এর আগে এই পথে আরও দুবার ১৮৮১সাল এবং ১৮৯৩ সালে বিলেত যাত্রা করেছিলেন। এবারে রবীন্দ্রনাথ লন্ডনে পৌঁছলেন ১৯১২ সালের ১৬ জুন। ওখানে রোদেনস্টাইন রবীন্দ্রনাথের পরিবারের জন্য হ্যাম্পস্টেডের কাছে আবাসন ঠিক করে দিলেন।

 

    যৌবনে কবি বিলেত গিয়েছিলেন সেখান থেকে শিক্ষা সংস্কৃতি সংগ্রহের আশায়… এবারে গেলেন বিদেশ কে কিছু দেবেন বলে। দিলেন বইকি…. ইংরেজিতে অনুবাদ করা গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের কবিতা-সংকলনটি উপহার দিলেন। 


    বিলেতে কবির সঙ্গে তখনও তেমন কোন ব্যক্তির পরিচয় ছিল না। ঠিকানা জানা ছিল শুধু উইলিয়াম রোদেনস্টাইনের। রোদেনস্টাইন ছিলেন চিত্রশিল্পী এবং রয়েল কলেজ অব ফাইন আর্টসের অধ্যক্ষ। বয়সে রবীন্দ্রনাথের চেয়ে কয়েক বছরের ছোট। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে রোদেনস্টাইনের প্রথম পরিচয় হয় কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। সেখানে তিনি যেতেন অবনীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথের সঙ্গে শিল্প-বিষয়ে আলোচনা করতে। জুহুরী যেমন জহর চেনে….  রবীন্দ্রনাথকে দেখে তেমনই তিনিও বুঝতে পেরেছিলেন যে ইনি একজন প্রতিভাধর মানুষ। কবির অনুমতি নিয়ে রোদেনস্টাইন পেন্সিলে তাঁর একটি স্কেচ আঁকলেন । এরপর উভয়ের পত্র বিনিময়ে অর্জিত হলো বন্ধুত্ব।


    রবীন্দ্র-প্রতিভার রবিকিরণ তাঁর কাছে আরো বিচ্ছুরিত হলো যখন রোদেনস্টাইন রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি কাব্যের তর্জমা-করা কবিতাগুলি পড়লেন। রোদেনস্টাইন ওই কবিতাগুলো টাইপ করে বিলেতের কয়েকজন বিশিষ্ট সাহিত্যিকের কাছে পাঠিয়ে দিলেন…. এঁদের মধ্যে একজন হলেন ডব্লু বি ইয়েটস্।


   রোদেনস্টাইন  ৩০শে জুন  তাঁর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথের কবিতা পাঠের জন্য একটি সাহিত্য বৈঠকের আয়োজন করলেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কবি ইয়েটস্ এবং এজরা পাউন্ড। ইয়েটস্ তখন কবি হিসেবে বিলেতে অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত।  এজরা পাউন্ড যদিও ছিলেন অল্পবয়স্ক, কিন্তু তাঁর মধ্যেও বিপুল সম্ভাবনা ছিল। রবীন্দ্রনাথ পাঠ করলেন "গীতাঞ্জলি" কাব্যের অনুবাদ। "গীতাঞ্জলি" খুবই ক্ষুদ্রাকৃতির একটি কাব্যগ্রন্থ। মাত্র ১০৩টি কবিতার সংকলন। যদিও রবীন্দ্রনাথ নিজে তাদেরকে গানই বলেছেন…. গান গুলিকে  নিজের হাতে তর্জমা করেছেন  তবুও  এর দ্যোতনা অনুবাদের তুলনায় বেশী মাত্রায় মনোগ্রাহী। গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদের নাম দিলেন  "Song Offerings" । এই গানগুলি অভিভূত করেছিল তখনকার দিনে বিলেতের প্রতিষ্ঠিত কবি ডব্লু বি ইয়েটস্ কে। 

 

    যাইহোক এই বৈঠকের কয়েক দিন পরে ইস্ট ওয়েস্ট ক্লাব রবীন্দ্রনাথের জন্য একটি সংবর্ধনার আয়োজন করলো। পরের মাসে অর্থাৎ ১২ই জুলাই  ইন্ডিয়ান সোসাইটি একটি ভোজসভার ব্যবস্থা করে, যাতে ইয়েটস্ সভাপতিত্ব করেন এবং যেখানে প্রায় সত্তর জনের মতো অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির ভাষণে কবি ইয়েটস্ রবীন্দ্রনাথের কবিতার ভূয়সী প্রশংসা করে বললেন- 

   " আমার সমসাময়িক আর কোন ব্যক্তির এমন কোন ইংরেজি রচনার বিষয় আমি জানি নে যার সঙ্গে এই কবিতাগুলির তুলনা হতে পারে।"  


