আগুনের ধাতুরূপ
অঞ্জন দাস
এগারো
আমাকে মাপছে ও চোখ ঠিক কতোটা বিশ্বাসী তার বাম পকেটে
পকেটের ইবুক খুলি ঠিক সাজানো নিখুঁত তুমি পৃষ্ঠা কলাম
প্রাকৃতিক মুখোশ আছে দূষণ যেমন সব মুখেরি অতল মুখে
কেবলই ভ্রমণ করি উল্টো নীলের উপর তলা শীর্ষাসনে
আমাদের উল্টে থাকা গামলা ভর্তি রূপ বদলের দৃষ্টি দূষণ
আলোহীন মূল কবিতা সস্তা জলের টান রেখেযাস পাতার কাছে
খাঁচাখোল প্রাণের দেবী যাই উঠে যাই মানুষ ফেলি পাখির ডানা
অজানা জানাই থাকুক ঠিক অজানার শূন্যতাকে সঠিক করে
আমাকে মাপছে ও চোখ ঠিক কতোটা বিশ্বাসী তার বাম পকেটে
লকেটে তোমার দিব্যি দিব্যজ্ঞানী চোখ তুলে নাও ঝড়ের দাপট
উপরে দেখছি অনেক বইপাড়াতে সেসব কিছুর পর্দা কোথায়
আসলে সোজা সহজ পাঠক আমি সব প্রকৃতই মুখোশ পড়ি
---------------------
বারো
যে ছিল আমার...
গলাভাঙা নদীচুড়ি আমাকে খেয়াল গাও
অপসেটে ছাপো নিশ্বাস
ঝাউয়ের পল্লবে সাঁই স্বপ্নেরা ছোটে
গাছ মাথা অন্ধকার টুকছো বিশ্বাস
সুগার ফল্ট কবিতা সিরিজে
রুমালের মধ্যবিত্ত ঘামে তুমি থেকো
আমি যে উপায়হীন প্রিয়দর্শী শ্বাস
কাটাগলা জুড়েছি অনেকবার
ঘন্টা সহস্র ক্ষতের আনত পরিধি লিখি
স্কুলমুখী হয়েযাই রেশনের চাল
পালের হাওয়ায়
একটি ও সেমুখ দেখিনি
দেখিনি উচ্চবিত্ত মেঘহীন প্রফুল্ল সকাল
বালিকা উচ্চ হলে বিদ্যালয় কমে যায়
তাও বুঝি, বুঝিনি কেবল শুনি একতারা
ফাঁকা নিকেতন পিঠে রবীন্দ্র প্রয়ান দেখি
চেয়ারের দামী সক্ষমা বোবা বলে চাকরি দিলনা
তবু জীবনানন্দ পড়ি ফ্যাকাসে চোখের পাড়ে
মথুরা নয়ানজুলি
হরিনী বিদ্রুপ কেনো মুক্তো ভেবেছি
দেখেছি জানালার- উড়ন্ত শামুক
--------------------
তেরো
বাতাসে রেঁধার পরে গালার পালিশ
রূপকথা সব ময়ূর পাখায়
তোমাদের চুকুর চাকুর হেক করেছি
প্রেম না কথা চলবে না আর
পাতালে বৃষ্টি নামে রংমহলে রবীন্দ্র নাচ
রিমোট খোলে পদ্ম নাভি
আমারও সাইকেলে ভুল চেঞ্জ হয়েছে
মাঠগাড়ে দুই ঝালর নতুন
সে তেমন দিনের ফড়িং বেড়ার আলো
উড়িয়ে দিলে পাখার পাখায়
অতসীর প্রতিশ্রুতি দীর্ঘতর শিখার পোড়ে
সিনেমাহল নদীর বাতাস
আমাদের সান্ধ্যকালীন গাছের ছাতায়
আটকে গেছে জলের সিরিজ
লকডাউন চপের দোকান ফুচকাওলা
মালাই কথা তোর মনে নেই
---------------------
চোদ্দো
কিছুটা নষ্ট নেই বলে
ওখানে অমার খিদে জল জমে যায়
বসলে চোখের খিল খুলে
বারান্দা পেরিয়ে আমি দেওয়ালের গায়
মৃদু বাতসের ফিরে চলো
সদ্য যুবক বাঁধা ওড়নার নুড়ি
অনেক শীত বেলা হলো
নেবে এসো অতি উঁচু সহদেব ঘড়ি
বৃষ্টি কবিতা পড়ি যদি
চিলেকোঠা হ্যারিকেন ওমাটির কালো
কপাল ছুঁয়ে দেয় নদী
নরম বাঁকের ডোগা ছাদে চমকালো
--------------
পনের
ঘুম ভাঙলেই কাঁচ ভীষণ ধারালো
অজানার কেটে যায় মাস বছরী পা
ঋতুর সকল গায় জল লাল আঁকি
কোকিলের শ্রী কন্ঠে আমি তার ঘা
বহুদিন শুয়ে আছি দুটো আলপিন
কাচের শরীর খুলে পড়েগেল ছায়া
তুমি ঠিক ধরে আছো একটির আমি
অতি সুক্ষ্ম ফাঁকে ধস বাতাসের মায়া
চোখ বিলে ঝুপ করে পড়ে ধূলিকণা
ফেটে যায় অন্ধকার লন্ঠনের কালো
কৃষ্ণকুমারী ফোটে বীতশোক ডালে
তুমিকি সেখানে ছিলে পিন কাঁচ আলো
-------------------------------
সম্পাদক - দুঃখানন্দ মণ্ডল
সহ সম্পাদক - শ্রীজিৎ জানা
প্রচ্ছদ - অঞ্জন দাস
কথা - ৯৪৩৪৪৫৩৬১৪
No comments:
Post a Comment