      স্থির হলো গীতাঞ্জলি বা Songs-Offerings কাব্যগ্রন্থ ইন্ডিয়া সোসাইটি থেকে প্রকাশিত হবে। কবি ইয়েটস্ বইটির ভূমিকা লিখবেন। 


     বিলেতে চারমাস থেকে কবি পুত্র ও পুত্রবধূকে নিয়ে ২৮শে নভেম্বর চলে গেলেন আমেরিকায়। নিউইয়র্ক থেকে চলে এলেন ইলিনয় স্টেটের আর্বানা শহরে যেখানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছিলেন কবি পুত্র রথীন্দ্রনাথ। আর্বানার শান্ত পরিবেশ, খোলা আকাশ, মুক্ত প্রান্তর কবিকে মুগ্ধ করলো। রথীন্দ্রনাথ যুক্ত হলেন জীবতত্ত্ব গবেষণার কাজে। 

  

    আর্বানা থেকে শিকাগো কবি বিভিন্ন সভায় বক্তৃতা দেন…. আগ্রহ ভরে শুনতে থাকে বক্তৃতা বিলাসী আমেরিকাবাসী। নিউইয়র্কের কাছে রচেস্টার শহরে বসেছে নানা ধর্মের উদারমনা ব্যক্তিবর্গের সম্মেলন। কবির ডাক পড়লো সেখানে। জাতিসংঘাত সম্বন্ধে বক্তৃতা দিলেন কবি। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতে- সেদিনের সভামঞ্চে রবীন্দ্রনাথের থেকে সাহিত্যখ্যাতিসম্পন্ন বা গুঢ় ভাবপূর্ণ বক্তব্য রাখতে সক্ষম ব্যক্তি আর কেউ ছিলেন না।  

 

    রচেষ্টার থেকে বোস্টন…. কেমব্রিজ শহরে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়, শিকাগো… কোন দিক দিয়ে কেটে গেল ছ-মাস! আবার ফিরে আসতে চাইলেন কবি বিলেতে। রথীন্দ্রনাথের গবেষণা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হলো। কবিমন তখন প্রাচীন ভারতের অবাস্তবতা থেকে ক্রমশঃ মুক্তি পেয়ে আধুনিক হয়ে ওঠার চেষ্টায় লিপ্ত। ভারতের শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যাকে অনুভব করছেন আর সেই সমস্যা থেকে মুক্ত হয়ে শান্তিনিকেতনকে নব আঙ্গিকে গড়ে তুলবার কথা ভাবছেন। 


   আমেরিকাতে থাকা কালীন কবি খবর পেলেন গীতাঞ্জলি'র ইংরেজি অনুবাদ ইন্ডিয়া সোসাইটি থেকে প্রকাশিত হয়েছে এবং বিলেতে যথেষ্ট সমাদর লাভ করেছে। বিলেতে ফিরেও দেখলেন ওখানের তৎকালীন পত্র পত্রিকায় গীতাঞ্জলির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। 

      

   গীতাঞ্জলি  লন্ডনের ইন্ডিয়ান সোসাইটির উদ্যোগে প্রথমে ছাপা হয়েছিল সাতশো পঞ্চাশ কপি, যার মধ্যে আড়াইশো কপি ছিল বিক্রির জন্য, বাকি পাঁচশো কপি বিতরণ করা হয়েছিল বিশিষ্টজনদের । দ্বিতীয় সংস্করণ বের করে ম্যাকমিলান কোম্পানি, যেটা ছিল বাণিজ্যিক প্রকাশনা।  এটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পাঠক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এবং অতিদ্রুত  পুনর্মুদ্রিত করতে হয়। 


     দেখতে দেখতে দেশের বাইরে কেটে গেল এক বছর চার মাস। এরই মাঝে রথীন্দ্রনাথ ও প্রতিমা দেবী ইউরোপ ভ্রমণ করেছেন…. কবির অর্শরোগের অস্ত্রপ্রচার হয়েছে হাসপাতালে।   ১৯১৩ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর লিভারপুল থেকে "সিটি অব লাহোর" জাহাজে উঠলেন। জিব্রাল্টার ঘুরে নেপলস হয়ে ৪ঠা অক্টোবর জাহাজ বোম্বাই পৌঁছালো। 

    

    ১৯১৩ সালের ১৫ই নভেম্বর…. কবি তখন শান্তিনিকেতনে। রথীন্দ্রনাথ ও দিনেন্দ্রনাথ কে নিয়ে চৌপাহাড়ি শালবনে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খবর এলো সাহিত্যের জন্যে "নোবেল প্রাইজ" পেয়েছেন।

   

     এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ছিল প্রায় একলক্ষ বিশ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানটি হয়, ওই বছরেরই ১০ ডিসেম্বর। কবি তাই নিজে এই অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি। তাঁর হয়ে স্টকহোমে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মিঃ ক্লাইভ। কবি ধন্যবাদ জানিয়ে যা লিখে দিয়েছিলেন তা পাঠ করেন তিনি – "I beg to convey to the Swedish Academy my grateful  appreciation of the breadth of understanding which has brought the distant near, and has made a stranger a brother" ।  পরের বছর অর্থাৎ ১৯১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি কলকাতার গভর্নর হাউসে এক অনুষ্ঠানে তদানীন্তন গভর্নর  কবির হাতে সোনার মেডেল ও অর্থমূল্য তুলে দেন। 


    বিশ্বের দরবারে দাঁড়িয়ে বিশ্বখেতাব অর্জন করে বিশ্বকবি হয়ে ওঠার নোবেল-প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের কাছেও একটি বড়ো ঘটনা। কিন্তু এই নোবেল নিয়ে দেশ বিদেশে অহেতুক জটিলতাও তৈরী হয়েছিল অনেক…. যা  কবিকে  ব্যথিত করেছিল খুব। কারও কারও মত ছিল,  কবি ইয়েটসের কারণেই রবীন্দ্রনাথের  নোবেলপ্রাপ্তি। অন্যান্য অনেকের মতে… সুইডেনের রাজ পরিবারের সুনজরের কারণেই কবির নোবেল প্রাপ্তি। 

   

   দেশ তখন কবি গৌরবের জোয়ারে ভাসছে। কলকাতার শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ ঠিক করলেন শান্তিনিকেতনে কবির আপনস্থানে গিয়ে কবিকে তাঁদের সম্মান ও প্রীতি জানিয়ে আসবেন। ২৩ শে নভেম্বর ১৯১৩ সাল,  শান্তিনিকেতনের আম্রকাননে উৎসবের আয়োজন করা হলো। কিন্তু কবির মনে কী যেন একটা ক্ষোভ জমা হয়েছিলো দীর্ঘদিন ধরে! নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলেন না কবি। 


    কবির বিরক্তি ও ক্ষোভ স্পষ্টই প্রকাশ হয়ে পড়লো যখন তিনি শান্তিনিকেতনে প্রতিভাষণে বললেন, এই বৈদেশিক বন্যায় নৌকা ভাসিয়ে যাঁরা তাঁকে সম্মান জানাতে এসেছেন তা তিনি বাস্তব বলে মনে করছেন না। কারণ এই বন্যা কেটে গেলেই পড়ে থাকবে ভাঙাচোরা আবর্জনার অবশিষ্ট। বরং দেশের মানুষের কাছ থেকে যে-নিন্দা তিনি পেয়েছেন তাই সত্যি বলে গ্রহণ করেছেন। ফলে সম্বর্ধনার এই ফেনিল মদিরা তিনি ওষ্ঠে ঠেকালেন ঠিকই, কিন্তু অন্তরে গ্রহণ করতে পারছেন না।    


     কবির এই ধরণের ভাষণে সেদিন অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কলকাতা থেকে প্রায় সাতশো লোক এসেছিলেন বোলপুর শান্তিনিকেতনে। তাঁরা ব্যথিত হয়ে ফিরে এলেন। রবীন্দ্র জীবনীকার  প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, সেদিনটা ছিল কবির স্ত্রী মৃণালিনী দেবী ও ছোটো ছেলে শমীন্দ্র'র মৃত্যুদিন। হয়তো এই জন্যেই রক্ত মাংসে গড়া রবি তাঁর স্বভাবোচিত শান্তভঙ্গিটি  হারিয়ে ফেলেছিলেন। 

   

     দিন আসে দিন যায়। সময় প্রলেপ লাগিয়ে দেয় সমস্ত ক্ষতে। মানব হৃদয়ে নিঃসৃত হয় অনুশোচনার আগুন। ১লা ডিসেম্বর ১৯১৩ সাল,  শান্তিনিকেতনে বসেই কবি লিখলেন…. 


   " আমার সকল কাঁটা ধন্য করে 

           ফুটবে ফুল ফুটবে। 

   আমার  সকল ব্যথা রঙিন হয়ে 

          গোলাপ হয়ে উঠবে ॥" 

          ……………….. 


সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল

সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা

কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪

No comments:

Post a Comment

তৃষ্ণা বসাক এর কবিতা // ই-কোরাস ১৮০

  তৃষ্ণা বসাক এর কবিতা ১. মহানির্বাণ   চুন্দ, চুন্দ, এখনি এই শূকর মাংস মাটির গভীরে পুঁতে ফেলো, পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে এই মাংস পরিপাক করতে প...